ভারতের তথাকথিত জাকির নায়েক ওরফে জোকার নায়েক একজন উচুদরের কাফির। কারণ সে বিভিন্ন সময় কারবালার জিহাদকে “Political Battle” বলে উল্লেখ করেছে। অথচ ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস মতে, হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হক্বকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজের জীবন কারবালার ময়দানে দান করে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। জোকার নায়েক কারবালার ময়াদানের ঘৃনিত পশু ইয়াজিদের নামের শেষে “রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু” উচ্চারণ করে থাকে। অথচ কুরআন শরীফ-এর সূরা নিসার ৯৩ নম্বর আয়াত শরীফ-এর ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় কোন মু’মিনকে কতল করে সে জাহান্নামী।” আর বুখারী ও মুসলিম শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসিকী ও কতল করা কুফরী।” কাজেই সাধারণ মু’মিন মুসলমানকে কতল করা যদি কুফরী ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ হয় তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লখতে জিগর ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ আহলে বাইত-এর অন্যান্য সম্মানিত সদস্য ও সঙ্গীগণকে যারা শহীদ করেছে তাদের ব্যাপারে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, তারা সকলেই কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী। কারবালার নরপশু ইয়াজিদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর সাঙ্গপাঙ্গ ও বর্তমানে ইয়াজিদের কায়িমক্বাম জোকার নায়েকের উপর অনন্ত কাল ধরে আল্লাহ পাক-এর লা’নত বর্ষিত হোক।
জোকার নায়েকের সেই কুফরী বক্তব্য