somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলমান বোমা হামলায় মানুষ মারা যাওয়ার জন্য সরকার দায়ী ৮০ %। বিএনপি দায়ী ২০%

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলার জনগন মনে করে,

একটি আলোচনাই পারে দেশের চলমান বোমা হামলাকে থামাতে। অথচ ক্ষমতার লোভে আলোচনাকে বাদ দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখাতে প্রাধন্যি দিচ্ছে।
বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় গুন্ডামি মার্কা,সন্ত্রাসী উক্তি হল ‍ কিসের সংলাপ"। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনা,ভিন্ন মত হল অরংকার স্বরূপ।
ভিন্ন মতকে বাদ দেওয়ার বা বিনাস করার প্রবনতা শুধু যে স্বেরাচারীমূলক আচরন তা নয়,এটা জংগল আইনের আওতায়ও পড়ে না।
বর্তমান সরকার আলোচনাকে ভয় পাচ্ছে কারন তাদের নৈতিক ভিত্তি খুবই দূর্বল। এই কারনে তারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারতে এক ধরনের সহযোগিতা করছেন। অন্যদিকে বিরোধী দল একটি বছর সময় দিয়েছে সরকারকে। বিএনপি প্রতিদিনই বলছে একটি আলোচনার ব্যবস্থা করুন আমরা অবরোধ করবো না। সুতারং প্রত্যেক্ষ ভাবে এটা পরিষ্কার যে,বিরোধী দল আলোচনার আহবান জানিয়ে এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে,তারা চাচ্ছে না দেশে কোন গন্ডহগাল হোক,কেউ পুড়িয়ে মারা যাক। সরকার আলোচনায় ডাকুক তারপর যদি বিএনপি আলোচনায় না আসে এবং অবরোধ প্রত্যাহার না করে তখনই আমরা বুঝবো যে, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হল বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করা,গনতান্ত্রিক ব্যবসথার জন্য আন্দোলন বা ভোটের জন্য আন্দোলন করছে না। এই জন্য এটা পরিষ্কার যে,বোমা হামলায় মানুষ মারা যাওয়ার জন্য সরকার দায়ী ৮০ %। বিএনপি দায়ী ২০%
অথচ সরকার পক্ষ প্রতিদিনই বলছে কিসের আলোচনা। এই ধরনের কথা একমাত্র সন্ত্রাস নির্ভর কোন পক্ষ থেকেই শুনা যায়। কিসের আশ্বাসে বা কিসের উপর ভিত্তি করে তারা এমন দাম্ভিকতা করছে তা কি আর দেশের মানুষের বুঝার বাকি আছে।
সরকার চাচ্ছে এভাবে ক্ষমতায় থাকা ছাড়া তাদের আর বিকল্প না্ই। কারন ভোট হলে তারা ২০ টি আসনও পাবে না। অন্যদিকে দেশের মানুষ মারা গেলে তাতে কিছু যায় আসে না,কারন ১৫৪ জনই জনগন ভোট ছাড়া হইয়া গেছে। সামনে ৩০০জন এভাবেই হবে। সুতারং পুড়িয়ে কে মারছে ,তা কেউ স্বীকার না করলেও সরকার এর নির্দেশে কিন্তু প্রতিদিনই বিরোধী জোটের নেতা কর্মীদের ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করছেন। এই হত্যাকান্ডগুলা যে সরকার করছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই্। সরকার কি এই ধরনের হত্যাকান্ড চালিয়ে যাওয়ার যুক্তিকতা হিসেবে বিরোধী দলের সাথে আলোচনায় না বসে তাদের নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছে? আর এভাবে ভোট ছাড়া মগের মুল্লুক বানাতে চায় দেশটাকে। এটা আমরা জনগন কিভাবে মনে নিতে পারি।
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×