অনেক স্মৃতি জমা মনোসরণির এখানে ওখানে
অনেক কিছুই দেখেছি এ জীবনে,
শিখেছি অনেক কিছু;
বৃথা ভাবনা কেন জানি তবু ছাড়ে না মোর পিছু।
ভুল করি ভুলে,
জানতাম যদি কোন ভুলটা রয়েছে সবার মুলে!
নিজের মতন করে এ জীবন গড়তে কে পারে হায়,
কে পারে চলতে ইচ্ছেমতন শত অবহেলায়।
কে পারে তার তরী ভেড়াতে
জানা-অজানা বন্দরে দিনে ও রাতে,
কে পারে ভালোবাসতে বারে বারে
আমার ঘরের দুয়ারে
বসে বসে সেই ভাবনাই ভেবে যাই;
যেথায় ছিলাম সেথায় দাঁড়ায়ে, বেলা তবু বয়ে যায়।
এ ঘরেই তুমি এসেছিলে একদিন,
সেদিনও ছিলো না আমার সুদিন;
তোমারও দুর্দিন ছিলো না তবু
জানি এসেছিলে তুমি, যদিও কারণ জানা হয়নি কভু।
মোর এ দু’হাত ছুঁয়ে দিয়েছিলে
হয়তোবা খেলাচ্ছলে,
হয়তো বিনা কারণেই রেখে গিয়েছিলে তোমার পায়ের চিহ্ন;
আজও তোমার পায়ের চিহ্ন ঠিক আগের মতোই, মনটা একটু ভিন্ন।
চোখ তুলে যেই বাইরে তাকাই –
একটু আগের খাঁ-খাঁ রোদ অমনি মেঘে ঢেকে যায়,
হটাৎ-ই আবার ঝমঝমিয়ে নামে তুমুল বৃষ্টি;
ভেসে উঠে তোমার চোখের সেই অবাক করা দৃষ্টি।
এই বৃষ্টি, এই আবার রোদ;
কখন কি হয় যেন হয় না বোধ।
মনে হয় আকাশও জানে না ঠিক নারীরা জানেনা যেমন –
বোধ হয় নারীদের মন এই আবহাওয়ারই মতন।
তবু চেষ্টা করি সব এড়িয়ে যেতে,
অযথাই কোনো দুঃখ না পেতে।
ভেবে যাই আবার উঠে দাঁড়াবো,
আমিও সামিল হবো
ছুটতে থাকা অগণিত মানুষের ভিড়ে,
বৃথা বসে না থেকে এই জীর্ণ কুটিরে।
চিন্তা বাস্তবায়িত হয় না,
সময়ের জালে আটকা পরে ভাবনা।
এ কবিতা যেমন
ইচ্ছেনতন –
কেটে গোঁড়া থেকে আবার শুরু করা যায়,
এ জীবনটাও যদি এভাবে শুরু করা যেতো হায়
© অদ্রি অপূর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৯