গত ১৮-ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের যুদ্ধপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখে।এরপর ফেসবুক,হোয়াটসএপ,ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ভাইভারসহ কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার।
এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধথাকায় কেউ প্রোপাগান্ডা চালাতে পারেনি বলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।তিনি বলেন,যতদিন পর্যন্ত একজনও নিরাপদ না হচ্ছেন,ততদিন খোলা হবেনা ফেসবুক।
জানা যায় মন্ত্রিসভার দুজন সদস্য জানান তাদের মোবাইলে ফেসবুক চালু করা যাচ্ছে।এটা তারা জানালে প্রতিমন্ত্রী ব্যাপারটি বি,আর,টি,সি এর নজরে আনেন।অন্যদিকে এতদিন যারা ভিন্ন উপায়ে ফেসবুক চালিয়েছে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।কিন্তু মন্ত্রীপরিষদের এটা সম্পর্কে হয়ত কোন ধারনাই ছিল না যে সার্ভার বন্ধ করে দিলেও ইউসি ব্রাউজার ব্যবহারের মাধ্যমেও ফেসবুক চালানো সম্ভব।এক্ষেত্রে নিশ্চয় ইউসি ব্রাউজার কোন ভিন্ন উপায় নয়।
আর দেখা গেছে ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাবার পরেও ফেসবুক কতৃক ভেরিফাইড নিউজপেপার বা উন্নতমানের টিভি চ্যানেলগুলোর ভেরিফাইড পেইজসমুহ প্রতিনিয়ত তাদের আপডেট পেশ করেছেন জনগনের সামনে।তারমানে মন্ত্রিপরিষদের হিসেবে সেই টিভি চ্যানেলগুলোর কর্মকতারাও শাস্তি ভোগ করবেন এই আপডেটগুলো পেশ করার জন্য।
ইতোমধ্যে শোনা গেছে,মন্ত্রিপরিষদ নাকি মার্ক জুকারবার্গের কাছে বাংলাদেশের ফেসবুক বন্ধের পর যারা যারা ফেসবুক চালিয়েছেন তাদের একটা লিস্ট এবং তাদেরকে মনিটরিং করার জন্য আপিল করেছেন।মনিটরিং এর ক্ষেত্রে জানা যাবে ফেসবুক বন্ধের পর কারা কারা এই সময়ে ফেসবুকে কি কি করেছেন।কোন কোন পোস্টে লাইক,কমেন্ট করেছেন ইত্যাদি।
আমি জানিনা এতে কোন ফলাফল আশা করা যাবে কিনা।বা এতদিন যারা ফেসবুক চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা ঠিক হবে কিনা।তবে একটাই কথা যেখানে আমাদের সরকার ফেসবুক বা অনান্য সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার ফলেও অনেকেই সেটা ব্যবহার করেছেন এটা একান্তই সরকারের ব্যার্থতা।তারা ঠিকভাবে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সেটিই হয়ত ঠিক ছিল।কিন্তু হুট করে নেয়া সিদ্ধান্তে ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে সবাই এবং প্রমান হয়েছে তাদের ব্যার্থতা!সিদ্ধান্তের ব্যার্থতা!