লেখক: মহসিন আহমেদ
ব্লগ লিখেন: ৪ মাস
টার্গেট: মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, মাজার পূজা কবর পুজা ইত্যাদি মুসলিমদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো যাতে মুসলিমরা কখনো এক হতে না পারে।
তার সাম্প্রতিক পোষ্ট: নবী-রাসূলদের সমাধির ছবি
বিবি হাওয়ার কবর
----------------------------------------------------------------
আদম-হাওয়ার প্রথম সন্তান আবীলের কবর (বিশ্বের প্রথম কবর)
----------------------------------------------------------------
হযরত আদমের পর দ্বিতীয় নবী হযরত যোশীর কবর
----------------------------------------------------------------
হযরত ইব্রাহীমের কবর
----------------------------------------------------------------
হযরত লুতের কবর
----------------------------------------------------------------
হযরত সালেহ
----------------------------------------------------------------
হযরত মুসা
----------------------------------------------------------------
বেলাল হাবশি (প্রথম মুয়াজ্জ্বিন)
=============================================
ইন্নাল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলুল্লাহ।
উপরের সবগুলো ছবি মহসিন আহমেদ নামক এক বিভ্রান্তসৃষ্টিকারী ব্যক্তির সাম্প্রতিক পোষ্ট থেকে নেওয়া হইছে। মূল পোষ্ট এখানে
মূলত তার পোষ্টটা একটা হিট পোষ্ট। ৬৮৮ বার পঠিত, ১১ জনের ভালো লাগছে।
=============================================
কিন্তু তিনি যে কত বড় জালিয়াতি করে মুসলিমদের মধ্যে কবরপুজা ঢুকিয়ে দিয়েছেন তা কেউ কল্পনাই করেন নাই। তার শয়তানিতে তিনি সফল। তিনি খুবই দক্ষতার সহিত তার শয়তানী কার্য সম্পাদন করছেন এবং ৬৮৮ জন মুসলিমের মধ্যে এই বিভ্রান্তি ছড়াইয়া দিছেন।
নিম্নে তার ফাইজলামীগুলো তুলে ধরছি।
মহসিন সাহেব যেই ছবি গুলো শেয়ার করছেন সেগুলো ইহুদী খ্রিষ্টানদের শেয়ার করা ছবি। আমরা জানি ইহুদীরা নবী মারা গেলে সেখানে মসজিদ তৈরী করতো। কিন্তু সেগুলো অতীতে। এখন তো ইহুদী খ্রিষ্টানরা ভূলেও মসজিদ বানায় না। তাই তাদের বানানো অতীতের মসজিদগুলো বিলুপ্ত এবং কবরগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তিনি যেই ছবিগুলো শেয়ার করছেন সেগুলো ফেইক।
নবীজি সা: এর নামে যতগুলো ছবি গুগলে পাওয়া যায় তার বেশীর ভাগই ফেইক। তিনি ছবিগুলো সব কালেক্ট করছেন ইহুদী খ্রিষ্টানদের ওয়েবসাইট থেকে যেগুলোর কোন ভিত্তি নাই মুসলিমদের কাছে।
১) এগুলো যদি পূর্ববর্তী নবীদের মাজারই হইয়া থাকতো তাহলে কেন কোন হাদিসে বা কোরআন এ আল্লাহ আমাদের সেগুলো সম্পর্কে বললেন না?
২) এগুলো যদি সত্যিই নবীদের মাজারই হতো তাহলে মহানবী সা: কেন সেগুলোতে জিয়ারত করতে গেলেন না?
৩) কেন সাহাবাদের সেখানে যাওয়ার কথা বললেন না?
৪) হাদিস অনুযায়ী ইহুদী ও খ্রিস্টানরা নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। তাহলে কেন উপরের মাজার বা কবরগুলোতে মসজিদ নাই?
৫) ভাল ভাবে লক্ষ করুন, সেই ছবিগুলোতে নবীদের নাম উল্লেখ থাকলেও কেন সেই ছবি গুলোতে নবীর নামের পাশে (সা) জাতীয় শব্দ কেন নাই? বেযাদবের মতো শুধু নবীদের নামই শেয়ার করছে। এটা কি কোন মুসলিমের কাজ?
৬) আদম (আ) এর ছবি শেয়ার করলো কিন্তু আদম নামের সাথে (আ) কেন এ্যাড করলো না? নিশ্চিতভাবে এটা ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা কাজ। আমরা মুসলিমরা করলে অবশ্যই সেই নামের পাশে সম্মান সূচক শব্দ এ্যাড করতাম। ছবিগুলোতেও লক্ষ করুন আদম আ: এর নামে সাথে আ: কথাটা নাই। এই ভদ্রতা ইহুদী ও খ্রিষ্টানরাই একমাত্র দেখায় না।
৭) বেলাল রা: এর কবর বলে যেটা চালিয়ে দিল সেখানেও কেন (রা) শব্দটা উল্লেখ করলো না? কারণ এটা ইহুদী খ্রিষ্টান ও শয়তানরূপী মুসলিমদের কাজ। কারণ কোন ভাল মুসলিম করলে অবশ্যই তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে (সা আ: রা: ব্যবহার করে থাকি।
৮) আরও লক্ষ্য করেন সে একটা ছবি দিছে যেটার নাম "আদমের পর দ্বিতীয় নবী হযরত যোশীর কবর"
যোশী কে? আমরা মুসলিমরা যোশী নামে কোন নবীকে চিনি না। আসলে এই যোশী নাম ইহুদীরা ও খ্রিষ্টানরা ব্যবহার করে আমাদের এক নবীর নামকে বিকৃত করে।
৯) মহসিন সাহেব তার এই পোষ্টে নবী ও আল্লাহ কে একই সত্ত্বা বলে ঘোষনা দিয়েছে। সে নাকি নবী ও আল্লাহর মধ্যে পার্থক্য খুজে পায় না। কোরা্নে আল্লাহ্ বলেন আল্লাহ্ এবং মোহাম্মদ(সঃ) এক ও অভিন্ন নূর, অস্বীকারকারী কাফের!
এইসবগুলো ছবি এবং পোষ্টই প্রমাণ করে এটা একটা সুদক্ষ কারচুপি মাধ্যমে করা হইছে। নাস্তিকরাও এটা করতে পারে। কারণ নাস্তিকদের প্রচারণায় আমরা আরো ভাল মুসলিম হই। কিন্তু মুসলিমরুপী মুনাফিকরাই ইসলামের বেশী ক্ষতি করে থাকে।
মূল কথা=> তারা কবরপুজোতে মুসলিমদের লিপ্ত করার জন্যই এ কাজগুলো করে থাকে। আর আপনি মহসিদ আহমেদকে কয়েকমাস পরে পাবেন না। সে তখন অন্যনামে ব্লগিং করে এভাবেই বিভ্রান্তি ছড়াবে। কারণ এগুলো কোন মুসলিমদের কাজ নয়।
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও সত্যের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




