somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাত্র ২ ক্লিকেই সামু সহ যে কোন বন্ধ সাইট ফিরে পেতে...

১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘কিছু কিছু আইএসপি’ থেকে সামু পাওয়া না যাওয়ার একটা পোস্ট স্টিকি করা দেখছি, কিন্তু আমার কোন সমস্যা হচ্ছিলোনা দেখে তা নিয়ে মাথা ঘামাইনি।
কিন্তু গতকাল থেকে দেখলাম আমি সামু পাচ্ছি না!
তবে একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নিজে কিছু ব্যবস্থা করাই ছিলো, তাই মাত্র ২টা অতিরিক্ত ক্লিক করেই, ২-৩সেকেন্ডের মধ্যেই আমি আবার সামুতে প্রবেশ করতে সক্ষম হলাম, তখনই মাাথয় এলো, এই ব্যপারটা আমি ব্লাগার সহপাঠিদের সাথে শেয়ার করতে পারি।

একটা আঙ্গুর হাতে নিয়েই খেয়ে ফেলতে ২-৩টা স্টেপই যথেষ্ট, আর তা চিবিয়ে গিলে ফেলা পর্যন্ত ১০সেকেন্ডের বেশি লাগার কথা নয়। তবে ওটার চারাগাছ থেকে ফুল করে আঙ্গুর হয়ে উঠতে পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়।
যেমনটা বলছিলাম, আমি ৫সেকেন্ডেরও কম সময়ে সামু ফিরিয়ে এনেছি।

তবে তা ২-৩সেকেন্ডের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে যে ব্যবস্থাটা আপনাকে করতে হবে, তা করতে একটু সময় লাগবে বৈ কি।
এই প্রসেসটা অলরেডী অনেকেই জানেন, কিংবা নাম শুনেছেন। জ্বী, আমি VPN এর কথাই বলছি। তবে VPN ব্যবহার করলে তার কিছু সমস্যাও পোহাতে হয়, যেমন: VPN বারবার চালু করা, VPN এর জন্য আলাদা ব্রাউজার, কিংবা এই সাইট এই ব্রাউজারে তো আরেকটা VPN ব্রাউজারে, অনেক সময় সাইট ঠিকমতো লোড হয় না, বিজ্ঞাপন, স্লো রেসপন্স ইত্যাদি সহ আরও নানাবিধ সমস্যা।
তাছারা যারা লিমিটেড ডেটা প্যাকেজ ব্যবহার করেন (সেলুলার নেটওয়ার্ক, কিউবি, বাংলা লায়ন ইত্যাদি), তাদের জন্য এটা উপযোগী নয় কারন এতে বেশি ডেটা ইউজ হয়। সব সাইটের জন্য অযথা VPN ব্যবহার করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনই স্লো এবং অযথা ডেটার খরচের মাধ্যমে ব্যয় বৃদ্ধি করার কোন প্রয়োজন নেই।

তো আমরা এমন ব্যবস্থা করবো, যেন আমাদের রেগুলার যে ব্রাউজারটি ব্যবহার করতে পারি, এবং কোন সাইট VPN হয়ে যাবে তা অটোমেটিকই ডিসাইড হবে, অর্থা‌ৎ আমাদের ডিফারেন্ট ব্রাউজারও ব্যবহার করতে হবে না, আবার VPN/Direct নিজেদের কিছুই করতে হবে না। তার মানে আমরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয়/ব্লকড সাইটের জন্য VPN ব্যবহার করবো, এবং যেসব সাইট ব্লকড নেই তা নরমালি ব্যবহার করতে পারবো এবং কোনরুপ ঝামেলা ছাড়াই।

এর মাধ্যমে কেবল সামু’ই না, আরও অনেক সাইট যেগুলো আমাদের লোকাল আইএসপি কিংবা সরকার বিভন্ন সময় বন্ধ করে দেয়, তাও পাওয়া যাবে।

এর ক্ষতিকর দিকটাও আপনাদের মাথায় আসবে, কেউ হয়তো তা পর্ন সাইটের মতো নিষিদ্ধ সাইট ব্যবহারে ব্যাবহার করতে পারে। তবে আমি ধরে নিচ্ছি সামুতে যারা লেখালেখি করেন বা এখানে লিখা পড়তে আসেন, তারা তুলনামূলকভাবে ব্যলেন্সড, এবং এই প্রসেসটা তারা ভালো কাজে ব্যবহার করবেন।

তাছাড়া বিভিন্ন অফিসের IT-Policy’তে সাধারন ইউজারদের VPN ব্যবহার নিষিদ্ধ, সুতরাং অফিসে ব্যবহার করতে অফিসের নিয়মকানুন যথাযথভাবে জেনে নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন। তবে আমি রিকমেন্ড করবো নিজের ব্যাক্তিগত ল্যাপটপ/কম্পিউটারের বাইরে এটি ট্রাই না করতে।

সামু’তে যদি সিস্টেম থাকতো, যে লিখা এমনভাবে পোস্ট করা যায় যেন এর এ্যকটিভ মেম্বার, মানে রেজিস্টার্ড ইউজাররাই কেবল দেখতে পারবেন, তবে আমি তাই করতাম। সামু কতৃপক্ষ ভবিষ্যতে কোনদিন এই অপশনটির কথা ভেবে দেখতে পারেন।

যাই হোক, ভূমিকা অনেক হলো, এখন মূল কথায় আসি।
যা যা লাগবে।
১। TOR Browser.
-এটি ব্যবহার হবে VPN সার্ভিস হিসেবে।
২। Google Chrome
আমি ইউজারদের গুগল ক্রোম ব্যবহার করতে সাজেস্ট করবো। যদিও অনেকে মজিলা ফায়ারফক্স পছন্দ করেন, তবে আমি তাদের বলবো Google Chrome ব্যবহার করতে। আমাদের সাধারন ট্যান্ডেন্সিমতো আমরা যা পছন্দ করি, বা যেভাবে আমরা অভ্যস্ত সেই পথ আমরা ছাড়তে রাজি হই না, আমিও ব্যতিক্রম নই, তবুও ব্যবহার করতে শুরু করেন, আমি নিশ্চিত, ১মাসের মধ্যে আপনি বুঝতে পারবেন কেন আমি এটা ব্যবহারের কথা বলেছিলাম। আমিও ফায়ারফক্স ছেড়ে মনের বিরুদ্ধেই ক্রোমে এসছিলাম, এখন এটা ছাড়ার মতো সমকক্ষ বিকল্প কিছু দেখছি না। কেন দেখছিনা বা কি কি কারনে দেখছি না, তা নিয়ে আরেকদিন লিখবো।
যা বলছিলাম, চলুন শুরু করা যাক।

ধাপ ১: প্রথমেই আমরা গুগল সার্চ দিয়ে টর ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিবো। Google এ সার্চ দিন “TOR Browser filehippo”, এতে filehippo সাইটে টর ব্রাউজারের লিংক পেয়ে যাবেন। আপনি অন্য সাইট থেকেও নামাতে পারেন, তবে filehippo তেমন না ঘুড়িয়ে সহজেই আপনাকে ফাইলটি দিয়ে দিবে।

ধাপ ২: ডাউনলোড করা TOR Browser’টি ইন্সটল করে নিন, এটা করতে সাধারন ইন্সটেলেশন প্রসেসেই ইন্সটল করবেন, ডিফল্ট যা যেভাবে আছে সেভাবে রেখেই নেক্সট নেক্সট ওকে ওকে করে ইন্সটল করে ফেলবেন। (TOR এর পোর্টেবল ভার্সনও সার্চ দিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারেন, তা ইন্সটলও করতে হয় না, এমনিতে ওপেন করলেই চলবে।)

ধাপ ৩: যাদের Google Chrome ব্রাউজারটি ইন্সটল করা নেই, তারা একইভাবে গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে ফেলুন। Google এ Chrome download লিখে সার্চ দিয়ে সহজেই তা ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।
(যেভাবে করতে পারেন: Click here )

ধাপ ৪: TOR ব্রাউজারটি স্টার্ট করুন এবং কানেক্ট করুন। (এটি প্রসেসিং দেখিয়ে অটো কানেক্ট হতে পারে, যদি ব্রাউজারটি ওপেন হয়ে যায় তবে বুঝবেন কানেক্ট হয়ে গেছে।) এখানে আপনি চাইলে যে কোন সাইট ব্রাউজ করতে পারেন, তা কোনরুপ বাধা ছাড়াই ওপেন হবে। তবে আমরা এমনটা চাচ্ছি না, আমরা চাচ্ছি আমাদের রেগুলার ব্রাউজারেই ব্রাউজ করতে। কারন আগেই বলেছি, এখানে ব্রাউজ করা মানে সাইট স্লো হবে, এবং এখানে ব্রাউজ করা সব সাইটের জন্যই অতিরিক্ত ডেটা ইউজ হবে।

ধাপ ৫: এবার Google Chrome ব্রাউজারটি ওপেন করুন। এড্রেস বারে Switchyomega chrome লিখে সার্চ করুন। সবার উপরের লিঙ্কে ক্লিক করে ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে এক্সটেনশনটি এড করার জন্য “Add to Chrome” এ ক্লিক করুন।



নিচের লিঙ্কটি’র মাধ্যমে আপনি সরাসরি ওই পেজে যেতে পারেন।
https://chrome.google.com/webstore/detail/proxy-switchyomega/padekgcemlokbadohgkifijomclgjgif?hl=en

এক্সটেনশনটি এ্যাড করা হয়ে গেলে আপনি আপনার ক্রোম ব্রাউজারের উপরে ডান পাশ এরকম একটি “O” আকৃতির আইকন দেখতে পাবেন।


আইকনটা গ্রে (ধূসর) কালারের দেখালে মানে Proxy Switching টি একটিভ নয়, একটিভ হলে তা সবুজ দেখাবে।

ধাপ ৬: এখন আমরা যা করতে যাচ্ছি, তা করার আগে কি করতে যাচ্ছি তা একটু বর্ণনা করে নেই, কেনই বা করছি তাও বলছি (যারা ব্যপারটা কিভাবে হবে জানতে জানতে আগ্রাহি এবং আগে থেকে জিনি এই প্রক্সিফাইং ব্যপারটা জানেন না কেবল তারাই এই ধাপটা পড়তে পারেন, বাকিরা স্কিপ করে পরের ধাপে চলে যেতে পারেন)।

আপনি যদি আগের ৪টি ধাপ কমপ্লিট করে এ ধাপে এসে থাকেন, তবে বলা যায় আপনি কাজটা করার জন্য একদম রেডি।

আসলে Proxy Server কি করে?
আমরা স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির ক্লাসে হাজিরা ফাঁকি দেওয়ার সময় যে প্রক্সি দেওয়ার কথা বলি, এটিও সেরকমই। অর্থা‌ৎ আপনার হয়ে অন্য কেউ কাজটি করে দেওয়া, যেখানে কাজটা আপনার হয়ে অন্যে করবে, বেনিফিট টা আপনি পাবেন, কিন্তু তা আপনি বা আপনারা ছাড়া টিচার বা অথরিটি জানবে না।

তাহলে Proxy কিভাবে কাজ করে?
ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন আমি মাঝে মাঝে “Proxy Server” শব্দটি ব্যবহার করেছি, এখানে Server হলো এমন একজন যিনি আপনাকে এই সুবিধাটি দিবেন। এই Server সাহেব হতে পারে আপনার অফিসের কেউ, কিংবা দূরে বসে আপনার উপকার করে যাওয়া কেউ একজন, আর তিনি একটি কম্পিউটার ছাড়া কিছুই নন।

তো আপনি যখন ওনার মানে ওই কম্পিউটার (Proxy Server) এর সেবা নিতে ইচ্ছা পোষন করেন, আপনি তার সাথে কানেক্ট হবার মাধ্যমে আপনার সেই ইচ্ছার সপক্ষে কাজ শুরু করেন। তখন ওই সার্ভার কম্পিউটারের এর সাথে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন এমন এক গোপন সম্পর্ক শুরু হয় যে তাদের নিজেদের মধ্যকার সকল ডেটা Encrypt করে পাস করে। এতে মধ্যবর্তি স্থানে যারা বসে আছে যেমন আপনাদের অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্ট, আইএসপি কিংবা আমাদের ন্যশনাল গেটওয়ে, এরা কেউই বুঝতে পারে না আপনারা আসলে কি ড্যটা আদান-প্রদান করছেন।

তো যেহেতু আপনারা গোপন কোন কোডে ডেটা আদান-প্রদান করছেন, এবং তা অন্যরা বুঝতে চাইছে না, তখন আপনি আসলে অনেক গোপন তথ্য বা নিষিদ্ধ কিছুও আদান প্রদান করতে পারবেন। আর আপনি যে নিষিদ্ধ কন্টেন্ট আদান-প্রদান করছেন, তা যদি কেউ বুঝতেই না পারে তবে আটকাবে কি করে???

কিছু আইএসপি থেকে Somewhere in Blog পাওয়া যাচ্ছে না, মানে ওই আইসপিগুলো তা বন্ধ করে রেখেছে আমাদের জন্য। কিন্তু Somewhere in Blog নিজেও বন্ধ নেই, আর দেশের বাইরে বসে থাকা সার্ভারগুলোকেও কেউ Somewhere in Blog পেতে বন্ধ করেনি, অর্থা‌ৎ ওই সার্ভারগুলো Somewhere in Blog ঠিকই পাচ্ছে যা আমরা পাচ্ছি না।

তো আমরা যা করতে পারি, তা হলে: গোপনে আমরা ওই Proxy Server এর কাছে Somewhere in Blog চাইবো, তারা তা ব্রাউজ করবে, এবং তার সকল কোড গোপন কোডে রুপান্তর মানে Encrypt করে আমাদের কাছে পাঠাবে, এবং আমাদের কাছে থাকা সিস্টেম তা Decrypt করে আমাদের কাছে Somewhere in Blog ফের‌ৎ দিবে। এভাবে আসলে আমরা সকল ব্লাকড সাইটও পেয়ে যেতে পারি।

প্রশ্ন জাগতে পারে: যদি ওনারা গোপন তথ্য মানে যা বোঝা যায় না তা আদান প্রদান বন্ধ করে দেন?
কথা যৌক্তিক, তবে তা বন্ধ করতে হলে সব কিছুই কলাপস করবে। মানে আপনি যখন ফিনেনসিয়ালা ট্রানজেকশন করেন, কিংবা ধরেন আপনি পিন/পাসওয়ার্ড সাবমিট করলেন, এখন তা যদি সবসময় প্লেইন ওয়েতে পাস হয়, তবে তা মাঝপথে চাইলে কেউ দেখে ফেলতে পারে! তার মানে গোপন ম্যাসেজের সিস্টেম রাখতে সরকার/ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রনকারি সংস্থা বাদ্ধ!

আরেকটি ওয়েতে সরকার তা করতে বন্ধ করতে পারে।
ধরুন যে Proxy Server এর কথা আমরা বলছি, তার সাথে যোগাযোগ করার রাস্তা বন্ধ করে দিলো!
তাও আসলে এতটা সহজ না, কারন বিশ্বজুড়ে প্রচুর Proxy Server রয়েছে, এবং তাদের অনেকগুলো কিছুদিন পরপর নিজেরও আইডিয়েন্টি পাল্টাতে পারে। আর তারাতো কেবল নিষিদ্ধ কাজই করছে না! নিষিদ্ধ কাজের চেয়ে বৈধ কাজই বেশিরভাগ সময় করে, তা বন্ধ করে দিয়া মানে এ্যাকসিডেন্টের ভয়ে গাড়ি বন্ধ করে দেয়ার মতো।

যা বলছিলাম, আমরা দেখছি কিছু আইএসপি থেকে Somewhere in blog পাওয়া যাচ্ছে না।
তাহলে আমরা যা করবো তা হলো অনেকটা এরকম: মনে করি Somewhere in Blog হলো X, এবং এর মতোই অন্যান্য সকল ব্লাকড সাইটগুলো হলো Y। তাহলে আমরা চাই আমাদের করা সিস্টেমটি এমনভাবে কাজ করবে-
If site=X or site = Y, then Request Proxy;
Else Browse Directly;
কারন যেমনটা আমি বলেছিলাম, প্রক্সি কিছুটা স্লো হবে, যেহেতু ঘুরে আসছে, এবং ডেটা কিছুটা বেশি ইউজ হবে যেহেতু Encrypted. তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই যেন প্রক্সি ইউজ হয়, অপ্রয়োজন সব সাইটই যেন ঘুরে না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ধাপ ৭: সেটাপ: Chrome এর ডান কোনায় থাকা Switchy Omega Proxy’র “O” আইকনে ক্লিক করুন এবং এর পর অপশন এ ক্লিক করুন।



সব ঠিক থাকলে এরকম একটি পেইজ ওপেন হবে।



এর বাম পাশের মেনুতে Profile এর নিচে “Tor Network” দেখতে পাবেন, ওখানে ক্লিক করুন।


(যদি না থাকে, তবে +Add Profile... এ ক্লিক করে “Tor Network” নামে একটা প্রফাইল করে নিন, ওকানে আর কিছু চেইঞ্জ করবেন না)

“Tor Network” এ ক্লিক করার পর ডান পাশে যে পেইজটি পাবেন, সেখানে-
Protocol এ SOCKS5;
Server এ 127.0.0.1;
এবং Port এ 9150 দিন।



এবার বাম পাশের মুনুর নিচের দিকে Apply Changes এ ক্লিক করে সেইভ করুন।

ধাপ ৮: এবার Chrome এর এড্রেস বারে সাইটের এড্রেস লিখুন, যেমন https://somewhereinblog.net


আমারা যারা Somewhere in Blog পাই না, যথারিতি দেখতে পাবো যে তা আসছে না।

কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, আমাদের “O” চিহ্নিত আইকন কিছু একটা ইন্ডিকেট করছে, এক্ষেত্রে তা “1”.


এক্ষেত্রে এই “1” টি হলো কি পরিমান রিসোর্স ব্রাউজিং ফেইল করেছে তা, দেখা যাচ্ছে Somewhere in Blog এমন কোন এক্সটার্নাল রিসোর্স ইউজ করছেনা যা ব্লকড (এ ব্যপারে ডিটেইলসে যাচ্ছি না)।

তো আপনি ওই “O” চিহ্নিত আইকনে ক্লিক করুন, এবং X failed resources (যখন এখানে X এর ভ্যালু 1) এ ক্লিক করুন।



এরপর সব রিভিউ করে যা প্রয়োজন (এ ক্ষেত্রে যেমন আছে তেমনই) রেখে Use this profile for all selected domains এর নিচে "Tor Network" সিলেক্টেড রেখে “Add Condition” বাটনে ক্লিক করুন।



ধাপ ৯: এবার আবার ওই “O” আইকনে ক্লিক করে “Auto Switch” এ ক্লিক করুন। (আইকনটি সবুজ দেখাবে)



ব্যস! হয়ে গেলো সব!
এবার রিফ্রেশ দিয়ে দেখুন Somewhere in Blog ওপেন হয়ে যাচ্ছে।



এখন থেকে যত সাইটই আপনি ব্লকড পাবেন, কেবলমাত্র ৮ম ধাপটি অনুসরন করেই আপনি সাইটটি ওপেন করে ফেলতে পারবেন।
আর খেয়াল করে দেখুন, আক্ষরিক অর্থেই ৮ম ধাপটি অতিক্রম করতে ২টি ক্লিকেরই দরকার হয়!

তো যেমনটা বলেছিলাম, ২ক্লিকেই আপনি Somewhere in Blog ওপেন করার কথা, আমি আমার এই পোস্টের টাইটেলের কথা রখেছি, কোন ধোকা দেইনি। :P

এক্সট্রা: নিচের ইমেজটির অপশনগুলো দেখুন।


ক) আপনার যখন দরকার হবে না, তখন আপনি “Direct” অপশনটি নির্বাচন করে রাখুন।
খ) আপনি যদি “Tor Network” সিলেক্টেড রাখেন, তবে আপনার ব্রাউজ করা সকল সাইটই Proxy ইউজ করবে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়। তবে নিজের আইডিয়েন্টিটি কমপ্লিটলি হিডেন রাখতে চাইলে আপনি সব রিকুয়েস্টই Proxy’র মাধ্যমে পাঠাতে পারন।
গ) “Auto Switch” সিলেক্ট থাকলে শুধুমাত্র লিস্টে থাকা সাইটগুলোই Proxy ব্যবহার করবে, বাকি সব সাইট Directly ব্রাউজ হবে। (আমি এটিই সাজেস্ট করছি)।

যখন কোন সাইট আবর নরমালি পাওয়া যেতে শুরু করে, তখন ওই সাইট আর Proxy হয়ে আসার দরকার নেই। সে ক্ষেত্রে "O" আইকনে ক্লিক করে "Options" এ যাবেন, এবং মেনু থেকে "Auto Swtitch" এ ক্লিক করবেন, ডান পাসে যে সাইটের লিস্ট আমরা দেখতে পাবো, সেখান থেকে ওই সাইটটি আমার রিমুভ করে দিবো, তাহলে ওই সাইটটি আর Proxy ব্যবহার করে আসবে না।



বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যখন “Auto Switch” সিলেক্ট করবেন, নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার Tor Browser’টি চলছে এবং কানেক্ট করা হয়েছে, নতুবা আপনি সাইট পাবেন না। আর যদি “Tor Network” সিলেক্টেড থাকে, তবে কোন সাইটই পাবেন না। তাই “Direct” থেকে অন্য কোন মুডে যাওয়ার আগে Tor Browser চলছে এবং কানেক্টেড আছে তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

আপনার স্মার্টফোনে কিভাবে এটি করতে পারেন তা নিয়ে আরেকদিন লিখবো।

শতর্কতা: আপনার অফিসের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কে এই প্রসেস এ্যপ্লাই করার আগে আপনার অফিসের IT Policy জেনে নিন। আইটি পলিসি লঙ্ঘন করে এই প্রসেস ফলো করে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনরুপ ক্ষতির সম্মুখিন হলে লেখক কোনভাবেই দায়ি থাকবে না।
এছাড়া এই প্রসেস ফলো করে কেউ যদি কোন ব্যাক্তি, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহি কোন কাজে ব্যবহার করে থাকেন, তবে তার দায় একান্তই তিনি নিজে বহন করবেন এবং কোনভাবেই এই লেখক, ব্লগ এবং ব্লগিং এর সাথে সম্পর্কিত কোন কেউ কোনভাবে কোনরুপ দায় বহন করবে না।
কিছু করার আগে নিজের বিচার বুদ্ধি কাজে লাগাবেন।

আমি এই পোস্টটি এ জন্য লিখেছি যেন মানুষ তার বিপদে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই তা ব্যবহার করতে পারে।
সরকার বা সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ ও অপ্রয়োজনীয় কোন কাজে এই পোস্টটি পড়ে শেখা কোন জ্ঞান ব্যবাহর না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সকল কাজ এবং জ্ঞান ভালোর ভালো কাজে ব্যবহার করবেন।

(ভাষা'র ভুল প্রয়োগ, কিছু শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহার ও বানান ভুল মাফ করবেন)।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
২৮টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×