চারিদিকে আজ হ্যাক, হ্যাক আর হ্যাক। কি ফেসবুকে কি ব্লগে। উফ, অসহ্য! মাথা ধরে গেলো। আর একেকজন হ্যাকার এমন ভাব নিচ্ছে যেনো খুব বড়সড় নেতা হয়ে গেছে। এদের দেখলে ধরে মাইর দিতে ইচ্ছে করে।
হ্যাকিং কি? হ্যাকিং হলো চুরি। আরেকজনের ঘরে ঢুকে তার টাকা পয়সা নিয়ে আসা ও তার ব্যক্তিগত লাইফে উঁকি মারা যেমন, হ্যাকিং ও তেমন। একেকজন চোরের আজ ভাব দেখো না! মনে হচ্ছে খুব একেবারে সেনাপতি হয়ে গেছে। আরে বাবা ভারতের সাথে তোমরা পারবা? এই যে এতো চিল্লাচিল্লি করছো করছো, ভারত কি তোমাদের পাত্তা দিচ্ছে, দিলে তো ওদের যেই বড় বড় হ্যাকার, তাতে বাংলাদেশের ইন্টারনেট কানেশকশনই বন্ধ করে দিতো। ১০০ কোটি মানুষের মাঝে যদি ১০ কোটি হ্যাকার হয়, বাংলাদেশের খুব বেশী হলে ২০ কোটি মানুষের মাঝে কয়জন হ্যাকার? হ্যাক এর কথা পরে, ইন্টারনেট আছে কতোজনের ঘরে? যেই না আমার নিধিরাম সর্দার, তাদের আবার বড়ো বড়ো বুলি।
আজ যারা হ্যাকিং হ্যাকিং করছো, তারাই আজ যদি শাহরুখ আসে, ২৫ হাজার টাকার টিকেট কেটে যাবা ঠিকই তার প্রোগ্রাম দেখতে, বাঙ্গালী নারীদের দিকে তোমাদের চোখ পড়েনা, চোখ পড়ে ইন্ডিয়ান নারীদের দিকে? ওরা প্রায় নগ্ন হয়ে সামনে আসে, সেই ফ্যান্টাসী পূর্ণ করো? অথচ সংসার করতে গেলে তো ঠিকই নম্র ভদ্র বাঙ্গালী গ্রাম্য মেয়ের বৈশিষ্ট্য খোজো!
হ্যাকারদের বলছি, তোমরা হইলা চোর। আর চোর আজ অন্যের ঘরে চুরি করতাছো। আমাদের ঘরে চুরি করবানা, তার কোন গ্যারান্টি দিতে পারো?
সবাইকে বলছি, এরা দেশের শত্রু, জনগনের শত্রু। আপনারা এদের লাই দিবেন না। এরা আজ ভারতের সাইট হ্যাক করতেছে, যখন আর ভারত এর সাইট হ্যাক করতে পারবে না, তখন দেশের সাইট হ্যাক করতে শুরু করবে। আর যেভাবে গনহারে আবুল, মকসুদ, প্যাঁচা, ইঁদুর সবাই হ্যাকিং শিখছে, তাতে বছর খানেক পরে এদেশেই হ্যাকিং এর মহামারী লাগবে, এদেশের সাইট গুলিই ধ্বংশ হবে। যেমন, যুদ্ধের পর সাধারণ জনগন অস্ত্র জমা না দিয়ে হয়ে যায় ডাকাত।
হ্যাকার রা ধ্বংশ হোক!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


