প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা' র উপর দিয়ে কি ঝড় যাচ্ছে বুঝতে পারছি। প্রচন্ড প্রেসার সামাল দিয়ে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নীল সাধুজী শীতের রাতে কাঁপুনি গায়ে লাগাচ্ছেন না। স্বেচ্ছাসেবকরা সেবা দেয়ার জন্য নাম দিয়েছেন। উদ্দেশ্য ওই একটাই। ১১ তম বাংলা ব্লগ দিবস যেন সফল হয়। দিনশেষে বুকের হাঁপরে একরাশ সুবাতাস নিয়ে যেন সবাই বাড়ি ফেরে। সেই সুবাতাস প্রতিফলিত হবে ব্লগের পাতায় পাতায়।
আমার এই পোস্ট সর্বদা ক্রিয়াশীল ওই মানুষ গুলোর জন্য। যারা ব্লগ দিবসের সফল করার তাগিদে ক্রিয়াশীল , যারা পাশে থেকে ক্রিয়াশীল , যারা রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে ক্রিয়াশীল , যারা উৎসাহ অনুপ্রেরণা আর শুভকামনা প্রদান করে ক্রিয়াশীল। ১১ তম বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপন আসলে তাদেরই জন্যে।
এটাই আমার শেষ কাউন্টডাউন পোস্ট। আর মাত্র একদিন বাকি। তারপর সেই কাঙ্খিত মহেন্দ্রক্ষণ ! ছোট বেলায় সবচেয়ে আনন্দের সময় ছিল ঈদের আগের দিন আর সবচেয়ে খারাপ লাগতো ঈদের দিন পড়ন্ত বিকালে , সন্ধ্যার আগ আগ দিয়ে। সন্ধ্যা বেলায় মনটা এমনিতেই হু হু করে কেন জানি আর ঈদের দিন সন্ধ্যায় ছিল ভীষণ রকম খারাপ।
আজ মনে হচ্ছে প্রোগ্রামটা ২০ তারিখে না হয়ে ভালোই হয়েছে। কালকের দিনটা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কাল যখন ফুরিয়ে যাবে তখন কেমন লাগবে ?
ব্লগারদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই। আছে রাজনৈতিক মতভেদ , ভিন্ন দর্শন , ধর্মের ভিন্নতা , রেষারেষি , বিশ্বাসের বিভেদ , কিংবা কবিতা আর গল্পে দ্বন্দ। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও কোথায় যেন একটা টান অনুভূত হয়। এটা আত্মিক কিংবা বুকের বামপাশে যেটা থাকে সেটা হয়তো জানান দেয়। থাক , কাটা ছেঁড়াই যাবো না , কোনো তত্ত্বে যাবো না।
সামু একটা প্লাটফর্ম আর ব্লগাররা ট্রেনের ইঞ্জিন আর বগিগুলো পরস্পর একসাথে লাগানো। একেক বগিতে যাত্রীর ধরন আলাদা। একেক বগি একেক রকম কিন্তু টান অনুভূত হয় ওই আংটাটা লাগানোর জন্য । সামু ব্লগ ওই আংটাটা লাগিয়ে দিয়েছে। এই টান অনুভূত হয় বলেই শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী নিখোঁজ থাকলে অস্থির লাগে , সনেট কবির অনুপস্থিতি মন খারাপ করায় , প্রিয় ল ভাইয়ের খোঁজ নাই বলে দুঃচিন্তা হয়। ঠিক সেরকম শের শায়রী বা জুলভার্ন এর প্রত্যাবর্তন উৎফুল্লতা বাড়ায়। এই ব্লগটা ছিল বলেই প্রিয় ইমন জুবায়েরের জন্য রাতের আকাশের দিকে একবারের জন্য হলেও তাকাতে ইচ্ছা হয়।
আগামীকাল ব্লগ ডে উদযাপন অনুষ্ঠান। ২৫ তারিখ , বড় দিন। শুভেচ্ছা রইলো। কাল সরকারি ছুটি থাকলেও আমাদের কামলা দিতে হবে। কথা দিয়েছিলাম সবার জন্য অপেক্ষা করবো। কথা রাখা হবে কিনা জানিনা , তবে দেখা হবে নিশ্চয়।
ব্লগারদের লেখা নিয়ে অসাধারণ একটা ম্যাগাজিন হাতে পাবো কাল।চোখ জুড়ানো প্রচ্ছদ , ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করে অপরাধ বাড়াবো না। ওই ম্যাগাজিন টা আমার কাছে একটা সম্পদ। প্রিয় রাশিয়ান শৈশবের বইগুলোর সাথে আগলে রাখবো আজীবন।
'বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ' -- আহঃ। হমম , 'বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ' নিয়েই দেখা হবে কাল, প্রিয় দেখা-অদেখা , চেনা অচেনা মুখ গুলোর সাথে। 'আওয়াজ ' বেঁচে থাক। এই 'আওয়াজ' ই অন্তত বেঁচে থাকার মানে হোক। নিরন্তর শুককামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৬