যখন ছোট ছিলাম; প্রাইমারি কিংবা সিক্স সেভেনে পড়ি তখনকার কথা।
পহেলা বৈশাখের পরের দিন স্কুলে গেলে ধর্মীয় শিক্ষক সামছুল ইসলাম ও মাওলানা স্যারকে হাত পেতে দিতাম ৫০ বেত নেওয়ার জন্য। যদিও ফার্স্ট বয় ছিলাম বলে ৫০ টা ভাগে পড়তোনা। স্যারেরা করুনা করে ২০-২২ টা মেরে ছেড়ে দিত। আর বাকিদের কপালে ৪০ টার উপরে ঝুটতো। কারণটা ছিল গোলায়া (মেলায় ) যেতাম স্যারদের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও; তখন ব্যাপারটা বুঝতামনা তাই পরের বছরের জন্য ও ৫০ বেতের পুনরাবৃত্তি।
কিন্তু আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম আর জ্ঞানের পরিধিটাও কিঞ্চিত পরিমাণ বাড়তে লাগলো আর মেলায় যাওয়াটা বন্ধ করতে পারলাম।
আর কিঞ্চিত জ্ঞানের সমষ্টি আজকে পর্যন্ত যত হয় ততটুকু থেকে বলতে পারি, আসলেই একজন মুসলিম হিসেবে এসব পালন করা উচিত না। কারণ কি? ?? আপনারা হয়তো বলতে পারেন আমরাতো আর পূজা করতে যাইনা। আমি বলবো হ্যাঁ , আপনারা পুজাই করতে যান।
কিভাবে? ?? টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই দেখবো; হাড়িতে আকা কিছু মাথা থাকবে , কিংবা কিছু মুখোশ পরিধান করা হয় যেগুলো মূর্তির স্পষ্ট আকৃতি বুঝায়; এই সব নিয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হবে; এইটাকে জ্ঞানীরা মঙ্গল শোভা যাত্রা বললেও আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলি এইটা পূজা!!জাতীয় পর্যায়ে পূজা!! এই ব্যাপারে আমার সাথে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিশ্চয়ই একমত হবেন।
মূত্রমনা সমাজ মূর্তিটাকে প্রতিকি অর্থে ব্যাখ্যা করে থাকেন। আরে নির্বোধের দল !!! হিন্দুরাও মানে সৃষ্টিকর্তা একজন; শুধু এই প্রতিকি অর্থেইতো হিন্দুরা তাদের দেবদেবীর কার্যাবলী ব্যাখ্যা করে , তবে আমি মুসলিম হিসেবে কেন এসব করতে যাবো??? আমি মুসলিম হিসেবেতো আমার এমনটা করার কথা নয়। মঙ্গল কামনা করবেন ভালো কথা; তবে সেটা ইসলামী রীতিতে কেন নয়? ?? কেন হিন্দুদের রীতিতে? ?? আমার এই লেখনী পড়ে আমাকে সংস্কৃতি বিনাশকারী হিসেবে আখ্যা দিবেন হয়তো; তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসেনা কারণ আমি নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এমনটাই চাই। আল্লাহ পাক আমায় কবুল করুন। - আমিন।
তবে বাঙালি শব্দটার কি হবে? ?? আমি বলবো সব ক্ষেত্রে আমি ব্যাকডেটেড হলেও এই ক্ষেত্রে আমি আধুনিক; অর্থাৎ আমি বাঙালি নই , আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম।
তাই যারা আমার মত বাংলাদেশী মুসলিম তারা হয়তো এই আনুষ্ঠানিকতাকে বর্জন করবেন; আর যারা ব্যাকডেট বাঙালি কেবল তারাই এই উপলক্ষে মাতামাতি করবেন এটাই স্বাভাবিক।
তবে উপদেশ নয় পরামর্শ দিতে পারি; আসুন এই দিকটায় আধুনিক হতে চেষ্টা করি , অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ নামে পূজা উদযাপন করাকে না বলি।
বি: দ্র : যৌক্তিক মন্তব্য সাদরে গ্রহণ যোগ্য আর গোড়ামি অবশ্যই বর্জনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৬