somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যানজটের উপকারিতা নিয়ে একটি কাল্পনিক টকশো। ( পর্ব-১)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপস্থাপকঃ শুপ্রিয় দর্শক মন্ডলি আজকের "বেহুদা প্যাচাল বাক্স"; অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আপনাদের স্বাগতম। আমি কুদ্দুস আছি আপনাদের সাথে। আমাদের সাথে আজকে উপস্থিত আছেন, সমাজের বিশেষ অজ্ঞ জনাব "কুতকুত খান"; এবং অখ্যাত সেলেব্রেটি "জলন্ত খলিল"।

তারা আজকে বেহুদা আলোচনা করবেন যে বিষয়টি নিয়ে, সেটি হলো, "যানজটের উপকারিতা"।

যানজটের উপকারিতা আসলে কি কি? বলবেন বিশেষ অজ্ঞ জনাব "কুতকুত খান";

কুতকুত খানঃ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রনের জন্য আপনাখে অসংখ্য দন্যবাদ। বেশি কতা না বলে আমি আগিয়ে যাই। যানজটের প্রথম উপখারিতা, আজকালকার সময়ে মানুষের আয়ু খমে যাচ্ছে। কারণ রাতে মানুষ ঠিক মত ঘুমাইতে পাইরতে আছেনা। কিন্তু মানুষের সুষ্ঠুভাবে বেচে থাকইবার লাইগা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম দরকার তো আছে অবশ্যই। কিতা কন আফনে?

উপস্থাপকঃ জ্বী অবশ্যই, অবশ্যই।

কুতকুত খানঃ এই যানজট মানুষকে যাত্রা পথে সেই নির্দিষ্ট পরিমান ঘুমের সুযোগ কইরে দিচ্ছে। এটাই হল কি? যানজটের উফকারিতা।

উপঃ আচ্ছা আচ্ছা, মানে আরেকটা উপকারিতার কথা বলতেন!

কুতকুতঃ আফনে দেখি আমারে ভালা পাইসেন। আমারে যখন এতুই দাম দিচ্ছেন তাইলে কয়ে ফেলাইলাম। ধরেন, আজকাল কি?

উপঃ আজ শুক্রবার, কাল শনিবার।

কুতকুতঃ ধুরু মিয়া, আফনে বেশি বুঝেন। আমি কি আপনার থুন, বার জিগাইসি নাকি? বললাম, আজকাল হচ্ছে দ্রুতগতির যুগ। থ্রী জি ফুর জি। তো এখন প্রেম পিরিতি বাড়ি গেসে আরকি। তো এখন বনে-বাদাড়ে, দোকানে-পাটে কত জায়গায় ছেলে মেয়ে কত কষ্ট করে যে প্রেম কইরতে আছে আপনি কি চিন্তা করছেন? আহারে মাসুম বাচ্ছাগুলা! ( মন খারাপ করে, কাঁদো কাঁদো হয়ে বলবেন)

উপঃ আপনি আসল কথা বলেন!

কুতকুতঃ আসল কথা হচ্ছে, এসব ছেলেমেয়েরা তো ফ্রিতে রাস্তায় প্রেম করিয়া ফেলছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ক্ষিদা লাগলে নিচে নামিয়া দুইটা সিদ্ধ ডিম খাইয়া আবার গল্প শুরু করিল!

উপঃ বাহ! আপনি তো আসলেই খুব জ্ঞানী অজ্ঞ। (কুতকুত পুলকিত) সুধী দর্শক, আমাদের সাথে আজকে আরো উপস্থিত আছেন ফেসবুক সেলিব্রিটি জলন্ত খলিল। আমরা উনার কাছ থেকে জানতে চাইবো,

উপঃ কেমন আছেন আপনি?

জলন্তঃ আমি ভালো আছি, তবে আমার নাম খলিল না।

উপঃ ( অবাক হয়ে ) আমরা সবাই তো আপনাকে এই নামেই চিনি।

কুতকুতঃ ভাই মনে হয়, ফেক আইডি ব্যবহার করে।

জলন্তঃ চুপ থাকুন!( রাগান্বিত হয়ে টেবিলে চাপড়) আমার বাবার দেয়া নাম কুদ্দুস, জ্বলন্ত খলিল আমার নিজের দেয়া নাম।

উপঃ তা খলিল ভাই, আপনার ছবির ব্যবসা কেমন যাচ্ছে? আপনি বাংলা সিনেমায় একের পর এক হিট দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা মানতে বাধ্য হচ্ছি, ইউ আর নট পম গানা।

জ্বলন্তঃ আমি অই
যদি আপনি একটা উপকারিতা বলতেন যানজটের!

জ্বলন্তঃ দেখেন বাঙ্গালির অবশ্যই তিনহাত, ডান বাম এবং অজু। আমি বাসা থেকে দেরিতে বের হলাম। অফিসে গিয়ে বললাম, রাস্তায় জ্যাম ছিল স্যার। আর ঢাকার রাস্তার অবস্থা দেখলে তো স্যারেরও কিছু বলার নাই। এরপর দেখেন, বাসায় দেরী করে ফিরলাম। বউ জবাব খুঁজে এত দেরী করে কেন আসলে? আমি বললাম রাস্তায় জ্যাম। কিন্তু আমি ছিলাম কুতায়?

উপঃ কুতায়?

জ্বলন্তঃ আমি ছিলাম বন্ধুর বাসায়। ২৯ খেললাম, সাথে একটু-আধটু সুরাপান।

উপঃ বাহ! আপনি তো খুবই বুদ্ধিমান মানুষ।

জ্বলন্তঃ কে বলেছে আমি বুদ্ধিমান, সুরাপানই আমার প্রাণ।

উপঃ বাহ! খুব সুন্দর কবিতা, আপনি লিখেছেন?

কুতকুতঃ ভাইসাবের মতিগতি দেইখা মনে হয় তিনি কপি মেরেসেন!

জ্বলন্তঃ কি বললেন আপনি? আপনার এত্ত বড় সাহস, আমার মতো সেলিব্রিটিকে আপনি কপিবাজ বলেন?

কুতকুতঃ আপনি তো ব্যাকস্টেজেও আমাকে বললেন, অ্যাড মি আই এম ব্লক।

জ্বলন্তঃ এত বড় সাহস, আমার নামে স্কান্ডাল ছড়ান!

উপঃ কুতকুত ভাইয়ের কথা সত্য। আমার কাছে লিঙ্ক আছে।

জ্বলন্ত লাফিয়ে পড়লেন দুজনের উপর। কুতকুত এবং উপস্থাপক দুজনই ধস্তাধস্তি করছেন। এক পর্যায়ে উপস্থাপক কুদ্দুস উঠে বলেন,

উপঃ সুধী ধর্ষক, আই মিন দর্শক। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ দেখা হবে আগামী কোনো অনুষ্ঠানে, কোনো নতুন ব্যক্তিত্ব নিয়ে। কোনো নতুন বিষয় নিয়ে সেদিন আলোচনা হবে।

আপাতত..
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×