চাঁদের মানচিত্র তৈরি
চীন চন্দ্রাভিযানের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। তারা চন্দ্রপৃষ্ঠের উচ্চমাত্রার রেজ্যুলেশনের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি সম্পন্ন করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
সিনহুয়া বার্তা সংস্থা বলেছে, চীনা মহাকাশযান চেঞ্জ-১-এর পাঠানো ক্যামেরা থেকে তোলা ছবির সাহায্যে এই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ২০০৭ সালের অক্টোবরে এই নভোযান মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
২০০৩ সালে চীন প্রথম মহাশূন্যে নভোচারী পাঠায়। ২০১২ সালের মধ্যে তারা চন্দ্রপৃষ্ঠে নিজস্ব মনুষ্যবিহীন নভোযান আর ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
‘চাইনিজ একাডেমি অব সার্ভেয়িং অ্যান্ড ম্যাপিং’-এর শিক্ষাবিদ লিউ জিয়ানলিনের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া বলেছে, এই মানচিত্রের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা চন্দ্রপৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা এবং চাঁদের ভূস্তর ও এর গঠন নিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ভূমি জরিপ ও ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক চেন ইয়ংকি বলেন, ‘ভবিষ্যতে চন্দ্রাভিযানের ক্ষেত্রে এই মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের স্থান নির্ধারণ এবং চাঁদের গঠন নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এই মানচিত্র তৈরি একটা বিশাল পদক্ষেপ। এ ছাড়া চাঁদের মাটি ও এর খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও এই মানচিত্র ভূমিকা রাখবে।’
চেন ইয়ংকি বলেন, চীনের আগে চাঁদের মানচিত্র তৈরি করেছে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান ও ভারত।