বহুদুরের পথে তবুও তোমায় হারাতে
পারিনি, অথবা চাইনি আমার চাওয়া যে তুমি
চলতে থাক তোমার আপন গতিধারায়
ছন্দ তুলে। তোমার আসা যাওয়া
ঠিক নিয়ম করে আমাকে
চিনিয়েছে সকাল সন্ধ্যার রুপ
যখন তোমার মিলন হয় লজ্জাবতী
সূর্যের সাথে ঐ দূর দিগন্তের প্রান্তে
মিলনের আলো তখন মাতিয়ে যায়
অথবা সেই সূর্য যখন তোমার বুক হতে
ঘোমটা পড়া লাজুক বধুর মতো মুখ তোলে
তোমাতে শান্ত হয়ে ফিরে আসা নতুন বধুর
নাক ফুলে তার ঝিলিক ওঠে
কৃষক জুড়ায় সমীরণে আর তুমি শোনাও গান
তোমার রুদ্র গর্জনে কৃষক খুজে পায় প্রাণের সঞ্চারণ
আবাদে তার
কিশোরী প্রিয়া তোমার জলে যখন ভাসায়
খোপার জবা ফুল
তুলে দিতে গিয়ে সেই ছলে যে
স্বর্শ করি আমি প্রিয়ার কালো চুল
তোমার যৌবনে মিশে যখন প্রিয়া একাকার
শীতল জল শান্ত করে তাকে আর দু-চোখ জুড়ায় আমার
যখন সন্ধ্যা নামে তোমার বুকে দুঃখ যেন
ছুয়ে যায় মাঝির মন
তুমি ফেরো বাড়ি আর ফেরে মাঝির দল
বাতাসে কিসের যেন ওঠে গুন্জরন।
ও নদী তুমি থামবে কেন তোমার স্রোতধারায়
গাইবে না কেন আর ক্লান্ত পথিকের গান
তুমি ঘুমিয়ে যাবে !
আমার দেহের সবটুকু লাল জল নিয়ে নাও
তবুও তুমি থেমে যেওনা, তোমার বুকে চালাও সব স্বপনের ধারা