শোন, উঠে পরো এভাবে একা বসে কান্না করা মানায় না তোমাকে।
প্রেম চলে গেছে, তুমি মরে যাওনি।
অর্থ নেই, তুমি ফুরিয়ে যাওনি
কি নেই বলো, সুস্থতা, সবল দেহ, মেধাবী ভাবনা।
এর চেয়ে বেশি, কি চাই সুখি হতে।
অর্থ কড়ি সুখ দেয় না গো, যন্ত্রনা দেয় অনেক বেশি।
আর খাপে না মেলা প্রেম, জীবনটাকে ছাড়খার করে।
এই চলে যাওয়া ভালো এই আনন্দ এই না থাকার সার্থকতা, দেখো দৃষ্টি খুলে।
বেভারলি হীলের প্রসাদসম বাড়িতে, কান্নার আওয়াজ। দুঃখ, কষ্টের চিৎকার-
বিশ্বাস হয় না বুঝি!
দেখ ব্র্যাড পিট, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি,, হেঁটে গেলো দুজনে দুদিকে এত্ত ভালোবাসা, তারপরও।
আনন্দ সময়ে স্মৃতির ঝাপিতে পুড়ে মন, গুমড়ায় মনের ভিতর।
হিলারী, ক্লিনটন, অভাব তো নেই তাদের। একসাথে বন্ধনে বাঁধা জীবন কাটিয়ে দিল সমাজে।
কখনো গোপন ঘরে একান্তে মনে কি পড়ে না, মনিকা লিউনস্কি ।
এক বিছানায় শুয়ে-
কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেউ জ্বলে অপমানে বুকের আগুনে।
অথবা ভাবো চালর্স, ডায়ানার কথা-
অসংগতি মনে, বিখ্যাত রয়াল ফ্যামেলি, পারল কি সুখের বীজ বুনতে তাদের মনে।
ভালোবাসা খুঁজে খুঁজে মরেই গেল প্রিন্সেস অব ওয়েলস।
চার্লস -ক্যামিলা পরকিয়ার টানে সুখের খুঁজে প্রেমের সরোবরে ডুবে
ভাবেনি আর কারো মর্ম বেদনা।
রাজা রানী হওয়ার বাসনা হলো না পূরণ, নিরবে মনের অনলে পুড়ে মন
অথবা দেখ, ডোনাল্ট ট্রাম্প কেমন আগলে রাখে মেলানিয়াকে ।
যেমন অর্থ সম্পদ চুরি করে গড়েছে মসনদ কেউ,
পালাচ্ছে দেশ থেকে অন্য দেশে। তবু কি মুখ রক্ষা হয়।
টাকার পাহাড়ে বসে স্বস্থি আছে কি তাদের মনে,
পালিয়ে লুকিয়ে নিজেকে গোপন করেই থাকতে হয় তাদের এ সমাজে
শরীরি সুখ, অর্থ সম্পত্তি প্রতিপত্তি আনন্দ উৎসবে, ভয়াবহ ভয়ে কুঁকড়ে থকে মন
যেমন ধরা পরে জেফ্রি এপস্টাইন, আত্মহননে শেষ করল জীবন জেলখানায়।
হিউম্যান ট্রাফিক, নাবালিকা সেক্স, অপমান
বড় হলো বিলিয়ন ডলারের চেয়ে অবশেষে।
চেয়ে দেখ. ওই মাটি ঘেষে বসে থাকা প্রাণ খোলা হাসির মানুষ দুজনকে।
কেমন পা ছড়িয়ে বসে আনন্দে মিশে যাচ্ছে মনের ভিতর মন দিয়ে।
সকালে খাওয়া হয়নি। দুপুরে বা রাতে পাতে কিছু পরবে কি না তার নেই ঠিক
অথচ ভাবনাহীন আনন্দে মন মেলে দিয়ে তারা নাচছে সুখে।
ভাবছো,প্রলিতারিয়েত জীবন তুমি নিঃস্ব
গরীবপনায় এবং নিঃস্বতায় সুখ নামেই এক অলিক শব্দ।
আসলে সুখ নয় মরীচিকা খোঁজলেই পাওয়া যায় মনের গভীরে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৭