somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আহমাদ মাগফুর
আমি আহমাদ মাগফুর। ৯৪ এ ময়মনসিংহে আমার জন্ম। স্কুল, কওমি আর আলিয়া -- সবার অবদান প্রাপ্ত হয়ে আপাতত আমি ‘মূর্খ কবি’ হিসেবে জীবনযাপন করছি। তাই আমার অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে। জানতে ইচ্ছে করে, মানুষ কেন খুন করে! জানতে ইচ্ছে করে, মানুষ কেন ভালবাসে!

নিজাম ভাই এবং খিদের গল্প

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অতীতের অসংখ্য গাঢ়তর বিষয়কেও বর্তমানে এসে অনেকের কাছে হালকা লাগতে পারে। তবে সত্য হল, আজকের এই হালকা বিষয়টাই অতীতের সেই উপস্থিত সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তাই অতীত আমার কাছে বরাবরই উৎসাহের বিষয়। দিনের পর দিন যায়, তবুও এই উৎসাহ আমার কমে না। বর্তমানের চেয়েও আড়ম্বরপূর্ণ এক অনন্য আবহে, ভেতরে আমার বেঁচে থাকে শুধু অতীত, অতীতের সব ছবি।

উন্মেষ আমার জীবনে তেমনই এক দারুণ অতীত। ভাবতেই অবাক লাগে সেই সময়টার কথা। চার পাঁচটা তরুণ। যারা সদ্য মাত্র কৈশর পেরিয়েছে। তারা একটি সাহিত্যের লিটলম্যাগ বের করছে। প্রথমটা হাতে লিখে বেরিয়েছে। দ্বিতীয়টা কম্পোজ আর ফটোস্ট্যাট। তৃতীয়টাই প্রেসের ঝকঝকে ছাপায়। পত্রিকাটাই যে শুধু তরতর করে এগিয়ে গেছে তাই নয়। এগিয়ে গেছে রাতজাগা অসংখ্য আলাপ, আড্ডা, গল্প, কবিতা আরও কত কত স্বপ্ন!

সব রাত্রিই সকাল হয়। সব গল্পই ফুরায়। সব স্বপ্নও তাই ভেঙে যায়। যেতে হয়। এই নিয়ম মেনেই বোধকরি উন্মেষ একদিন অনাকাঙ্ক্ষিত এক মহাবিরতির স্টেশানে ঘুমিয়ে পড়ে। সবাই এই ঘুমকে মৃত্যু বলতে চাইলেও আমি মনেমনে মানতে পারিনি। তাই উন্মেষ'র এই ঘুম ভাঙাতে আমি আমার সবটুকু সুর দিয়ে ঘুমভাঙানির গান গাইতে চেয়েছি। উন্মেষকে জাগাতে চেয়েছি। ঘুম যখন ভাঙলই না, তখন মনকে বলেছি; থাক, ঘুমিয়েছে ঘুমোক, ছেড়ে দিলাম। তাকে মহা বিরতি দিলাম। তবুও মৃত বলতে রাজি হলাম না।

উন্মেষ'কে নিয়ে যখন একা হয়ে পড়েছিলাম, তখনকার সময়ের ছোট্ট একটা গল্প। নিজাম ভাইয়ের গল্প। খিদের গল্প।

আল কাউসারে ছিল আমাদের মাসিক ছুটি। দুইদিন। এই ছোট্ট ছুটিতেই পত্রিকার সবটুকু কাজ করতে হত। তেমনি এক মাসিক ছুটির দুপুরবেলা কাজে বেরোতে যাবো। তখনই একজন শিক্ষক ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যাঙ্কের কিছু কাজ দিয়ে দিলেন। সেই কাজ শেষ করতে করতে আমার সারাটা দুপুর চলে গেল। খিদায় পেট লেগে যাচ্ছে। এদিকে পত্রিকার কাজও কিছু হয়নি। কোন কাজটা করবো! বিজ্ঞাপন নাকি মেকআপ! নাকি প্রুফ? নাকি বাসায় চলে যাব, কিছুই বুঝে আসছে না।

এমনই যখন অবস্থা। তখন কী মনে করে যেন হাঁটা দিলাম নিজাম ভাইয়ের অফিসের দিকে। যেতে যেতে ভাবলাম; তিনি যদি পত্রিকার কোন একটা কাজে সহযোগিতা করতে পারেন, বিজ্ঞাপন/লেখা/ছাপাখানার খোঁজ, যেকোনো একটা হলেই হল।

নিজাম ভাইয়ের সাথে দেখা হতেই বল্লাম; আজ তো বৃহস্পতিবার না, বিপরীত'র আড্ডাও নাই, তবুও চলে আসলাম। নিজাম ভাই অভিযোগের স্বরে বললেন, আরে, তোমার সাথে কি আমার আড্ডার সম্পর্ক নাকি, তুমি যেকোনো দিন, যখন ইচ্ছা আসবা। সাথে সাথেই জানতে চাইলেন, দুপুরে খেয়েছি কি না। আমি হালকা করে মাথা নেড়ে প্রসঙ্গ পালটাতে গিয়ে বললাম, নিজাম ভাই, পত্রিকার কাজের বিষয়ে আসছিলাম। তিনি নরম করে ধমক দিয়ে বললেন, চলো চলো, আগে খাবা। কাজ টাজ কী আছে সব পরে হবে।

অসম্ভব খিদে ছিলো। ক্যান্টিনে বসে তারপর আমি রুই মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছি। নিজাম ভাই বসে আছেন আমার মুখোমুখি। তিনি দুপুরের খাবার অনেক আগেই সেরেছেন। এখন বসে আছেন আমাকে সঙ্গ দিতে। আমি যেন অস্বস্তিতে না পড়ি তাই তিনি নিজের জন্য চা'য়ের অর্ডার করেছেন। চায়ে চুমুক দিচ্ছেন আর আমার সঙ্গে টুকটাক গল্প করছেন। তার দিকে চোখ তুলতেই তিনি জানতে চাইলেন, আর কিছু লাগবে কি না। আমি বললাম, না। কিন্তু মনেমনে বললাম, লাগবে। অবশ্যই লাগবে। শুধু প্রিয়জন নয়, প্রিয়জনের খিদে অনুভব করার মত জগতে আপনার মত অসংখ্য আফসার নিজাম লাগবে।

আজ বিশ'ই ফেব্রুয়ারি। আফসার নিজাম ভাইয়ের জন্মদিন। সারাদিন অসংখ্য মানুষ তাকে নানান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখন এই শেষবেলা এসে আমি সেসব পড়ছি। আর ভাবছি; শুভেচ্ছা আর কী জানাবো, কৃতজ্ঞতাই তো কত জানানোর বাকি। দুয়া করি, নিজাম ভাই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন। তার পরবর্তী প্রজন্মও ভালোবাসা আর আদর্শিকতায় তাকে ছাড়িয়ে যাক। তার মত আরও অসংখ্য 'নিজাম' এর হাত ধরে পৃথিবীটা ভালবাসার পথে এগিয়ে যাক!

পুনশ্চ :
খাবার শেষ করেই নিজাম ভাই সেদিন আমাকে ছেড়ে দেন নি। পত্রিকার জন্য তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করেছেন। প্রুফ, মেকাপ, কভার থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন। এমন কি রাত জেগে উন্মেষের বর্তমান অসাধারণ লোগোটিও তিনি আমাদের জন্য করে দিয়েছিলেন।

ছবি :
দুই বছর ধরে বইমেলায় যাই না। পনের'র বই মেলায় নিজাম ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে গিয়ে তিনি বললেন, বন্ধুর (নজরুলের) গলায় হাত রেখে দাঁড়াও তো, দুজনের একটা ছবি তুলে দিই!অতীতের অসংখ্য গাঢ়তর বিষয়কেও বর্তমানে এসে অনেকের কাছে হালকা লাগতে পারে। তবে সত্য হল, আজকের এই হালকা বিষয়টাই অতীতের সেই উপস্থিত সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তাই অতীত আমার কাছে বরাবরই উৎসাহের বিষয়। দিনের পর দিন যায়, তবুও এই উৎসাহ আমার কমে না। বর্তমানের চেয়েও আড়ম্বরপূর্ণ এক অনন্য আবহে, ভেতরে আমার বেঁচে থাকে শুধু অতীত, অতীতের সব ছবি।

উন্মেষ আমার জীবনে তেমনই এক দারুণ অতীত। ভাবতেই অবাক লাগে সেই সময়টার কথা। চার পাঁচটা তরুণ। যারা সদ্য মাত্র কৈশর পেরিয়েছে। তারা একটি সাহিত্যের লিটলম্যাগ বের করছে। প্রথমটা হাতে লিখে বেরিয়েছে। দ্বিতীয়টা কম্পোজ আর ফটোস্ট্যাট। তৃতীয়টাই প্রেসের ঝকঝকে ছাপায়। পত্রিকাটাই যে শুধু তরতর করে এগিয়ে গেছে তাই নয়। এগিয়ে গেছে রাতজাগা অসংখ্য আলাপ, আড্ডা, গল্প, কবিতা আরও কত কত স্বপ্ন!

সব রাত্রিই সকাল হয়। সব গল্পই ফুরায়। সব স্বপ্নও তাই ভেঙে যায়। যেতে হয়। এই নিয়ম মেনেই বোধকরি উন্মেষ একদিন অনাকাঙ্ক্ষিত এক মহাবিরতির স্টেশানে ঘুমিয়ে পড়ে। সবাই এই ঘুমকে মৃত্যু বলতে চাইলেও আমি মনেমনে মানতে পারিনি। তাই উন্মেষ'র এই ঘুম ভাঙাতে আমি আমার সবটুকু সুর দিয়ে ঘুমভাঙানির গান গাইতে চেয়েছি। উন্মেষকে জাগাতে চেয়েছি। ঘুম যখন ভাঙলই না, তখন মনকে বলেছি; থাক, ঘুমিয়েছে ঘুমোক, ছেড়ে দিলাম। তাকে মহা বিরতি দিলাম। তবুও মৃত বলতে রাজি হলাম না।

উন্মেষ'কে নিয়ে যখন একা হয়ে পড়েছিলাম, তখনকার সময়ের ছোট্ট একটা গল্প। নিজাম ভাইয়ের গল্প। খিদের গল্প।

আল কাউসারে ছিল আমাদের মাসিক ছুটি। দুইদিন। এই ছোট্ট ছুটিতেই পত্রিকার সবটুকু কাজ করতে হত। তেমনি এক মাসিক ছুটির দুপুরবেলা কাজে বেরোতে যাবো। তখনই একজন শিক্ষক ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যাঙ্কের কিছু কাজ দিয়ে দিলেন। সেই কাজ শেষ করতে করতে আমার সারাটা দুপুর চলে গেল। খিদায় পেট লেগে যাচ্ছে। এদিকে পত্রিকার কাজও কিছু হয়নি। কোন কাজটা করবো! বিজ্ঞাপন নাকি মেকআপ! নাকি প্রুফ? নাকি বাসায় চলে যাব, কিছুই বুঝে আসছে না।

এমনই যখন অবস্থা। তখন কী মনে করে যেন হাঁটা দিলাম নিজাম ভাইয়ের অফিসের দিকে। যেতে যেতে ভাবলাম; তিনি যদি পত্রিকার কোন একটা কাজে সহযোগিতা করতে পারেন, বিজ্ঞাপন/লেখা/ছাপাখানার খোঁজ, যেকোনো একটা হলেই হল।

নিজাম ভাইয়ের সাথে দেখা হতেই বল্লাম; আজ তো বৃহস্পতিবার না, বিপরীত'র আড্ডাও নাই, তবুও চলে আসলাম। নিজাম ভাই অভিযোগের স্বরে বললেন, আরে, তোমার সাথে কি আমার আড্ডার সম্পর্ক নাকি, তুমি যেকোনো দিন, যখন ইচ্ছা আসবা। সাথে সাথেই জানতে চাইলেন, দুপুরে খেয়েছি কি না। আমি হালকা করে মাথা নেড়ে প্রসঙ্গ পালটাতে গিয়ে বললাম, নিজাম ভাই, পত্রিকার কাজের বিষয়ে আসছিলাম। তিনি নরম করে ধমক দিয়ে বললেন, চলো চলো, আগে খাবা। কাজ টাজ কী আছে সব পরে হবে।

অসম্ভব খিদে ছিলো। ক্যান্টিনে বসে তারপর আমি রুই মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছি। নিজাম ভাই বসে আছেন আমার মুখোমুখি। তিনি দুপুরের খাবার অনেক আগেই সেরেছেন। এখন বসে আছেন আমাকে সঙ্গ দিতে। আমি যেন অস্বস্তিতে না পড়ি তাই তিনি নিজের জন্য চা'য়ের অর্ডার করেছেন। চায়ে চুমুক দিচ্ছেন আর আমার সঙ্গে টুকটাক গল্প করছেন। তার দিকে চোখ তুলতেই তিনি জানতে চাইলেন, আর কিছু লাগবে কি না। আমি বললাম, না। কিন্তু মনেমনে বললাম, লাগবে। অবশ্যই লাগবে। শুধু প্রিয়জন নয়, প্রিয়জনের খিদে অনুভব করার মত জগতে আপনার মত অসংখ্য আফসার নিজাম লাগবে।

আজ বিশ'ই ফেব্রুয়ারি। আফসার নিজাম ভাইয়ের জন্মদিন। সারাদিন অসংখ্য মানুষ তাকে নানান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখন এই শেষবেলা এসে আমি সেসব পড়ছি। আর ভাবছি; শুভেচ্ছা আর কী জানাবো, কৃতজ্ঞতাই তো কত জানানোর বাকি। দুয়া করি, নিজাম ভাই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন। তার পরবর্তী প্রজন্মও ভালোবাসা আর আদর্শিকতায় তাকে ছাড়িয়ে যাক। তার মত আরও অসংখ্য 'নিজাম' এর হাত ধরে পৃথিবীটা ভালবাসার পথে এগিয়ে যাক!

পুনশ্চ :
খাবার শেষ করেই নিজাম ভাই সেদিন আমাকে ছেড়ে দেন নি। পত্রিকার জন্য তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করেছেন। প্রুফ, মেকাপ, কভার থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন। এমন কি রাত জেগে উন্মেষের বর্তমান অসাধারণ লোগোটিও তিনি আমাদের জন্য করে দিয়েছিলেন।

ছবি :
দুই বছর ধরে বইমেলায় যাই না। পনের'র বই মেলায় নিজাম ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে গিয়ে তিনি বললেন, বন্ধুর (নজরুলের) গলায় হাত রেখে দাঁড়াও তো, দুজনের একটা ছবি তুলে দিই!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×