somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

নিষিদ্ধ গন্দম

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যৌনতা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় মানব জীবনে। এই স্বাভাবিক বিষয়টিকে অস্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে ভাবনা দিয়ে।
মানুষের জন্মই যৌনতার মাধ্যমে। অথচ মানুষের যত লজ্জা আড়াল রাখ ঢাক, এই যৌনতাকে ঘিরে।
যে বিষয়টা না থাকলে মানব জীবন হয়ে যাবে শূন্য মরুভূমি। যে বিষয়টাকে প্রতিটি মানুষ আকাংঙ্খা করে সে বিষয়টাকে খুব যত্নে দূরে রাখার শিক্ষাটা দেওয়া হয় সামাজিক ভাবে, ধর্মীয় ভাবে পারিবারিক ভাবে।
দূরে থাকো দূরে থাকো। ছেলেরা মেয়েদের দিকে তাকাবে না। মেয়েরা ছেলেদের দিকে তাকাবে না । মেয়েদের দেখা পাপ। ছেলেদের দিকে তাকানো পাপ। পর পুরুষ পর নারী দূরে থাকা এমন ভাবনাগুলো মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
এই পাপ, বোধের ভাবনা মাথায় দিয়ে নিজের ভাবনা এবং শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা যতটা দেয়া হয় আমাদের সমাজে।
নিজের শরীর, ভাবনা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়টাকে বোঝার শিক্ষা ততটা দেয়া হয় না কোথাও তেমন ভাবে, না শিক্ষা ক্ষেত্রে, না পরিবারে। স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে ষষ্ট বা সপ্তম শ্রেণীতে একটা অধ্যায় আছে যেখানে শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ এবং তার কার্যক্রম সম্পর্ক, শিক্ষা দেওয়া হয়। উপরের শ্রেণীতে আরেকটু বিস্তৃত আলোচনা করা হয়।
যেটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয় সেই বয়সের বাচ্চাদের শরীর এবং জীবন চক্র সম্পর্কে জানার জন্য।
অথচ বেশির ভাগ স্কুলে এই চ্যাপ্টারটা পড়ানো হয় না। কোন কোন শিক্ষকরা মুখ নিচু করে লাজুক ভাবে বলে দেন এই চ্যাপ্টারটা পড়ে নিও। কিন্তু এই চ্যাপ্টারের বিষয় বস্তু সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যাখ্যয় শরীর, মন সম্পর্কে জানানোর প্রয়োজনীয়তা শিক্ষকরা তেমন অনুভব করেন না। পরিবারেও কিশোর কিশোরীদের সাথে অভিজ্ঞ বিষয়ে কোন ধারনা দেন না অভিভাবক। বরং এই বিষয়টি পুরোপুরি নিষিদ্ধ আলোচনার উর্ধে একটা বিষয় মনে করে দূরে সরিয়ে রাখেন।
প্রকৃতিগত ভাবে তাদের শরীর বেড়ে উঠা বা মনের মধ্যে নতুন ধরনের অনুভুতি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে কি ভাবে তার শুদ্ধ ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে জানান না। আড়ালের নিষিদ্ধ একটি বিষয় হিসাবে তারা জানে। এবং নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে খুব স্বাভাবিক ভাবে।
আমার স্কুল পড়ার সময় দেখেছি আমার বন্ধুরা মুখ টিপে হাসা হাসি করত বইয়ে কিছু পড়ে। আমি তখনও রূপকথার রাজ্যে থাকতাম আমি কখনো বইয়ের পিছনের সে পাতা পর্যন্ত উল্টিয়ে দেখিনি। ওদের হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে বন্ধুরা আমাকে দেখিয়ে দিয়েছিল এটা পড়ে দেখিস। কিন্তু কোন টিচার আমাদের সেই চাপ্টার পড়াননি।
পরিচ্ছন্ন নয় আলো আঁধারির একটা ভাবনা আমাদের মনের মধ্যে নিজেরা শরীর এবং সম্ভাব্য কিছু বিষয় ভাসাভাসা ভাবে এঁকে নিতাম।
এখন ওপেনলি অনেকে লিখেন। কিশোর বয়সে নারী দেখার আগ্রহ বা লুকিয়ে নানা পর্ণ বই পড়ার বিষয়গুলি অনেকেই লিখে ফেলছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন প্রথম নারী দেখার আগ্রহে, দেবী মূর্তির দিকে তাকিয়ে ছিলেন, এই বিষয়টা প্রকাশ করলেন তখন বিশাল হৈচৈ হয়েছিল। দেবীকে কাম চোখে দেখেছেন বলে। অথচ এটা ছিল স্বাভাবিকতা এবং তিনি সেটা প্রকাশ করেছিলেন স্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু বুঝতে না পারা মানুষ অনেক হৈ চৈ করেছিল বিষয়টি নিয়ে।
অথচ এমন না যে এই মানুষগুলো কামহীন। কিন্তু নিজেকে পবিত্র্ দেখানাো এক ধরনের চেষ্টা করার ভাবনাও সমাজে দেওয়া হয়।
একটা মুভি দেখেছিলাম, যেখানে একজন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মঙ হওয়ার সাধানায় নিজেকে পবিত্র করার জন্য নির্জনে একা জীবন যাপন করছে কিন্তু তার চোখের সামনে কেবল ভাসছে নারী। এবং শেষ পর্যন্ত সে তার ব্রত শেষ করে মঙ হতে পারল না স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল।
তেমন ভাবে নানদের যৌন সংসর্গ এড়িয়ে চলতে হয়। প্রিস্টদের দূরে থাকতে হয় নারীদের থেকে। মোল্লা মৌলভীদেরও নারী থেকে দূরে থাকার শক্ত নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু দেখা যায় যত ধরনের অপকর্ম এইসব ধর্মশালাগুলোতে গোপনে হয়ে থাকে।
গত শতাব্দিতে বহু এতিম শিশু যারা অনাথ আশ্রমে এবং চার্চে লালিত পালিত হয়েছিল তাদের জীবনের ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছিল কয়েক বছর আগে সমস্ত মিডিয়া।
সেই সব অসহায় ছোট শিশু গুলো বয়স্ক হয়েছে কিন্তু ভুলতে পারে নাই যৌন নির্যাতন শিশুকালের। অনেকের সাথে যোগাযোগ করে এক হয়ে সবাই মিলে অভিযোগ এনেছিল প্রিস্ট এবং রক্ষকদের বিরুদ্ধে। অবশেষে শাস্তি হয়েছে অনেকের যারা বেঁচে আছে তাদের।
এখন দেশে প্রচুর মাদ্রাসা শিক্ষক বলৎকার এবং ধর্ষণের জন্য ধরা পরছে।
যত বেশি নিষিদ্ধ ততবেশি গন্দম ফলের জন্য আগ্রহ মানুষের।
একটি শিশু সাত আট বছরে আমি হয়ে উঠে যা আমাদের ধারনার বাইরে। তাদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তা ডেভলাপ করতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশি ধারনায় একটা শিশু কখনো সে নিজস্ব সত্বা হয়ে উঠে না। সব সময় বাবা মায়ের কাছে শিশুই থেকে যায়। তাই অভিভাবক তাদের পরিবর্তন গুলো বোঝারই চেষ্টা করেন না। সাথে তাদের নৈতিক অনৈতিক বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেন না। প্রতিটি বছরে ধাপেধাপে মানব শরীরের পরিবর্তনের সাথে মানসিক পরিবর্তন গুলো হয় এটা বিজ্ঞান। তা অস্বীকার করার উপায় নাই। অথচ সমাজিকতায় এই বোঝার বিষয়টি দূরে রাখার প্রবনতা।
অনেকের ধারনা এখনো বড় হয়নি। বিয়ের বয়স হলে বলা যাবে কিন্তু সে বয়স পর্যন্ত বাবা মা কেউ তাদের সাথে শরীর, মন নিয়ে কখনো আলোচনা করেন না, কিছু ব্যাতিক্রমী পরিবার ছাড়া। বরং বাচ্চারা শিখে বন্ধু বান্ধবের থেকে অনেক কিছু বর্তমান সময়ে খুব সহজে অর্ন্তজাল থেকে, অনভিজ্ঞতা আর কৌতুহলের বিষয় হিসাবে। যা আগ্রহের বিষয় দেখে জানে কিন্তু সঠিক ভাবে ব্যবহার শিখে না।মূল্যায়ন হয় না ভালো মন্দ । শুধু জাগে আকর্ষণ অচেনা জগতের প্রতি।
অনেকে খুব সহজে বর্তমান সময় খুব খারাপ, এই সিস্টেম ঐ সিস্টেম খারাপ প্রভাব ফেলছে এমন অনেক কিছু অভিযোগ চট জলদি করে ফেলেন কিন্তু মূল বিষয়ে আলোকপাত করে তার সঠিক সমাধানের চেষ্টা করেন না। জানার চেষ্টা করেন না সন্তান কোথা থেকে, কি শিখছে।
বিদেশের পড়ালেখার সিস্টেমে বাচ্চাদের ক্লাস সিক্সে মানব জন্মের সমস্ত প্রক্রিয়াটি চাক্ষুষ দেখিয়ে, শিখানো হয় এবং তার সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি, উপকারিতা অপকারীতা সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে তাদের জানানো হয়।
বাচ্চাদের যে এ বিষয়ে জানানো হবে তা অভিভাবকদের আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত দেশের অভিভাবক বিদেশের উন্নত দেশে থেকে তাদের সন্তানদের শিক্ষার এই অধ্যায়টা যেন বাচ্চাদের শিখানো না হয় তা নিয়ে আপত্তি তুলেন বা অনুমতি দেন না। অনেক সময় খবর পাওয়া যায় কমিউনিটির বয়স্ক লোক শিশু নির্যাতন করেছে। এজন্য আরো অল্প বয়সে, নিচু শ্রেণীতে শিক্ষা ব্যবস্থায় শরীর সম্পর্কে জানানোর বিষয় অর্ন্তভূক্ত করার উদ্যোগ নিলে অভিভাবক, হা রে রে রে, গেলো গেলো করে তেড়ে উঠেন। এবং বাঁধা দেন।
অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের সহজ মেলামেশার উপর নিষেধ দিয়ে রাখেন ফলে সেই সন্তানটি গোপনে অনেক কিছুর প্রতি আগ্রহী হয়। বয়সের ধর্ম অনুযায়ী। অভিভাবক বুঝুক না বুঝুক, চান না চান শরীর মনের পরিবর্তন গুলো আসবেই। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মধ্যে যেমন আসে, মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্দীর মধ্যেও হয়। এটাই সুস্থ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
এজন্য যতটা সম্ভব গাইড লাইন নিজেরা দিয়ে দিলে খোলামেলা আলাপ করলে অনেকটা হয়তো সংযত হতে পারে কোমলমতি বাচ্চারা কৌতুহলের সাথে অপকারীতার ভয়ও তাদের মনে থাকবে।
খুব বড়াই করে অনেকে বলেন এখন সব খারাপ, আগে ভালো ছিল। কিন্তু এই একটা বিষয় আদি কাল থেকে একই রকম। রাজা বাদশাদের হেরেম, বাইজী খানা থাকত। পত্নী ছাড়াও উপপত্নী অনেক থাকত। এছাড়া আদি পেশা, পতিতালয়ে মেয়েদের রাখার নিয়ম সব সময় ছিল। মেয়েদের যেহেতু নানা ভাবে দমন পীড়নের মধ্যে রাখা হয়েছে সব সময়। তাই নারীরা বাধ্য হয়ে যেমন কেউ বিয়ের সাজে রাণী হয়েছেন, আবার কেউ বেশ্যা হয়েছেন। অবস্থার উপর নির্ভর করে।
রানী কিন্তু চোখের জলে ভেসেছেন রাজা তো বাইজী বা হেরেমে বা উপপত্নীর সাথে । ঘরে ঘরেও ছিল বান্দীর ঘরের এবং বেগমের ঘরের সন্তান । যা পরবর্তিতে ঠেকেছে চাকরানী বা কাজের লোকের সাথে সম্পর্কে। আরো পরে অফিসের কলিগের সাথে। অসহায় স্ত্রীদের করুণ সংসার সব সময়।
নিয়ম করে ছোট মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয়েছে আগের সময়ে । ছোট মেয়ে বড় হওয়ার অপেক্ষা সময়ে, স্বামী অন্যকারো বাহুলগ্না হয়ে কাটিয়েছেন।
ঐ অনেক বয়সের স্বামীটি বিয়ে করেই আবার বউ রেখে চলে যায় দূরে কাজের জন্য। বিবাহিত দুজন মানুষকে তখন থাকতে হয় নিজেদের ইচ্ছা ভুলে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শামসুদ্দীন, আবু জাফর, সুচিত্রা মিত্র, মৈত্রেয়ী দেবী এবং আরো অনেক লেখকের লেখা গল্প উপন্যাস্যে, রাজা জমিদার ছাড়াও সাধারন মানুষের জীবনেও যে এমন অবৈধ সম্পর্ক গুলো ছিল তা সমাজের প্রতিফলন লিপিবিদ্ধ হয়েছে।

এত কিছু ঘটনা মানুষরা ঘটাচ্ছে আবার মানুষরা এক প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয়া শিশুকে বৈধ অবৈধ নাম করণ করছে।
যত গুলো দেশ বেশি রক্ষণশীল নারী পুরুষের সম্পর্কে, সহজ মেলামেশায়, সেসব দেশের পুরুষ অনেক বেশি বিকৃত ভাবে আকৃষ্ট নারীর প্রতি।
আর এক ধরনের মানুষ নিজেদের পেশা করে নিয়েছে, নারীর শরীরকে মূলধন করে। তাদের তৈরি করা ছবি যা নীল ছবি নামে খ্যাত। ছবিতে যা দেখা যায় বাস্তব তার চেয়ে বহু দূরে অথচ ব্যাটম্যান, সুপারম্যানের দালানের উপর থেকে ঝাঁপ দেয়া দেখে আকৃষ্ট হওয়া আর পর্ন মুভি দেখে সে রকম আচরণ করার চিন্তাটা অনেকটা একই রকম। কোনটাই বাস্তব নয় কিন্তু মানুষ নেশায় বুদ হয়ে যায় ছবির মতন হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
আকাম কুকাম করার চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করে।
তবে নীল ছবি ছাড়াও প্রকৃতগত ভাবে মানুষ বিচিত্র স্বভাবের হয়। কারো মাথায় জৈবিক চিন্তা সব সময় থাকতে পারে। কারো এর জন্য কোন ইচ্ছা জাগে না এমনও আছে উল্টো ভাবে । অনেক অবাধে মেলামেশার সুযোগ আছে এমন দেশগুলোতে ইদানিং অনেকেই এত ব্যাস্ত নিজের কাজ ক্যারিয়ার জীবন নিয়ে, তাদের যৌন বিষয় নিয়ে ভাবার মতন সময়ও থাকছে না, ত্রিশ পয়ত্রিশ বছরের পর । নারী পুরুষ কেউ আগ্রহী নয় যৌনতায়। ফলে কমে যাচ্ছে সংসার এবং সন্তান সংখ্যা। বিষয় গুলো ভাবলে কেমন গোলমেলে লাগে সব কিছু । আবার অনেক দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে একমাত্র বিনোদন যৌনতা। মানুষ বড় বিচিত্র প্রাণী। তাদের ভাবনা চিন্তা অনেক রকম পার্থক্য।
বিয়ে একটি বৈধ যৌন আচরণের আইন। এই পন্থা অবলম্বন করলে সব দোষ মাপ। কিন্তু এই অবস্থায় যাওয়ার জন্য দিনদিন অবস্থা কঠিন হয়ে যাচ্ছে । পড়ালেখা শেষ করতেই জীবনের পাঁচিশ বছর চলে যায়। ভালো একটি কাজ পেয়ে বিয়ে করার অবস্থায় যেতে মানুষের আয়ু ত্রিশ থেকে আটত্রিশের ঘরে ঢুকে যায়।
স্বাভাবিক হরমোন গুলো যখন শরীরের কিছু কাজ করার জন্য মানুষকে পাগল করে তোলে সে সময় তাদের থাকতে হয় নির্বিকার, অবস্থার কারণে। বেশির ভাগ মানুষই সমাজ এবং আইন মেনে ধর্মর কথা শুনে, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে, নিজেকে বিরত রাখে শারীরিক মেলা মেশা করা থেকে। তবে অনেকেই নানা অবৈধ উপায়ে বিয়ের অনেক আগেই নিজের জীবনের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে এবং সব সময় এক ধরনের পাপ বোধে ভোগে।
সমাজ, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে কার সাথে কে মিশল কে কি করল এসব নিয়ে মানুষ খুব সোচ্চার প্রয়োজন বোঝার চেয়ে। নারীদের ব্যবহার করা হয় যৌনতায় আবার নারীকেই মেরে ফেলা হয় দোররা, পাথর মেরে।
নারীরা তো নিজেদের যৌন চাহিদা আছে বলেই জানে না আমাদের সমাজে। এমনটাই শিক্ষা দেওয়া হয়। ভাবাও হয়। অথচ চাহিদা নারী পুরুষ সবার জন্যই সমান। অনেক ক্ষেত্রে নারীর চাহিদা পুরুষের চেয়ে বেশি। ঘরে ঘরে অনেক নারী অতৃপ্তির যৌন জীবন যাপন করে যা পুরুষ সঙ্গীও অনেক সময় জানে না। বা জানলেও পাত্তা দেয় না। বরং একজন নারীকে রেখে অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ তাদের মাঝে বেশি দেখা দেয়। এটা যে তাদের যৌনতার প্রয়োজনে তা কিন্তু নয় বেশির ভাগ, কিছু ফ্যাণ্টাসি ধারনা কাজ করে। অনেক নারীরে সঙ্গ করেছে এমন এক ধরনের আহম্মকি অহমিকা তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।
আজকাল অনেক নারীরাও প্রকাশ্যে অনেকের সাথে সর্ম্পক করছে। পুরানো দিনের মহিলাদের মতন তারা মনে চাইলেও মুখে না বলায় বিশ্বাস করেন না। এটা তাদের মৌলিক চাহিদা এবং ফ্যাণ্টাসি দুরকমই হতে পারে।
আবার অনেক নারীর কাছে আদি পেশায় প্রেমের ছলনায় নিজস্ব ব্যবসা করা। এ ক্ষেত্রে স্বার্থক সে সব নারী । আগের মতন রাজা বাদশা জমিদার নেই এখন কিন্তু প্রচুর ধনী আছে যারা টাকা পয়সা হয়ে গেলে নিত্য নতুন নারী সঙ্গ খোঁজে।
এসব প্রয়োজনের চেয়ে, বেশি মনের ফ্যাণ্টাসি। এরা নারী পুরুষ উভয়ে পরিবার সমাজের অবক্ষয় করে তাদের অসততা দিয়ে।
টাকাওলা কামুকপুরুষদের ভেড়া বানিয়ে নারীরা কামাই করে নিচ্ছে, দু হাতে সহজে। বিত্তশালীদের এক ধরনের পতিতা বৃত্তি ঘরের ভিতর চালু হয়েছে এখন। রাস্তা থেকে মেয়ে নিয়ে সস্তা হোটেলে যাওয়ার মতন নয় কিন্তু একই ঘটনা ঘটছে বিলাস বহুল বাড়ির ভিতর । পাপিয়াদের মতন নারীরা নিজেদের পাশাপাশি এখন অন্য মেয়েদের দালাল হয়ে যায় এই সুযোগে, সভ্যতার আভরণে।
আরো একদল আছে যারা ধরি মাছ না ছুঁই পানি এমন ভাবে নিজেদের খুব সামাজিক অবস্থানে ভালো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে কিন্তু একই কাজ করে। এরা টাকা দিয়ে সঙ্গী নেয় না কিন্তু এরা করে প্রেমের ছলনা।
হুমায়ুন আহমেদ হতে পারে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যখন খুব কায়ক্লেশে অনটনে জীবন যাপন চলছিল তখন তিনি গুলতেকিনের সাথে ভালোই ছিলেন। কিন্তু অর্থ প্রতিপত্তি হওয়ার সাথে নারী সঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। নাটকে নিয়ে আসা নতুন নতুন কিশোরীদের তাঁর প্রতি ভয়ানক আকর্ষণ, ভালোবাসার উন্মাদনার সুযোগ নিয়ে ব্যবহার করেছেন অনেককে দিনের পর দিন। কিন্তু শেষমেষ বাচ্চা মেয়ে শাওনের কাছে আর ছাড়া পেলেন না।
পুরুষদের পাশাপাশি এমন প্রেমের ছলনায় বেঁধে ফেলাতে নারীরাও ওস্তাদ এখন। বহু মানুষের ক্ষতি করছে, সংসার ভাঙ্গছে এই সব নারী। আমার এক পরিচিত কিছু দিন আগে জানালেন তিনি সাত নাম্বার স্বামী হয়েছিলেন এক ধড়িবাজ নারীর। অথচ বুঝতেই পারেননি, কি ভাবে তার মায়ার জালে জড়িয়ে পরেছেন। যখন সব কিছু উল্টে যেতে থাকল, তাকে নিজস্ব গণ্ডি থেকে দূরে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র হলো তখন উনার নেশা কাটল এবং কোন রকমে ধড়িবাজ নারীকে আইনের জালে আটকাতে পারলেন। বড় বড় পেশায় নিয়োজিত অনেকেই তার মতন ঐ মায়াবীর মায়ার খেলায় ধরা পরে অর্থ সম্পত্তি অনেক কিছু খুঁয়েছেন।
কিন্তু মুখ বন্ধ করে থাকেন অনেকে সামাজিক লজ্জায়।
১৯৫০-৬০ সালের দিকেও ইউরোপ আমেরিকার পশ্চিমা সমাজে মেয়েদের অবস্থা আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার মতনই ছিল । ঘরে ঘরে ধর্ম পালন , সামাজিক নিয়ম পালন দেখাশোনার মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া প্রচলিত ছিল । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময় থেকে যুদ্ধউত্তর সমাজে নারীরা ঘর ছেড়ে বাইরের কাজে যোগ দেওয়ার পর থে্কেই সমাজ চিত্র বদলাতে থাকে।
নারীরা নিজেদের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। অনেক জোর জবরদস্তি করেই তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়ার অবস্থায় আসতে হয়েছে। এখনও অনেক ক্ষেত্রে নারী, পুরুষদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদিও নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছেন এখন। অনেকটাই যেমন আমাদের বেগম রোকেয়াকে পদে পদে লাঞ্চিত হয়ে মেয়েদের পড়া লেখার জন্য ঘরের বাইরে আনতে হয়েছিল। উনার সেই সময়ের কষ্ট বর্তমানের সুযোগ পাওয়া অনেক নারী বুঝতেই পারবে না। কিন্তু অপব্যবহারে করছে অবলীলায়।

যখন ক্লাস সেভেনে পড়া আমার ছেলে আমাকে জানাল ক্লাস ফোরে থাকতে তার বন্ধুরা সিগারেট খায় এবং স্কুলের ব্যাগে মদের বোতল নিয়ে আসত। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম মদ তারা কই পায়। ও জানাল বন্ধুদের বাড়িতে মদপান অবারিত ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম । ছেলে মদ এবং সিগেরেট কোনটাই খায় নাই কারণ সে এসবের গন্ধই সহ্য করতে পারত না। গন্ধ সমস্যা না করলে সে হয় তো চেখে দেখত সেই অল্প বয়সে বন্ধুদের পাল্লায় পরে। ঘটনা বিদেশের নয় কিন্তু আমি জানতে পারলাম বেশ কিছু সময় পরে বিদেশের পরিবেশে । যখন মাকে না লুকিয়ে অনেক কথা মাকে বলা যায় এবং মায়ের সাথে শেয়ার করাটা ভালো সে বুঝতে পারে, বিদেশের পরিবেশে এসে। আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম আমার জানার বাইরে কত কিছু ঘটে থাকে। আমার বোধ উদয় হওয়ার পর তাকে বলে রেখেছিলাম যে কোন ঘটনাই যেন আমাকে জানায়। এবং আমরা প্রতিটি বিষয়ে খুব খোলাখুলি আলাপ করি।
কিন্তু দেশে আমি ভাবতাম ছেলের সব কিছুই আমি জানি, বাচ্চা ছেলে কি আর করবে। এমন অগাধ বিশ্বাসে, অভিভাবক থাকেন সেটা তাদের দোষ না। কিন্তু এখন সময় সচেতন হওয়ার। আর সেটা সম্ভব যদি মা বাবা হওয়ার আগে তারা নিজেরা আরো বিষয়ে ভালো জানেন তা হলেই। আমাদের দেশে বাচ্চাদের তো কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে দেওয়া হয় না। বাবা মা সব সামলে নিতে চান। বাচ্চাদের আলগে রাখেন। ফলে একটু বোকাবোকা ভাবে বাস্তব বুদ্ধিহীন হয়েই বড় হয় অনেক সুখি পরিবারের সন্তান। তবে স্ট্রাগল করা পরিবারের সন্তানরা চালাক চতুর হয়। বাস্তবতার কষাঘাত তাদের জানিয়ে দেয় জীবনের কুলষিত পথঘাট।
বিদেশে দেখেছি, পরিবারের সমস্যা নিয়ে সব বিষয়ে বাচ্চাদের সাথে আলোচনা করা হয় তাদের বয়স অনুযায়ী। এ ছাড়া তারা অনেক কিছুতে অভিজ্ঞ হয়ে উঠে শিক্ষায়।

বিদেশে ছেলে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে খুব স্বাভাবিক সুন্দর বন্ধুত্ব করে। কারো শারীরিক, মানসিক ক্যামেস্ট্রি কাজ করলে একে অন্যকে চাইলে সহজে তারা মেলামেশা করে এটা হতে পারে দীর্ঘ বন্ধন হতে পারে খানিক মোহ। তারা বুঝতে পারে তাদের একশতে একশ না হলেও সত্তর আশি ভাগ পছন্দ কাজ করছে। তারা সেখান থেকে নিজেদের সঙ্গী বেছে নেয়। মেলামেশার শুরুতেই তারা ঠিক করে ফেলে না, এই আমার জীবনের একমাত্র সঙ্গী যার সাথে আমার সারা জীবন কাটাতে হবে। মানুষের জীবন, তাদের পছন্দ অপছন্দ এবং প্রয়োজনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চলতে চলতে অনেকেই এক সাথে ঘর বেঁধে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়।
আমাদের দেশের অনেকের ভুল ধারনা আছে, বিদেশের কোন সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমার নিজের পরিচিত বহু দম্পতিকে দেখেছি পঞ্চাশ ষাট বাৎসর বা তারচেয়ে বেশি সময় এক সাথে এক স্বামী, স্ত্রীর সাথে আনন্দের জীবন কাটাচ্ছেন।
তবে আমাদের দেশের প্রধান এবং প্রথম ধারনা দেওয়া হয় বাধ্যতামূলক ভাবে একজন সঙ্গীর সাথে এক জীবন কাটানোর ।
অনেক সংসার পেতে বসেন ভুল মানুষের সাথে। যেহেতু সম্পর্কে জড়িয়ে গেছেন একজনের সাথেই জীবন যাপন করতে হবে এই সামাজিক ধারনা থেকে। একজন মানুষের সাথে সারা জীবন ধরে থাকার সিদ্ধান্ত খুব যত্ন করে নিতে হয়। অথচ এখানেও আমাদের ধারনা ভুলের উপর করা হয়। মনের মিলের চেয়ে চোখের দেখা সুন্দরের আকর্ষণ মোহ, বেশি দেখা হয় বিয়ের জন্য। অনেক ছেলেরা অনেক নারী সঙ্গ করার পর বিয়ের জন্য চায় ভার্জিন। মানসিকতায় দ্বৈত ধারনা খুব যত্নে ধারন করা হয়।
মানুষের চাওয়া, পছন্দ ইচ্ছা অনিচ্ছা অনেক কিছু সভ্যতার প্রয়োজনে বদলে যাচ্ছে। জোড় করে আটকে রাখা যাবে না সময়ের স্রোত।
এখন আমাদের অনেকের ভাবনা চিন্তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, সময়ের সাথে। যদিও নানা রকম রক্ষণশীলতা দিয়ে বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু অনেক রকম বাঁধা নিষেধ মানতে অনেকেই চাচ্ছে না। লিভটুগেদার থেকে সমকামিতা বা বিয়ের আগে শারীরিক ভাবে মেলামেশা করা এসব বিষয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষ।
খুব স্বাভাবিক ভাবে এই দ্রুত পরিবর্তনের, নেতিবাচক প্রভাব পরছে । পরিবার থাকার পরেও অনেকে জড়িয়ে পরছে পরকীয়ায় যা একটি অপরাধ। আগে যে অপরাধ শুধু পুরুষরা করত এখন অনেক নারী আবার নানারকম নারী স্বাধীনতার নামে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে এই অবাধ সহজ মেলামেশার সুযোগ পেয়ে। কথায় কথায় পশ্চাত্যের দোষ দেয়া হচ্ছে কিন্তু পশ্চাত্যের অনুসরন সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। পশ্চাত্যে যে পরিবর্তন শুরু হয়েছিল উনিশ চল্লিশের দশকে ধীরে ধীরে এতটা পথ আসার পরও আগের কিছুটা রক্ষণশীলতা এখনও অনেক গ্রাণ্ডামা, গ্রাণ্ডপা বা তাদের পুত্র কন্যা ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবং দেশের নিয়ম আইন করা হয়েছে অনেক বেশি সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
কিন্তু আমাদের দেশে খুব দ্রুত হচ্ছে পরিবর্তন অল্প সময়ে। বোঝে উঠার আগে তাই নানারকম অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে পরিবর্তনে যাওয়া মানুষরা।
সুস্থ ভাবে অনেক কিছু হচ্ছে না। পরিবারে মা বাবা দুজনের ব্যস্ততা । সন্তানের একা বাড়িতে থাকা । অর্ন্তজালে ঘোরাফেরার অবাধ সুযোগ নানা রকম প্রভাব বিস্তার করছে পরিবারে সদস্যদের অজানায়।
নেই সঠিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি এবং আইন কানুন।
সন্তানের সাথে কাছাকাছি হওয়ার প্রবনতা খোলামেলা কথা বলা সুন্দর পারিবারিক সম্পর্ক এবং স্কুলের সুষ্ঠ সুস্থ শিক্ষা অনেকটাই পরিবর্তন করতে পারে অবস্থা। তারপরে থাকতে হবে আইন। যা জানা থাকবে সবার সব সময়। কারো ইচ্ছা ছাড়া কাউকে স্পর্শ করা বড় রকম অপরাধ। এই কাজ করলে জীবনে চৌদ্দ শিকের বাইরে আসা যাবে না এই একটা ভয় মনে থাকলে অনেক কিছু কন্টোল হয়ে যাবে।
ধর্মের নামে, নারীদের বিকৃত ভাবে পরিচয় না করিয়ে, মানুষ হিসাবে পরিচয় করাতে হবে শিশুকাল থেকে। যাতে অযথা নারীর শরীরের কিছু অংশের জন্য নারীকে অন্য রূপে দেখে তাদের উপর হামলা না করে কেউ।
প্রতিটি মানুষকে সমান ভাবে সম্মান দিতে শিখলে, মানুষ ভাবলে, সমাজে অনেক রকম বৈষম্য নির্যাতন অনেকটাই কমে যাবে।
যৌনতাকে এড়ানো যাবে না তবে এটা যেন কোন পরিবারের কান্নার কারণ না হয় তা বোঝানোর চেষ্টা যত আগে নেয়া হবে ততটাই মঙ্গল হবে।
রক্ষণশীলতার ভয়াবহতা, দিয়ে না বেঁধে ফেলে সহজ করে ভাবলে সমস্যা কম হবে ।





















সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০২
৩১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×