এই আমরা মানুষ জাতি। সৃষ্টির সেরা। তা কতটুকু আমাদের জ্ঞ্যানের সীমা বা সীমানা? কতটুকু জানি নিজের সমন্ধে? কতটুকু? একটু ভাবেন তো, নিজের জন্ম নিয়ে। ছিলাম শুক্র বা পানি সেখান থেকে রক্ত মাংসের তরতাজা মানুষ হই। নানান বর্ণের নানান সাইজ এর হই। হরমোন, ডি, এন এর উপর ভিত্তি করে। তা বড় হয়ে কি করি অনেকে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে তর্ক করি। বিশ্বাস হারাই ফেলি। মানতে চাই না। কেন? আমরা খুব জেনে গেছি ? খুব! তা কতদূর জানছি?
আপনার, আমার আশপাশের কতদুর দেখেছি বা জেনেছি? নিজের শরীরে নাকের ফুটায়, কানে, মুখের লালায় কত শত, হাজার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, মিশে আছে। সব নিয়া কিন্তু দিব্যি চলছি। প্রেম পিরিতি সব ই করছি। আল্লাহর শোকরিয়া কতদূর করছি? উল্টো আল্লাহ আছেন! কি নাই! তাই নিয়া ফালাফালি করছি। আসলে যারা আল্লাহ নাই বলে ( নাউজুবিল্লাহ ) তাদেরকে আমার সবচেয়ে কম জ্ঞ্যনী। একটা বলদ প্রাণী মনে হয়। মানে চোখ থেকেও দেখে না কানা। এই যে আমরা যে গ্যালাক্সিতে আছি। তার বাইরে এমন বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি আছে।
[img|]
এইটা এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সি। হাবল ডিপ ফিল্ড এর ইমেজ। দেখছেন! এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডট বিন্দু গুলি গ্রহ তারা নক্ষত্র। সুবহান আল্লাহ। আচ্ছা! জ্ঞ্যানী সাহেব আপনারে জিগাই এগুলা কে বানাইছে? কোন ইঞ্জিনিয়ার? তাও শূন্যে ঝুলে আছে। একটা আরেকটার সাথে সংঘর্ষ হচ্ছে না।একটা নিয়ম মেনে চলছে। ইটটু ভাবেন?
আপনার এই স্বল্প জ্ঞ্যান নিয়া আপনে আল্লাহকে অস্বীকার কইরা বইসা আছেন। যে কিনা এসব এর সৃষ্টি কর্তা। লন আপনার মতো জ্ঞ্যানীর জন্য আল্লাহর বাণী।
لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
আয়াত-৫৭ অর্থ : মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না। সুরা গাফির আয়াত ৫৭।
এহন চিন্তা করেন? কোনটা ঠিক । এরপর ও কিছু পন্ডিত ত্যানা প্যাঁচাবে। মানবে না সৃষ্টি কর্তা কে। জানি, আগেও এমন বহুত আবাল ছিল, ভবিষ্যৎ এ ও থাকবে বাড়বে। আসলে এদের চিন্তা শক্তি লোপ পেয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৮