রমযানের তারাবীহ নামাযে কোরান খতম করা হয়। এই তারাবীহর নামায সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। ২য় খলিফা হযরত ওমর রাঃ মসজিদে জামাতবদ্ধ ভাবে এই নামাজ পড়ার প্রচলন করেন। এর আগে সমস্ত সাহাবীদের সাথে ঐক্যমতে এই সিদ্ধান্ত নেন। একে ইজমা বলে।
রমযানের তারাবীহ নামায এক অপূর্ব অনুভূতি। দীর্ঘ এই নামাজের পরে নামায-ফেরত মুসুল্লিদের অন্তরে এক অপূর্ব স্নিগ্ধ শান্তি ও আরাম বিরাজ করে, যাকে আল্লাহর ইবাদতের এক প্রত্যক্ষ ফলাফল বা রহমতের আশীর্বাদ হিসেবে দেখা যায়।
রমযান আর কোরান একে অপরের সাথে খুবই জড়িত। রমযান মাসে কোরান 'লাওহে মাহফুয' থেকে অবতীর্ন হয়। নবীজী সাঃ রমযান মাসে খুবই বেশি বেশি কোরান তেলাওয়াত করতেন। নবীজী ও জীব্রাইল আমীন পরস্পর-কে কোরান শুনাতেন। রমযানে মাসে দীর্ঘ তারাবীহ নামাযে কোরান খতম করা সুন্নাত।
কোরান আমরা শুনে থাকি হাফেয সাহেবানদের সুললিত কন্ঠে। তারা আমাদের তারাবীহ নামাজের কোরান খতম করে শুনান।
এই কোরান শেষ আসমানী কিতাব, আল্লাহ একে সংরক্ষনের দায়িত্ত নিয়েছেন। তাই তো দেখা যায়, ১৪০০ বছর পরেও এই মহান গ্রন্থে কোন পরিবর্তনের সাহস কেউ করে নি। আর দুনিয়ায় যুগে যুগে লাখ লাখ কোরানে হাফেয তৈরি হচ্ছে।
এই কিতাব, আল-কোরান একেবারে ছোট কিতাব না। একে পরিপূর্নভাবে মুখস্ত রাখা আল্লাহর এক অপার নেয়ামত আর নবীর এক মোজেজাই বলতে হবে। এই কিতাবের এক-দশমাংশ-ও অন্য কোন বই হুবহু মুখস্ত রাখা প্রায় অসম্ভব। মানব-স্মৃতির পক্ষে যা সহজসাধ্য নয় একেবারেই। মানব-স্মৃতির পক্ষে যা সহজসাধ্য নয় একেবারেই। অথচ, পুরা কোরান মুখস্ত করছে হাজার হাজার শিশু; তা-ও, এক বিদেশী ভাষায় , আরবী ভাষায়। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, এটা স্বাভাবিক কোন ব্যাপার না। এটা মহান আল্লাহর কুদরতের এক বহিপ্রকাশ।
এই কোরানের প্রচারে ব্রতী হওয়া, পৃষ্ঠপোষক হওয়া আমাদের সকলেরজন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২১