বাংলার জনগন মনে করে,
একটি আলোচনাই পারে দেশের চলমান বোমা হামলাকে থামাতে। অথচ ক্ষমতার লোভে আলোচনাকে বাদ দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখাতে প্রাধন্যি দিচ্ছে।
বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় গুন্ডামি মার্কা,সন্ত্রাসী উক্তি হল কিসের সংলাপ"। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনা,ভিন্ন মত হল অরংকার স্বরূপ।
ভিন্ন মতকে বাদ দেওয়ার বা বিনাস করার প্রবনতা শুধু যে স্বেরাচারীমূলক আচরন তা নয়,এটা জংগল আইনের আওতায়ও পড়ে না।
বর্তমান সরকার আলোচনাকে ভয় পাচ্ছে কারন তাদের নৈতিক ভিত্তি খুবই দূর্বল। এই কারনে তারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারতে এক ধরনের সহযোগিতা করছেন। অন্যদিকে বিরোধী দল একটি বছর সময় দিয়েছে সরকারকে। বিএনপি প্রতিদিনই বলছে একটি আলোচনার ব্যবস্থা করুন আমরা অবরোধ করবো না। সুতারং প্রত্যেক্ষ ভাবে এটা পরিষ্কার যে,বিরোধী দল আলোচনার আহবান জানিয়ে এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে,তারা চাচ্ছে না দেশে কোন গন্ডহগাল হোক,কেউ পুড়িয়ে মারা যাক। সরকার আলোচনায় ডাকুক তারপর যদি বিএনপি আলোচনায় না আসে এবং অবরোধ প্রত্যাহার না করে তখনই আমরা বুঝবো যে, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হল বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করা,গনতান্ত্রিক ব্যবসথার জন্য আন্দোলন বা ভোটের জন্য আন্দোলন করছে না। এই জন্য এটা পরিষ্কার যে,বোমা হামলায় মানুষ মারা যাওয়ার জন্য সরকার দায়ী ৮০ %। বিএনপি দায়ী ২০%
অথচ সরকার পক্ষ প্রতিদিনই বলছে কিসের আলোচনা। এই ধরনের কথা একমাত্র সন্ত্রাস নির্ভর কোন পক্ষ থেকেই শুনা যায়। কিসের আশ্বাসে বা কিসের উপর ভিত্তি করে তারা এমন দাম্ভিকতা করছে তা কি আর দেশের মানুষের বুঝার বাকি আছে।
সরকার চাচ্ছে এভাবে ক্ষমতায় থাকা ছাড়া তাদের আর বিকল্প না্ই। কারন ভোট হলে তারা ২০ টি আসনও পাবে না। অন্যদিকে দেশের মানুষ মারা গেলে তাতে কিছু যায় আসে না,কারন ১৫৪ জনই জনগন ভোট ছাড়া হইয়া গেছে। সামনে ৩০০জন এভাবেই হবে। সুতারং পুড়িয়ে কে মারছে ,তা কেউ স্বীকার না করলেও সরকার এর নির্দেশে কিন্তু প্রতিদিনই বিরোধী জোটের নেতা কর্মীদের ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করছেন। এই হত্যাকান্ডগুলা যে সরকার করছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই্। সরকার কি এই ধরনের হত্যাকান্ড চালিয়ে যাওয়ার যুক্তিকতা হিসেবে বিরোধী দলের সাথে আলোচনায় না বসে তাদের নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছে? আর এভাবে ভোট ছাড়া মগের মুল্লুক বানাতে চায় দেশটাকে। এটা আমরা জনগন কিভাবে মনে নিতে পারি।