কাশ্মীরে যখন বেসামরিক মানুষের উপর হামলা করে রক্তে রন্জিত করা হয় রাজপথ তখন অনেক মিডিয়াই চোখে টিনের চশমা পড়ে থাকে, দেখেও না দেখার ভান করে। নির্বিচারে হত্যা যোগ্য চালানোর পর যদি কেউ রুখে দাড়ায় সে হয়ে যায় জঙ্গি। নিজের দেশ, নিজের ভূমি, নিজের প্রান রক্ষা করাও যেন অপরাধ। পুজি বাদি সভ্যতা আর ক্ষমতার কাছে মানবতা বলে কিছু নেই। মানবতা আজ জাতি ভেদে আলাদা। যাদের টাকা আছে আছে ক্ষমতা তাদেরই বাপ দাদার সম্পত্তি মানবতা অন্যদের রক্তের কোন মূল্যই যেন নেই। এমন ভাবে চলতে পারে না চলতে দেয়া যায় না। পিঠ পেছনে ঠেকে যাওয়ার পরই রূখে দিয়েছে কাশ্মীরবাসী...এর এটা নিয়ে মিডিয়ার লিড নিউজ দেখলে খারাপ না লাগলেও দালালীর পরিনামটা বোঝা যায়।
তবে যে সতের জন মারা গিয়েছে মুক্তিকামী কাশ্মীরবাসীর হাতে তাদের দায়টা যেমন ভারত সরকারের নিতে হতে তেমনি নিতে হবে সাধারন মানুষ হত্যার দায়ও। এতো রক্ত ঝরিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় না, পতন আসবেই আজ হয়ত কাল।
ভারত রাষ্ট্রের সংগঠিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুক্তিকামি আন্দেলনকে যারা সন্ত্রাসী হামলা বলবে তাদেরকে আমরা নব্য সন্ত্রাসী হিসেবে চিনে নিব এই সুযোগে। হ্যা মুক্তিকামী জনতাকে সন্ত্রাসী বলার অধিকার কারো নেই তারপরও যদি কেউ বলে তবে সে নিসন্দেহে নব্য সন্ত্রাসী...
রক্তের রং এক হতে পারে কিন্তু ঘ্রান এক না। শত্রু, সন্ত্রাসী ও মুক্তিকামির রক্তের ঘ্রানে তফাত আছে। কাশ্মিরী রক্তের ঘ্রানে মুক্তির বার্তা......
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮