কিছু দিন আগে, তিনদিন কাটল কালো মানুষদের বিশাল একটা দলের সাথে। সুমালিয়া, ইথিয়পিয়া জিম্বাবু, হেইতি, কঙ্গো, তিউনেসিয়া, মাডাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এ্যাঙ্গেলা, বাটসোয়ানা, গ্রেনাডা, ডমিনিকান রিপাবলিক,কেম্যান আয়ল্যাণ্ড চেনা অচেনা কত নাম। এক কালো মানুষের কত ভিন্ন রূপ। অরিজিন মানুষের সাথে সাদা কোকেসিয়ান এবং পীত মঙ্গোলিয়ান মিশ্রনের ছাপ কারো মাঝে প্রবল ভাবে এখনও বিদ্যমান। অথচ এই শংকর ঘটনাটি ঘটেছে দুই তিন পুরুষ আগে অনেকের জীবনে। এই মিশ্র শংকর মানবজাতীর এক নতুন সংস্করন।
প্রথম দেখায় একই রকম মনে হলেও ভিন্ন গোত্র, সংস্কৃতি, ভাষা এবং খাবার, এবং জীবন যাত্রা। আদি বিশ্বাসের সাথে প্রচণ্ড রকম আধুনিক ।
এরা সবাই খুব হাসিখুশি, গল্পবাজ মানুষ।
আমাদের বসে বসে বেশির ভাগ সময় গল্প করতে হয় আর খাওয়া দাওয়ায় ব্যাস্ত থাকতে হয়। গল্পে গল্পে ভীষণ সুন্দর সময় কাটানোর সাথে জানলাম ভিন্ন প্রকৃতির মানুষের জীবন যাপনের ঐতিহ্যে বিষয়ে।
একটা বিষয় ভীষণ ভাবে উপলব্ধি করলাম, এরা খুব বন্ধু প্রিয় মানুষ, আন্তরিক, উচ্ছোল। অনেক দিন পর যেন, বহু আগের পরিচিত দেশি গ্রামীণ জীবনের আন্তরিকতার স্বাদ পেয়ে গেলাম।
একই ধরনের আফ্রিকান এবং ক্যারেবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মাঝে এক মাত্র আমি ভিন্ন, যেন দল ছুট আগলি ডাকলিংয়ের মতন একজন।
কিন্তু ওদের আন্তরিকতায়, বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারে বোঝার সুযোগই পেলাম না। আমি ভিন্ন কেউ ওদের মাঝে। সময়টা দারুণ কাটল ভিন্ন জাতীর সাথে সরাসরি বন্ধুত্ব পূর্ণ সময় কাটানো এবং তাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপনের নিয়ম শৃঙ্খলা গুলোর বিষয়ে জেনে।
উপরে উপরে ভাসা ভাসা চেনায় আমরা মানুষকে যাচাই করে ফেলি র্নিদ্বিধায় নির্বোধের মতন। মানুষের কাছে গেলে তাদের চেনা হয় অনেক বেশি। গোত্র, জাতী ভেদে প্রত্যেক মানুষের মাঝে থাকে তার নিজস্ব সত্তা।
নিয়ম দিয়ে মানুষকে সুন্দর পথে পরিচালিত করার নিয়মগুলো সব জাতির মাঝে বিরাজমান। অকেদিন পর দেখলাম বয়স্ক মানুষকে শ্রদ্ধা, সম্মান দেখানোর আচরণ।
ওদের মাঝে দেখলাম নাম ধরে নয় বরং বড়দের সম্মান দিয়ে মামা, পাপা বলে সম্মান দেখানোর প্রবনতা। খাবার বা চেয়ার এগিয়ে দেয়া।
কালো তুমি যতই কালো হও, দেখেছি সে কালো হরিণ চোখ। কালো সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে রইলাম । শুধু কি হরিণ চোখ কি দারুণ টানটান শরীর। শরীরের গাঁথুনি, বাহু, কাধ, চোখ, মুখ, ঠোঁটের গড়ন অদ্ভুত ভালোলাগায় অনেক চেহারা চোখের দৃষ্টিতে সাজানো রয়ে গেল মনে। রঙ দিয়ে যার কোন বিচার হয় না।
ভাবলাম মানুষ কতো অমানবিক আমাদের দেশের মেয়েদের কালো বলে নির্যাতন করে । এরা কোনদিন আসল সৌন্দর্যই দেখেনি। সাঝ তাদের ট্রেডিশনাল রূপ আরো বেশি সুন্দর হয়ে প্রকাশ পাচ্ছিল। একঝাঁক ড্যান্সিং কুইন, চারপাশ ঘিরে। যাদের চলার ছন্দ, কথা বলার রিদম প্রকৃতির মতন।
শুধু নারী নয় পৃরুষরাও অনেক কালো এবং ভিন্ন মাত্রার মুখ এবং শারীরিক বৈশিষ্টের অধিকারী তাদের নিজস্ততায়। পৃথিবীর বিশাল অংশে এই কালোদের দারুণ অধিপত্যিও এখন।
আমাদের নিজস্ব পরিচয় ছাড়াও গল্পের বিষয় ছিল বিশেষ করে এই সময়ে, অবশ্যই ইলেকশন নিয়ে। ব্রাউন ফেস, ব্ল্যাক ফেসের গল্পটা যখন তুঙ্গে সেটা নিয়ে কথা হবেই। বিষয়টা যাদের জানা নেই তাদের একটু ভূমিকা দিচ্ছি বছর বিশেক আগে কোন এক পার্টিতে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুখ রঙ করে কালো এবং বাদমীদের মতন সেজেছিলেন। সেটা বর্ণবাদ এই অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন তাকে অন্যান্ন দলের প্রার্থি। তার মধ্যে আছেন বর্তমান প্রার্থি এনডি পি পার্টির জগমিৎ সিং এবং কনর্জাভেটিভ পার্টির, এন্ড্রু সিয়ার।
দেখলাম, সবাই ফুৎকারে উড়িয়ে দিল সিয়ার, জগমিতের অনুযোগ। বরঞ্চ জগমিতের অতি ইমোশনে কেঁদে ফেলা অভিনয় করে, এদের হাসি আকাশ ছূঁয়ে ফেলল। বাস্তব জীবনে অনেক বেশি বর্ণবাদী অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই সব মানুষের কাছে কোন এক পার্টিতে সাজানো মুখের ঘটনা এক্কেবারেই নস্যি। বরং তারা দেখছে কোন দলে কি সুযোগ সুবিধা থাকছে এবং কাটছে মানুষের সুযোগ সুবিধা। পছন্দের তালিকায় এদিক থেকে শীর্ষে ট্রুডো। জগমিতের দল অনেক সমতা এবং সুবিধার কথা দিলেও এদের সুযোগ নেই সামনে আসার এখনও। তা ছাড়া দলের নেতাও বিশেষ পছন্দের নয় অনেকের যে কোন কারনে।
রক্ষণশীর দলের রক্ষনাবেক্ষনে হারিয়ে যাওয়া অনেক সুযোগের কথা কেউ ভুলেনি দেখলাম।
যা আছে তাও হারিয়ে ফেলার তেমন ইচ্ছে নেই কারো, ভিতরে ভিতরে চরম বর্ণবাদী এই দলকে কারো পছন্দ নয়।
অতি সাধারন মানুষ হেসে খেলে আনন্দে জীবন যাপন করতে পারবে যে দলের মাধ্যমে তাকেই সমর্থন করবে তারা। এদেশের রীতি নীতি অনুযায়ি তারা যথেষ্ট আধুনিক চিন্তা ভাবনা সম্পন্ন সচেতন মানুষ।
ভোর পাঁচটায় কাজ শেষে পথে নামতেই দেখলাম হাজার হাজার গাড়ি শহরের দিকে ছুটছে। আর আমরা কিছু মানুষ তো ঘুমাইনি সারা রাত কাজ করেছি, তারাও মিলে গেছি এই মিছিলে।
এক পাশের রাস্তা পুরো ফাঁকা অন্যপাশে ঠাঁই নাই। বিকাল বেলা আবার অন্যপাশে ভীড় হবে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার এই যাওয়া আসা।
এত ভোর বেলায় মানুষ পথে নেমে পরে ঘুম ভেঙ্গে। সব সময় আমার দেখা হয় না এই দৃশ্য। আমি লেইট রাইজার। তবে কাজের প্রয়োজনে রাত বিরাত সকাল সন্ধ্যা একাকার হয় ।
মাঝ দুপুরে উঠে বাইরে গেলাম কিছু কাজ সারতে। এফএম রেডিওতে গান শুনছিলাম। মাঝে মাঝে টুকটাক খবর দিচ্ছে। বাড়ির সামনে পৌঁছে থামার সময় একটা খবর বলছিল।
যে খবরটা ভাইরাল হয়ে গেছে আমার আগে শোনা হয়নি। একমিনিট ঘটনাটা জানার জন্য গাড়িতে বসে থাকলাম।
স্পেসাল নিডেড চাইল্ড মানে যে বাচ্চাগুলোকে আলাদা সাহায্য করতে হয়। তেমন একটা স্কুলে বাচ্চাদের হাটানোর সময় ছোট একটা বাচ্চা, কাউকে কিছু না বলে নিজের ব্ল্যাংকেট বিছিয়ে শুয়ে পেয়ে পরে।
এমন পরিস্থিতিতে সব সময় তাকে উঠতে বলা হয়। একা বসিয়ে রাখা হয়। বা অনেক সময় শিক্ষক হাঁটতেও বলে দলের সাথে। ক্লাসে যা নিয়ম তাই পালন করানোর চেষ্টা করা হয়। এটাই নিয়ম সুস্থ বা ডিজেবোল সবার জন্য।
কিন্তু সম্ভবত শিক্ষকের নাম এ্যাস, তিনি বাচ্চাটির সাথে তার পাশে শুয়ে পরেন এবং আস্তে আস্তে তার সাথে গল্প করতে শুরু করেন।
আহা! কি দারুণ একজন শিক্ষক। বাচ্চাটির মনের ভিতর প্রবেশ করার চেষ্টা করে তার সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গী হয়ে উঠেন। এমন শিক্ষক যদি সবাই হতে পারতেন। অকালে অনেক প্রাণ আত্মহত্যা করত না নিয়ম মানার ঠেলায়।
দারুণ খবরটা মেড মাই ডে।
কাল থেকে মনের ভিতর একটা সুখের অনুভব দিয়ে যাচ্ছে গল্পটা যতবার মনে পরছে।াগকছুদিন আত তিনদিন কাটল কালো মানুষদের বিশাল একটা দলের সাথে। সুমালিয়া, ইথিয়পিয়া জিম্বাবু, হেইতি, কঙ্গো, তিউনেসিয়া, মাডাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এ্যাঙ্গেলা, বাটসোয়ানা, গ্রেনাডা, ডমিনিকান রিপাবলিক,কেম্যান আয়ল্যাণ্ড চেনা অচেনা কত নাম। এক কালো মানুষের কত ভিন্ন রূপ। অরিজিন মানুষের সাথে সাদা কোকেসিয়ান এবং পীত মঙ্গোলিয়ান মিশ্রনের ছাপ কারো মাঝে প্রবল ভাবে এখনও বিদ্যমান। অথচ এই শংকর ঘটনাটি ঘটেছে দুই তিন পুরুষ আগে অনেকের জীবনে। এই মিশ্র শংকর মানবজাতীর এক নতুন সংস্করন।
প্রথম দেখায় একই রকম মনে হলেও ভিন্ন গোত্র, সংস্কৃতি, ভাষা এবং খাবার, এবং জীবন যাত্রা। আদি বিশ্বাসের সাথে প্রচণ্ড রকম আধুনিক ।
এরা সবাই খুব হাসিখুশি, গল্পবাজ মানুষ।
আমাদের বসে বসে বেশির ভাগ সময় গল্প করতে হয় আর খাওয়া দাওয়ায় ব্যাস্ত থাকতে হয়। গল্পে গল্পে ভীষণ সুন্দর সময় কাটানোর সাথে জানলাম ভিন্ন প্রকৃতির মানুষের জীবন যাপনের ঐতিহ্যে বিষয়ে।
একটা বিষয় ভীষণ ভাবে উপলব্ধি করলাম, এরা খুব বন্ধু প্রিয় মানুষ, আন্তরিক, উচ্ছোল। অনেক দিন পর যেন, বহু আগের পরিচিত দেশি গ্রামীণ জীবনের আন্তরিকতার স্বাদ পেয়ে গেলাম।
একই ধরনের আফ্রিকান এবং ক্যারেবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মাঝে এক মাত্র আমি ভিন্ন, যেন দল ছুট আগলি ডাকলিংয়ের মতন একজন।
কিন্তু ওদের আন্তরিকতায়, বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারে বোঝার সুযোগই পেলাম না। আমি ভিন্ন কেউ ওদের মাঝে। সময়টা দারুণ কাটল ভিন্ন জাতীর সাথে সরাসরি বন্ধুত্ব পূর্ণ সময় কাটানো এবং তাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপনের নিয়ম শৃঙ্খলা গুলোর বিষয়ে জেনে।
উপরে উপরে ভাসা ভাসা চেনায় আমরা মানুষকে যাচাই করে ফেলি র্নিদ্বিধায় নির্বোধের মতন। মানুষের কাছে গেলে তাদের চেনা হয় অনেক বেশি। গোত্র, জাতী ভেদে প্রত্যেক মানুষের মাঝে থাকে তার নিজস্ব সত্তা।
নিয়ম দিয়ে মানুষকে সুন্দর পথে পরিচালিত করার নিয়মগুলো সব জাতির মাঝে বিরাজমান। অকেদিন পর দেখলাম বয়স্ক মানুষকে শ্রদ্ধা, সম্মান দেখানোর আচরণ।
ওদের মাঝে দেখলাম নাম ধরে নয় বরং বড়দের সম্মান দিয়ে মামা, পাপা বলে সম্মান দেখানোর প্রবনতা।
কালো তুমি যতই কালো হও, দেখেছি সে কালো হরিণ চোখ। কালো সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে রইলাম । শুধু কি হরিণ চোখ কি দারুণ টানটান শরীর। শরীরের গাঁথুনি, বাহু, কাধ, চোখ, মুখ, ঠোঁটের গড়ন অদ্ভুত ভালোলাগায় অনেক চেহারা চোখের দৃষ্টিতে সাজানো রয়ে গেল মনে। রঙ দিয়ে যার কোন বিচার হয় না।
ভাবলাম মানুষ কতো অমানবিক আমাদের দেশের মেয়েদের কালো বলে নির্যাতন করে । এরা কোনদিন আসল সৌন্দর্যই দেখেনি। সাঝ তাদের ট্রেডিশনাল রূপ আরো বেশি সুন্দর হয়ে প্রকাশ পাচ্ছিল। একঝাঁক ড্যানসিং কুইন চারপাশ ঘিরে। যাদের চলার ছন্দ, কথা বলার রিদম প্রকৃতির মতন।
আমাদের নিজস্ব পরিচয় ছাড়াও গল্পের বিষয় ছিল বিশেষ করে এই সময়ে, অবশ্যই ইলেকশন নিয়ে। ব্রাউন ফেস, ব্ল্যাক ফেসের গল্পটা যখন তুঙ্গে সেটা নিয়ে কথা হবেই। দেখলাম সবাই ফুৎকারে উড়িয়ে দিল সিয়ার, জগমিতের অনুযোগ। বরঞ্চ জগমিতের অতি ইমোশনে কেঁদে ফেলা অভিনয় করে, এদের হাসি আকাশ ছূঁয়ে ফেলল। বাস্তব জীবনে অনেক বেশি বর্ণবাদী অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই সব মানুষের কাছে কোন এক পার্টিতে সাজানো মুখের ঘটনা এক্কেবারেই নস্যি। বরং তারা দেখছে কোন দলে কি সুযোগ সুবিধা থাকছে এবং কাটছে মানুষের সুযোগ সুবিধা। । পছন্দের তালিকায় এদিক থেকে শীর্ষে ট্রুডো। জগমিতের দল অনেক সমতা এবং সুবিধার কথা দিলেও এদের সুযোগ নেই সামনে আসার এখনও। তা ছাড়া দলের নেতাও বিশেষ পছন্দের নয় অনেকের যে কোন কারনে।
রক্ষণশীর দলের রক্ষনাবেক্ষনে হারিয়ে যাওয়া অনেক সুযোগের কথা কেউ ভুলেনি দেখলাম।
যা আছে তাও হারিয়ে ফেলার তেমন ইচ্ছে নেই কারো, ভিতরে ভিতরে চরম বর্ণবাদী এই দলকে কারো পছন্দ নয়।
অতি সাধারন মানুষ হেসে খেলে আনন্দে জীবন যাপন করতে পারবে যে দলের মাধ্যমে তাকেই সমর্থন করবে তারা। এদেশের রীতি নীতি অনুযায়ি তারা যথেষ্ট আধুনিক চিন্তা ভাবনা সম্পন্ন সচেতন মানুষ।
ভোর পাঁচটায় কাজ শেষে পথে নামতেই দেখলাম হাজার হাজার গাড়ি শহরের দিকে ছুটছে। আর আমরা কিছু মানুষ তো ঘুমাইনি সারা রাত কাজ করেছি, তারাও মিলে গেছি এই মিছিলে।
এক পাশের রাস্তা পুরো ফাঁকা অন্যপাশে ঠাঁই নাই। বিকাল বেলা আবার অন্যপাশে ভীড় হবে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার এই যাওয়া আসা।
এত ভোর বেলায় মানুষ পথে নেমে পরে ঘুম ভেঙ্গে। সব সময় আমার দেখা হয় না এই দৃশ্য। আমি লেইট রাইজার। তবে কাজের প্রয়োজনে রাত বিরাত সকাল সন্ধ্যা একাকার হয় ।
মাঝ দুপুরে উঠে বাইরে গেলাম কিছু কাজ সারতে। এফএম রেডিওতে গান শুনছিলাম। মাঝে মাঝে টুকটাক খবর দিচ্ছে। বাড়ির সামনে পৌঁছে থামার সময় একটা খবর বলছিল।
যে খবরটা ভাইরাল হয়ে গেছে আমার আগে শোনা হয়নি। একমিনিট ঘটনাটা জানার জন্য গাড়িতে বসে থাকলাম।
স্পেসাল নিডেড চাইল্ড মানে যে বাচ্চাগুলোকে আলাদা সাহায্য করতে হয়। তেমন একটা স্কুলে বাচ্চাদের হাটানোর সময় ছোট একটা বাচ্চা, কাউকে কিছু না বলে নিজের ব্ল্যাংকেট বিছিয়ে শুয়ে পেয়ে পরে।
এমন পরিস্থিতিতে সব সময় তাকে উঠতে বলা হয়। একা বসিয়ে রাখা হয়। বা অনেক সময় শিক্ষক হাঁটতেও বলে দলের সাথে। ক্লাসে যা নিয়ম তাই পালন করানোর চেষ্টা করা হয়। এটাই নিয়ম সুস্থ বা ডিজেবোল সবার জন্য।
কিন্তু সম্ভবত শিক্ষকের নাম এ্যাস, তিনি বাচ্চাটির সাথে তার পাশে শুয়ে পরেন এবং আস্তে আস্তে তার সাথে গল্প করতে শুরু করেন।
আহা! কি দারুণ একজন শিক্ষক। বাচ্চাটির মনের ভিতর প্রবেশ করার চেষ্টা করে তার সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গী হয়ে উঠেন। এমন শিক্ষক যদি সবাই হতে পারতেন। অকালে অনেক প্রাণ আত্মহত্যা করত না নিয়ম মানার ঠেলায়।
দারুণ খবরটা মেড মাই ডে।
কাল থেকে মনের ভিতর একটা সুখের অনুভব দিয়ে যাচ্ছে গল্পটা যতবার মনে পরছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১৮