somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কুল পালানোর গল্প

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার স্কুল পালানোর সঙ্গীর নাম শাহীন । হাইস্কুলে একসঙ্গে পড়ার সময় আমাদের দুইজনের একটা রেকর্ড ছিলো। আমরা কখনোই বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাশ করতামনা। যেভাবেই হোক, পালাতামই। আমাদের এই পালানো ঠেকাতে স্যারদেরও ছিলো নানামুখী তৎপরতা। তবে সকল তৎপরতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবশেষে আমরাই সফল হতাম। পরের দিন শক্ত মার খেতে হবে জেনেও কখনো অভিনয় করে, কখনো সদর দরজা দিয়ে, কখনো জামগাছ বেয়ে, কখনো দেয়াল টপকে, শার্টের নিচে বই খাতা লুকিয়ে আমাদের পালানোটা অব্যাহত থাকতো ।

একদিন হলো কি, ইংরেজি শিক্ষক খোকন স্যার সহ অন্যান্য স্যার দায়িত্ব নিলেন, আমাদের বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাশ করিয়েই ছাড়বেন। দুপুর ১২ টা বাজা মাত্র স্কুলের সকল গেইট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হলো এবং আমাদের রাখা হলো শক্ত নজরদারির ভেতর। এমনকি টিফিনের সময়ও সদর গেইটের দোকান গুলোর কাছে ঘেষতে দেওয়া হলোনা। সেদিন আবার শাহীনও স্কুলে আসেনাই। তাই বলে কি এতদিনের স্কুল পালানোর ঐতিহ্য ভুলুন্ঠিত করতে দিতে পারি? বন্দী অবস্থাতেই বেজে গেল ৩ টা। স্কুলের আঙ্গিনাতেই বেশ কয়েকজন স্যার একসঙ্গে বসে খোশগল্প করছে। এর মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, পালাতেই হবে। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে তাদের চোখের সামনে দিয়েই ভঁো দৌড়। যেভাবেই হোক, সামনের দেয়ালটার স্পর্শ পেতেই হবে। পেছনে একবার তাকিয়ে দেখি অন্তত দুই তিনজন স্যার এবং কিছু অতি উৎসাহি ছাত্র আমার পেছনে দৌড়ে আসছে। ততক্ষণে দেয়ালের কাছে পৌঁছে গেছি। এতো উঁচু দেয়াল কিভাবে নিমেষেই পার হয়েছিলাম, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও খুজে বেড়াই। পেছন থেকে স্যারের হুঙ্কার, "তুষার ফিরে আয়, কালকে কিন্তু কপালে শনি আছে। " আবার সেইসব অতি উৎসাহী ছাত্ররাও ততক্ষণে দেয়ালের উপরে উঠে পড়েছে আমাকে ধরবে বলে। পরিমরি করে, বই নিয়েই পার্শ্ববর্তী ভোগাই নদীতে লাফ।

ফলাফল : ভয়ের চোটে রাত ৯ টার সময় বাসায় গিয়েছিলাম এবং ৩ দিন স্কুল কামাই করেছিলাম। যতটা রিএকশন হবে আশংকা করেছিলাম কেন যেন সেটা হলোনা। মোটা বেত দিয়ে পৃষ্ঠদেশে ৫ টা বাড়ি খেয়েছিলাম।

এ আর এমন কি? এটাতো প্রতিদিনই খাই।।
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×