আপনি যেমন ভ্যাট ট্যাক্স দেন সেভাবে একজন সরকারি কর্মচারী ও দেয় তাই সরকারি কর্মচারীর বেতন আপনি দেন সেই ধোয়া তুলবেন না। সেই যুক্তি অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী নিজের বেতন নিজেই দেয় কারণ সেও ভ্যাট অথবা ট্যাক্স দেয়। রাষ্ট্রযন্ত্র দেশের সব কিছুর মালিক, এই রাষ্ট্রযন্ত্র চলার জন্য আপনি ভ্যাট ট্যাক্স দেন। রাষ্ট্রযন্ত্র না চললে কিছুই চলবেনা। আপনার আয় ইনকাম ও না। আপনি যেমন কাজ কাম করে টাকা কামান, এই টাকা কামানোর অবকাঠামো গড়তে রাষ্ট্রযন্ত্রের লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। উলটা ধরা যায় সরকারি কর্মচারী দের চেয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র আপনার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য লাখ কোটি টাকার অবকাঠামো তৈরি করে। এই টাকা আসছে ভ্যাট ট্যাক্স থেকে। তার মানে দাঁড়ায় সবার ভ্যাট ট্যাক্সের ওপরে আমরা সবাই ই নির্ভরশীল। শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারী রা না। দেশে লক্ষ লক্ষ সরকারী কর্মচারী আছে যারা সামান্য বেতনে কোনো রকমে বেঁচে আছে। আবার মুদ্রার অন্যপিঠ ও আছে। সেজন্য সবাইকে জনগনের চাকর বলে ভ্যাংচাবেন এটা হবেনা। এই আধুনিক যুগে আপনি যদি চাকর হতে না চান তবে অন্যকে কিভাবে চাকর বলেন! দেশে দূর্ণীতি হচ্ছে এটা আলাদা কথা। স্কুল মাস্টার থেকে শুরু করে দক্ষ অথবা আধা দক্ষ লাখো কর্মচারী কে দূর্ণীতি বাজ আর জনগনের চাকর বলে গালি দেয়ার অধিকারও আমার আপনার নাই। যে দূর্ণীতি করে পারলে তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করেন। কিন্তু তা না করে আপনারা আবার এ ধরণের দূর্ণীতি বাজদের চাকর বনে যান । আপনি মনে করেন শুধু মাত্র সরকারি চাকুরে রাই চুরি করে, তাহলে আপনি এখনো বেসরকারী স্টোর ইনচার্জ, মার্চেন্ট ডিপার্টমেন্টের কিছু কিছু লোক, পার্চেজ ডিপার্টমেন্টের দূর্ণীতি, টেন্ডারে বিভিন্ন কাজ কাম করাতে গিয়ে চুরি এসব দেখেন নাই। একটা উদাহরণ দেইঃ একটা বে-সরকারী কোম্পানী তে প্রতি উচ্চপদস্থ কর্মকার্তা দের গাড়ির জন্য বছরে ৪০০০০ টাকা শুধু গাড়ির চাকার জন্য বরাদ্দ। এখন গাড়ির চাকা পালটানো হউক আর না হউক ৪০০০০ টাকা ঠিক ই তুলে নেয়া হয়। এবং এসব হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। এবং এমন হাজারো ভাবে হাজারো ধরণের চুরি চামারি চলে বে-সরকারি তেও। আমরা শুধুই সুযোগের অভাবে সৎ কিছু মানুষ। সময় আর সুযোগ পেলে সবাই ই হায়েনা।
একবার সরকারি মেডিকেলের ওয়ার্ড গুলোতে ঘুরে আসিয়েন, শত শত কর্মচারী সু চিকিৎসার অভাবে দিনের পর দিন কাৎরায়। সবাই টাকার পাহাড় গড়েনা আর সবার এই সুযোগ থাকেওনা। অনেকেই সুযোগের অভাবে সৎ আবার কেউ প্রয়োজনের অভাবে।