Audition (1999)
||
জাপানী পরিচালক তাকাশি এর অডিশন ১৯৯৯ দেখলাম গত শনিবার। এমনভাবে মাথা ঘুরিয়ে দিল যে এখনো ভাবতে গিয়ে টাশকি লাগতেছে। সহজ সাধারণ রোমান্স এর আবহে মুভি এগুতে গিয়ে এমন টুইস্ট নেবে মুভিটা কল্পনাতেও আসেনি। মুভিটা দেখার আগে সিনোপসিস চেক করেছিলাম, কিছুটা প্লটও[স্পয়লার শুদ্ধ] পড়েছিলাম তবুও মাথা ঘুরে গেছে। মুভি শেষ করার পরে শুধু একটা বাক্যই মাথা এসেছিল, 'ঝড় বয়ে গেল'।
খারাপ লেগেছে না ভাল লেগেছে, বুঝতে পেরেছি কি বুঝতে পারিনি, আদপেই এটা ভাল মুভি না পচা, হরর না থ্রিলার, ভৌতিক কিছু না সাধারণ হরর, থ্রিলড হলাম না ভয়ে কাচুমাচু হলাম, স্ল্যাশ ছিল না সাইকি এর প্রব হল, হিচককের সাইকো দেখে বেশী অবাক হয়েছি না এটা দেখে, এটা নিয়ে রিভিউ লেখা পসিবল না পসিবল না, আমার মাথা ঠিক আছেতো? আমি পুরো কনফিউজ O_O আয়তকার চশমার ভেতর থেকে চোখ দু'টো গোল হয়ে গেল। স্ল্যাশ মুভি আমার একেবারেই ভাল লাগে না এখন, এটাতে স্ল্যাশ এর যে ছোয়া ছিল তা ক্যামেরা এর ভাল উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শক হিসেবে আমাকে আড়াল করে রাখা ছিল তবুও ঐ কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে ফিল করতে গেলেই আমার নার্ভ এর মধ্যে কেমন যেন করতেছে। এমন আহামরি কিছুই না তবুও।
মুভিটা মারাত্মক রকমের স্লো শেষের ২০টা মিনিট বাদ দিলে সিম্পল ড্রামা বেসড রোমান্সই বলা যায়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই ঐ ড্রামার মধ্যে যে টার্নগুলো দিচ্ছিল আমি ভেবেছি ঐটা মনে হয় এমনিতেই কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে এটা কি হল! ক্যারেক্টার ও প্লট বিল্ড-আপ এর জন্য পরিচালক যথেষ্ট সময় নিয়েছে, ক্যাটাগরিটা লাস্ট অবধি থ্রিলার/হরর এ এসে ঠেকলেও দর্শক হিসেবে আমার সাইকি নিয়ে পুরো মুভিতে যে খেলাটা পরিচালক খেলেছে শেষ করার পরে উনারে গদাম দিতে ইচ্ছে করেছে। এমন হেনস্থা আমি খুব কম মুভিতে হয়েছি, হইনি বললেই চলে। তাহলে কি এটাকে সাইকোলজিক্যাল হরর বলব? উত্তর না। এই মুভির স্পেশ্যাল দিকটাই এটা, দর্শকের সাইকি নিয়ে খেলতে খেলতে তার চূড়ান্ত করে পরিণতিতে হরর/থ্রিলারই। উকে তাহলে কি শেষ ২০ বা ৩০মিনিটই আসলে মুভির সব? উত্তর না, অনেক বেশী স্লো ধাঁচে মুভি এগোলেও কিছুক্ষণ পরপর যে টার্নগুলো দিয়েছে তার জন্য বিরক্তির চরম সীমায় উঠেও প্লেয়ার ক্লোজ করতে পারিনি, শেষ করতেই হয়েছে আমাকে। এক দুর্বার জানার ইচ্ছে যে এমন করে এগোচ্ছে কেন মুভিটা।
লীডে থাকা দুইজন অর্থাৎ Aoyama ও Asami-কে নিয়ে বলতে গেলে, প্রথমজন নিতান্তই সাধারণ গোবেচারা টাইপের লোক কিন্তু তার মধ্যেকার সত্ত্বা এর এমন পরিবর্তনটা নজরকাড়া এবং বাস্তবসম্মত। পরেরজনই আসলে মুভিটার উপজীব্য, কিন্তু তাকে ডেভেলপ করার জন্য যে ওয়ে নেওয়া হয়েছে তা দেখে ওকে ঘোস্ট স্টোরির কোন ভুতুড়ে কিছু মনে করাটাই স্বাভাবিক, ভুলটা আমি করেছি এখানেই।
তারউপরে আবার ড্রীম এর অংশ এনে ডাবল টুইস্ট দিয়েছে এন্ডিং-এ, কেউ এটাকে স্পয়লার মনে করলে বিরাট বড়ো ধোঁকা খাবে সে এখনই। মুভিটা যদি কেউ দেখে থাকে বা আমার এই কনফিউজড লেখা পড়ার পরে যদি কেউ দেখে তাহলেও আমি শিউর এন্ডিং নিয়ে মতবিরোধ আসবেই।
ডাউনলোড লিঙ্ক =>৪৮০পি ব্লুরে ৩৩০মেগা
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন