somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্পেসিসিজম বা প্রজাতিভিত্তিক বৈষম্য

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বৈষম্যের নানা ধরণই হতে পারে। শৈশব থেকেই দেখে আসছি আর শুনে আসছি কতশত বৈষম্যের ফিরিস্তি। তার কোন সমাপ্তি অবশ্য দেখিনি। লিঙ্গ বৈষম্য। , জাতি বৈষম্য, বর্ণ বৈষম্য; বৈষম্যের হরেক রকম কদলি। এদিক থেকে পৃথিবীটাকে কুৎসিত বলা যেতেও পারে। আমরা সবাই বৈষম্য করছি আবার সবাই বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কিন্তু যে বৈষম্যের কথা আপনার মাথায় কখনো আসেনি সেটা সম্ভবত প্রজাতি বৈষম্য! প্রাণীদের প্রতি দরদ ঢালতে ঢালতে দরদশূণ্যতায় ভুগছে এরকম ব্যক্তিকেও আমি এই বৈষম্যের হর্তাকর্তার আসনে দেখেছি।

পশুপাখির সাথে আমাদের সম্পর্কটা খুব সহজ সরল না, বেশ জটিলই বলা যায়। আমরা কিছু প্রাণীর সাথে খুব সদয় আচরণ করি; তাদেরকে পোষা প্রাণী হিসাবে রাখি, তাদের নাম দিই, এবং এমনকি অসুস্থ হলে তাদেরকে ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত নিয়ে যাই। আবার বিপরীতে একই আমরা অন্য কোন প্রাণীর গলায় ছুরি ধরছি, তাদের মাংস দিয়ে রেজালা বানাচ্ছি, ব্যবসা করছি তাদের চাল চামড়া, পালক নিয়েও। বিজ্ঞানের চাকচিক্য বাড়াতে ল্যাবরেটরিতেও তাদের প্রাণ হরণ করি। চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক কিংবা আরও অনেক মাধ্যমে তাদেরকে বানাচ্ছি বিনোদনের উৎস। আবার এমনও ঘটনা আছে যে বেহুদাই কোন কারণ ছাড়াই চড়াও হচ্ছি কোন কোন প্রাণীর উপর। এই কদিন আগেই এক কুকুরের ছিন্ন ভিন্ন মাথা দেখেই অবাক হয়ে গেছি। মাথার তালুর উপরের অংশ প্রায় খোলা, কোন চামড়া নেই। কোন কসাইয়ের দোকানে হয়ত উঁকি মেরেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়েও। মাছি ভনভন করছে এই খোলা অংশে, তারপরও সে কোনরকম চিকিৎসা ছাড়াই দিব্যি লড়াই করেছে জীবনের সঙ্গে। দাঁড়িয়ে থেকে ভাবছিলাম এরকম সহ্যশক্তি আমার থাকলে মন্দ হত না, অবশ্য এরকম কোপও খেতে হত তখন!

প্রজাতিগত্য বৈষম্য বা প্রজাতিবাদের সাথে সংস্কৃতি, ধর্ম, আইন সহ অনেক কিছুর হিসাব নিকাশ জড়িত। কুকুরপ্রেমী ব্যক্তির তেমন কিছু আসে যায় না রাস্তায় থাকা শিয়ালের মরদেহ দেখে। সাপের মাথা থেঁতলে আনন্দ পেতে ভুল করেন না কোন বিড়ালপ্রেমীও, কিন্তু আহত হবেন কোন সর্পপ্রেমী। এই যে ব্যক্তিগত পছন্দ সেটিও স্পেসিসিজমকে প্রভাবিত করে।

ধর্মবিশ্বাসও স্পেসিসিজমের আরেক প্রভাবক। যেমন একজন মুসলিমের কাছে কুকুরের চাইতে শূকরের জীবন তুচ্ছ, বিপরীতে একজন খ্রিস্টানের কাছে গরুর চেয়ে শূকরের মূল্য অধিক, আবার একজন হিন্দুর কাছে ছাগের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য অনকে বেশি। শুকরের প্রতি তীব্র যে আমি ঘৃণা আমি বাঙালি মুসলিম সমাজে দেখে বড় হয়েছি তা রীতিমত অকল্পনীয়। আমার এলাকায় শুকরের স্থানীয় নাম হৌর্। কিন্তু শুকর কিংবা হৌর্ কোনটাই মুখে আনার মত এক অলিখিত নিষেধাজ্ঞা এখানে রয়েছে। শুকরের নাম মুখে আনলে পাপ হবে ভেবে তারা বিকল্প নাম গীদর খুঁজে নিয়েছে! কিন্তু বিকল্প নামে কী পাপ কম হবে কিনা তার হিসাব কে করবে! এলাকায় মাঝেমধ্যেই শুকরের পাল নিয়ে যাযাবর সম্প্রদায় আসত। সাধারণত গ্রামের বিভিন্ন জঙ্গল, কচুগড় এসব জায়গায় এদের চরানো হত। আর কী পাশবিক আনন্দের হোলিখেলা আমি দেখতাম, এলাকার ছেলেপিলে থেকে শুরু করে বুড়োরা পর্যন্ত লাঠিসোটা নিয়ে আসত এসব শূকরকে বেধড়ক পেটানোর জন্য। পালের সঙ্গে আসা ছেলেদের মুখে আমি কোন প্রতিবাদের ভঙ্গি দেখতাম না। মাঝেমধ্যে হালকা যে দরদের ছিঁটেফোটা দেখতাম সেটাও বাণিজ্যিক সহানুভূতি। আমার হাই স্কুলের পিছনেই ছিল এদের ক্যাম্প। দিনভর এসব কীর্তি নজরে আসতো আমার।

লাভ বা ক্ষতির সঙ্গেও স্পেসিসিজম জড়িত। ফসল থেকে কাঁথা বালিশ সবকিছু কেটেকুতে নকশা করা ইঁদুরের চেয়েও বিড়ালের কদর অবশ্যই বেশি। ‌এই ইন্টারনেট যুগে যতগুলো পশু প্রেমী গ্রুপ আমি দেখেছি তাদের সমস্ত আয়োজন বিড়াল কেন্দ্রিক বা কুকুর কেন্দ্রিক। মিমের জন্য বিড়ালের রাজত্বও কেউ অস্বীকার করবেন না। মশা মারতে গিয়ে কখনো কারও হাত কেঁপেছে, কখনও খারাপ লেগেছে, কখনও পিছুটান হয়েছে এমনটা অনভিপ্রেত। কিন্তু পিঁপড়ে মারার ক্ষেত্রে অনেককেই আমি দেখেছি পিপড়েকে ছেড়ে দিতে। শুকরের মতই শিয়াল দেখামাত্র পিটিয়ে মারার উন্মাদনা দর্শন আমার একদম ছোটবেলার অভিজ্ঞতা! প্রশ্ন হল কেন এই মারার জন্য তোড়জোড়? ক্ষতিটা কী করেছে সে? কেন দেখামাত্রই ছুটে যেতে হবে তাকে মারার দিকে!

প্রাণী নিয়ে কাজ করেন বা ত্রাণ সরবরাহ করেন তারা জানেন এই বঙ্গীয় সর্বশ্রেষ্ঠ আদম বলে দাবি করা মানুষদের তিরস্কার আর খিল্লি কত প্রকার। মানুষ রেখে কেন পশুদের প্রতি দরদ দেখানো হচ্ছে সে প্রশ্ন অনেকের কাছেই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু আমি স্পেসিসিজম যেমন দেখি তেমনই এটাও নজরে পড়ে যে পশুপ্রেমীরা কেবল পশুপ্রেমী নন কিংবা তারা মানববিদ্বেষীও নন। তাহলে দুটো বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোন অর্থ হয় না। কেউ কুকুরের খাবার জোগাচ্ছেন মানে এই না যে তিনি আর্তের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না।
যাকগে দুনিয়ার সবারই সবকিছু নিয়ে ভাবার সময় নাই, ভাবতেও হবে এমন না, সব ভাবনাই সঠিক এমনও না। এত এত বৈষম্যের ভীড়ে এই বৈষম্যের হয়তো ঠাঁই হবে কদাচিৎ। সেখানে এর ভবিষ্যত কী তা আমার না জানাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভেগানদেরকে স্পেসিসিজমের হর্তাকর্তা মনে করেন সেটাও ঠিক না। কেউ ভাবেন এটা একটা হুদাহুদি ধারণা; আর দশটা বৈষম্যের ধারণাইর মতই অমূলক কিংবা রংচরানো। চুনোপুটি ভোজনরসিক থেকে দার্শনিক সমাজসেবক, আপাদমস্তক পশুপ্রেমীদেরও অনেকেই তাই ভাবেন। যাকগে কারুর মতের উপর জোর চলে না। তবে পশুপাখিকে যেন অযথাই কষ্ট না দেন অন্তত সেই নিবেদন করছি। আবার একটু ইচ্ছে করলেই যেখানে পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া থেকে বাঁচানো যায় সেখানে অন্তত অবহেলা কাম্য নয়। যেমন হাঁসমুরগি উল্টো করে ঝুলিয়ে বহন করা কিংবা নির্ভার হেটে যাওয়া কোন প্রাণীকে মজার ছলে মারধর করা, পুকুরে থাকা ব্যাঙের গায়ে ঢিল ছুড়ে মজা নেওয়ার মত কাজগুলো অন্তত করবেন না।
বৈষম্যের নানা ধরণই হতে পারে। শৈশব থেকেই দেখে আসছি আর শুনে আসছি কতশত বৈষম্যের ফিরিস্তি। তার কোন সমাপ্তি অবশ্য দেখিনি। লিঙ্গ বৈষম্য। , জাতি বৈষম্য, বর্ণ বৈষম্য; বৈষম্যের হরেক রকম কদলি। এদিক থেকে পৃথিবীটাকে কুৎসিত বলা যেতেও পারে। আমরা সবাই বৈষম্য করছি আবার সবাই বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কিন্তু যে বৈষম্যের কথা আপনার মাথায় কখনো আসেনি সেটা সম্ভবত প্রজাতি বৈষম্য! প্রাণীদের প্রতি দরদ ঢালতে ঢালতে দরদশূণ্যতায় ভুগছে এরকম ব্যক্তিকেও আমি এই বৈষম্যের হর্তাকর্তার আসনে দেখেছি।

পশুপাখির সাথে আমাদের সম্পর্কটা খুব সহজ সরল না, বেশ জটিলই বলা যায়। আমরা কিছু প্রাণীর সাথে খুব সদয় আচরণ করি; তাদেরকে পোষা প্রাণী হিসাবে রাখি, তাদের নাম দিই, এবং এমনকি অসুস্থ হলে তাদেরকে ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত নিয়ে যাই। আবার বিপরীতে একই আমরা অন্য কোন প্রাণীর গলায় ছুরি ধরছি, তাদের মাংস দিয়ে রেজালা বানাচ্ছি, ব্যবসা করছি তাদের চাল চামড়া, পালক নিয়েও। বিজ্ঞানের চাকচিক্য বাড়াতে ল্যাবরেটরিতেও তাদের প্রাণ হরণ করি। চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক কিংবা আরও অনেক মাধ্যমে তাদেরকে বানাচ্ছি বিনোদনের উৎস। আবার এমনও ঘটনা আছে যে বেহুদাই কোন কারণ ছাড়াই চড়াও হচ্ছি কোন কোন প্রাণীর উপর। এই কদিন আগেই এক কুকুরের ছিন্ন ভিন্ন মাথা দেখেই অবাক হয়ে গেছি। মাথার তালুর উপরের অংশ প্রায় খোলা, কোন চামড়া নেই। কোন কসাইয়ের দোকানে হয়ত উঁকি মেরেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়েও। মাছি ভনভন করছে এই খোলা অংশে, তারপরও সে কোনরকম চিকিৎসা ছাড়াই দিব্যি লড়াই করেছে জীবনের সঙ্গে। দাঁড়িয়ে থেকে ভাবছিলাম এরকম সহ্যশক্তি আমার থাকলে মন্দ হত না, অবশ্য এরকম কোপও খেতে হত তখন!

প্রজাতিগত্য বৈষম্য বা প্রজাতিবাদের সাথে সংস্কৃতি, ধর্ম, আইন সহ অনেক কিছুর হিসাব নিকাশ জড়িত। কুকুরপ্রেমী ব্যক্তির তেমন কিছু আসে যায় না রাস্তায় থাকা শিয়ালের মরদেহ দেখে। সাপের মাথা থেঁতলে আনন্দ পেতে ভুল করেন না কোন বিড়ালপ্রেমীও, কিন্তু আহত হবেন কোন সর্পপ্রেমী। এই যে ব্যক্তিগত পছন্দ সেটিও স্পেসিসিজমকে প্রভাবিত করে।

ধর্মবিশ্বাসও স্পেসিসিজমের আরেক প্রভাবক। যেমন একজন মুসলিমের কাছে কুকুরের চাইতে শূকরের জীবন তুচ্ছ, বিপরীতে একজন খ্রিস্টানের কাছে গরুর চেয়ে শূকরের মূল্য অধিক, আবার একজন হিন্দুর কাছে ছাগের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য অনকে বেশি। শুকরের প্রতি তীব্র যে আমি ঘৃণা আমি বাঙালি মুসলিম সমাজে দেখে বড় হয়েছি তা রীতিমত অকল্পনীয়। আমার এলাকায় শুকরের স্থানীয় নাম হৌর্। কিন্তু শুকর কিংবা হৌর্ কোনটাই মুখে আনার মত এক অলিখিত নিষেধাজ্ঞা এখানে রয়েছে। শুকরের নাম মুখে আনলে পাপ হবে ভেবে তারা বিকল্প নাম গীদর খুঁজে নিয়েছে! কিন্তু বিকল্প নামে কী পাপ কম হবে কিনা তার হিসাব কে করবে! এলাকায় মাঝেমধ্যেই শুকরের পাল নিয়ে যাযাবর সম্প্রদায় আসত। সাধারণত গ্রামের বিভিন্ন জঙ্গল, কচুগড় এসব জায়গায় এদের চরানো হত। আর কী পাশবিক আনন্দের হোলিখেলা আমি দেখতাম, এলাকার ছেলেপিলে থেকে শুরু করে বুড়োরা পর্যন্ত লাঠিসোটা নিয়ে আসত এসব শূকরকে বেধড়ক পেটানোর জন্য। পালের সঙ্গে আসা ছেলেদের মুখে আমি কোন প্রতিবাদের ভঙ্গি দেখতাম না। মাঝেমধ্যে হালকা যে দরদের ছিঁটেফোটা দেখতাম সেটাও বাণিজ্যিক সহানুভূতি। আমার হাই স্কুলের পিছনেই ছিল এদের ক্যাম্প। দিনভর এসব কীর্তি নজরে আসতো আমার।

লাভ বা ক্ষতির সঙ্গেও স্পেসিসিজম জড়িত। ফসল থেকে কাঁথা বালিশ সবকিছু কেটেকুতে নকশা করা ইঁদুরের চেয়েও বিড়ালের কদর অবশ্যই বেশি। ‌এই ইন্টারনেট যুগে যতগুলো পশু প্রেমী গ্রুপ আমি দেখেছি তাদের সমস্ত আয়োজন বিড়াল কেন্দ্রিক বা কুকুর কেন্দ্রিক। মিমের জন্য বিড়ালের রাজত্বও কেউ অস্বীকার করবেন না। মশা মারতে গিয়ে কখনো কারও হাত কেঁপেছে, কখনও খারাপ লেগেছে, কখনও পিছুটান হয়েছে এমনটা অনভিপ্রেত। কিন্তু পিঁপড়ে মারার ক্ষেত্রে অনেককেই আমি দেখেছি পিপড়েকে ছেড়ে দিতে। শুকরের মতই শিয়াল দেখামাত্র পিটিয়ে মারার উন্মাদনা দর্শন আমার একদম ছোটবেলার অভিজ্ঞতা! প্রশ্ন হল কেন এই মারার জন্য তোড়জোড়? ক্ষতিটা কী করেছে সে? কেন দেখামাত্রই ছুটে যেতে হবে তাকে মারার দিকে!

প্রাণী নিয়ে কাজ করেন বা ত্রাণ সরবরাহ করেন তারা জানেন এই বঙ্গীয় সর্বশ্রেষ্ঠ আদম বলে দাবি করা মানুষদের তিরস্কার আর খিল্লি কত প্রকার। মানুষ রেখে কেন পশুদের প্রতি দরদ দেখানো হচ্ছে সে প্রশ্ন অনেকের কাছেই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু আমি স্পেসিসিজম যেমন দেখি তেমনই এটাও নজরে পড়ে যে পশুপ্রেমীরা কেবল পশুপ্রেমী নন কিংবা তারা মানববিদ্বেষীও নন। তাহলে দুটো বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোন অর্থ হয় না। কেউ কুকুরের খাবার জোগাচ্ছেন মানে এই না যে তিনি আর্তের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না।
যাকগে দুনিয়ার সবারই সবকিছু নিয়ে ভাবার সময় নাই, ভাবতেও হবে এমন না, সব ভাবনাই সঠিক এমনও না। এত এত বৈষম্যের ভীড়ে এই বৈষম্যের হয়তো ঠাঁই হবে কদাচিৎ। সেখানে এর ভবিষ্যত কী তা আমার না জানাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভেগানদেরকে স্পেসিসিজমের হর্তাকর্তা মনে করেন সেটাও ঠিক না। কেউ ভাবেন এটা একটা হুদাহুদি ধারণা; আর দশটা বৈষম্যের ধারণাইর মতই অমূলক কিংবা রংচরানো। চুনোপুটি ভোজনরসিক থেকে দার্শনিক সমাজসেবক, আপাদমস্তক পশুপ্রেমীদেরও অনেকেই তাই ভাবেন। যাকগে কারুর মতের উপর জোর চলে না। তবে পশুপাখিকে যেন অযথাই কষ্ট না দেন অন্তত সেই নিবেদন করছি। আবার একটু ইচ্ছে করলেই যেখানে পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া থেকে বাঁচানো যায় সেখানে অন্তত অবহেলা কাম্য নয়। যেমন হাঁসমুরগি উল্টো করে ঝুলিয়ে বহন করা কিংবা নির্ভার হেটে যাওয়া কোন প্রাণীকে মজার ছলে মারধর করা, পুকুরে থাকা ব্যাঙের গায়ে ঢিল ছুড়ে মজা নেওয়ার মত কাজগুলো অন্তত করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×