সম্প্রতি ভিসি লীগের কিছু সদস্যের বিতর্কিত কর্মকান্ড দেখে সন্দেহ হচছে, এরা আসলেই ভিসি লীগ করেন নাকি আলাদা বিদ্রোহী ভিসি লীগ গঠন করেছেন? তারা কথাই শুনতে চান না। তাদের হাতে নিজের পছন্দ মত লোকদের লিষ্ট ধরিয়ে দেয়া হয়,কিন্তু তাদের চাকুরী দেয়া হয় না।মনে রাখবেন ভিসি লীগ করেন বলেই ভিসি - প্রো-ভিসি হয়েছেন। এটা যোগ্যতায় নয়, বরং সরকার চেয়েছে বলেই হয়েছেন। সুতরাং সাবধান। যখন যা বলা হয়ে মাথা নিচু করে শুনতে হবে। ভিসি লীগের ভিতরে থেকে আলাদা বিদ্রোহী ভিসি লীগ গঠন করার চেষ্টা করার পরিণাম ভালো হবে না।
তাই বেঈমানী করে পার পাবেন না।
আপনাদের সাবধান করার জন্যই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন , যোগ্যতায় নয়, আওয়ামী লীগ করেন বলেই ভিসি'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে উদ্দেশ্য করে খায়রুজ্জামান বলেন, 'আওয়ামী লীগ করেন বলেই ভিসি ও প্রো-ভিসি হয়েছেন। এটা যোগ্যতায় নয়, বরং সরকার চেয়েছে বলেই হয়েছেন।
তিনি হুমকি দিয়ে আরও বলেন, 'এত শান্তিতে ক্যাম্পাস চালাচ্ছেন। ভাবছেন- আপনাদের দক্ষতা? না, আমরা শান্ত আছি বলেই আপনারা সুন্দরভাবে ক্যাম্পাস চালাতে পারছেন। মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি চায় আপনাদের গদি উল্টাতে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও লাগবে না।
ভিসি ও প্রো-ভিসি হওয়ার আগে আমাদের কথা দিয়েছিলেন, লিটন ভাই শুধু একবার হই। আপনার লিস্ট ধরে ধরে আমরা চাকরি দেবো। আপনি যেভাবে বলবেন সেইভাবেই দেবো। 'আমরা লিস্ট দিয়েছি বছর দেড়-দুই বছর আগে। সেই লিস্ট কোথায় গেল? কিন্তু বিতর্কিত ঘরনা থেকে আসা লোকজনকে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়োগ দেয়া আপনাদের অব্যাহত আছে' যোগ করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি বলেন, 'যাদের পিঠে পা দিয়ে সিঁড়ি বানিয়ে আজ আপনারা ভিসি ও প্রো-ভিসি হয়েছেন, দয়া করে সেইটুকু স্মরণ করবেন। তা না হলে যখন সবকিছুই হারিয়ে যাবে, তখন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে আপনাদের।
তাই এই বিদ্রোহী ভিসি লীগের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় (বিশ্ববিদ্যালয়ে) ঐক্য গড়ে তুলুন আর বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন
ভিসি তুমি যেই হও
চামচামি তোমার করতে হবে।
ভিসি তুমি যেই হও
পা তোমার চাটতে হবে।
প্রচারেঃ নিখিল বাংলা পাচাটা ভিসি লীগ পরিষদ।
বি দ্রঃ স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রেখে এখনো যেসব ভিসি- প্রো-ভিসি দায়ীত্ব পালন করছেন,তাদেঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক।