আগে শুনতাম জিঞ্জিরা মেড" নকল পণ্য তৈরি হতো সেখানে। সব ধরনের সামগ্রী জিঞ্জিরায় তৈরি হতো। এখন সারা বাংলাদেশের সব পণ্যই জিঞ্জিরা মেড হয়ে গেছে। কি খাবে কি মাখবে সব কিছুতেই নকল। টাকা দিয়ে বাঘের দুধ কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু বাংলাদেশে টাকা দিয়েও আসল কিছু কেনার অবস্থা নাই।
প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা মাছ, মুরগী, গরু, ছাগল; নানা রকম ক্যামিকেল মাখিয়ে, খাইয়ে নষ্ট করা হচ্ছে স্বাভাবিকতা প্রয়োগ করা হচ্ছে বিষ মানুষের ভোগের আগে। সবজী, ফল গাছে ধরে, নিজের মতন প্রাকৃতিক ভাবে। ভালো এই খাদ্যকে সতেজ রাখার আশায় তাড়াতাড়ি পাকানোর জন্য ক্যামিকেল বিষ মাখিয়ে বিষাক্ত করে তুলছে ব্যবসায়িগন মানুষের মুখে তোলার আগে। টাকা দিয়ে কিনে মানুষ খাচ্ছে বিষ। যা শারীরিক ভাবে ক্ষতি করছে বিশাল মানব গোষ্টির।
যারা এই বিষ মিশায় ভোগ্য পণ্যে তাদের মধ্যে কি নিজেদের জন্য কোন চিন্তা নাই। নাকি এরা একেবারেই অজ্ঞ সব বিষয়ে। অজ্ঞ মানুষদের মনেও স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসা উচিৎ ভোগ্য পন্যর সাথে কিছু মিশালে তা ক্ষতিকর। তা খাওয়া উচিৎ নয়। নাকি সব চিন্তাধারা ভোতা হয়ে গেছে মানুষের। নৈতিকতা নেই। বিবেক মরে গেছে। সাধারন জ্ঞানও কবরে ঢুকে গেছে!
হঠাৎ হঠাৎ এখানে সেখানে মরা মুরগি, গরু, ছাগল, বাসী পচা, ভেজাল পণ্য ধরা হচ্ছে। এভাবে এসব বন্ধ করা যাবে না। সাময়িক দুচারটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয় তো বন্ধ হচ্ছে কিন্তু মূল অনৈতিক চর্চা চলছেই। পুরো সিস্টেম বন্ধ করার জন্য আরো কার্যকরি ভাবে বন্ধ করতে হবে এইসব বিষ মিশানোর মূল উৎসগুলো। বাজারে প্রতিদিন কিছু পরীক্ষক থাকা দরকার যারা এইসব পণ্য স্বাস্থ্য বিধির জন্য দোকানে রাখতে দিবেন না।
সবচেয়ে বড় কথা মানুষকে সচেতন করতে হবে। অনেকে না জেনেই হয় তো এই প্রক্রিয়াগুলো পণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করে।
যদি প্রতিটি মানুষ জানে খাবারে ক্যামিকেল ব্যবহার মানুষের শরীরের কতটা ক্ষতিকর তা হলে যাদের দিয়ে মিশানো হয় তারাও প্রতিবাদ করতে পারে। তারাও আইন প্রয়োগকারীকে জানাতে পারে, যে কোন প্রতিষ্ঠান এইসব নকল জিনিস মিশিয়ে খাবার বৃদ্ধি করছে, স্বাভাবিক গুন নষ্ট করছে।
পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ সম্মত খাবার খাওয়ার জন্য যদি ভোক্তা হোটেল গুলোতে নিজেরাই জানতে চান, বাসী বা পুরানো, মেয়াদ উত্তির্ণ খাবার কিনা। পরিহার করেন দোকানের খাবার। এক সময় নিজেদের প্রয়োজনে, সতেজ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করবে দোকান মালিকরাই। সচেতনতা ছাড়া এ থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় নেই।
এ সময়ে ভেজাল ছাড়া পণ্যের ব্যবসা কেউ শুরু করলে ভালো ব্যবসা করতে পারবেন। মানুষ অনেকে বাধ্য হয়ে ভেজাল পণ্য কিনেন। কিন্তু যদি ভেজাল ছাড়া পণ্যের সন্ধান পান, তবে সবাই সেই পণ্য কিনার চেষ্টা করবে মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৫