আসছে ইংরেজি নতুন বছর। এ নিয়ে আনন্দের অন্ত নেই।
আমাদের পহেলা বৈশাখেও কিন্তু আনন্দ উচ্ছলতা হয়।
সারা পৃথিবীতে এ (নতুন ইংরেজী বছর ) নিয়ে কত মাতামাতি ।
আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো?
অথচ কয়দিন আগেই লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করলাম।
আমাদেরটা নিয়ে আমরা নিজেরাই মাতামাতি করব আর কে করবে?
কিন্তু সামান্য কিছু লোক ছাড়া সবাই উদাসীন।
এ ব্যাপারটা সকলের ভেবে দেখা উচিৎ।
.
কিন্তু তাই বলে আমি চাইনা ইংরেজি বিমুখী হতে,
আমার কথা হল আগে আমার মায়ের ভাষার সঠিক সম্মান পাবে।
তারপর অন্যকিছু।
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ইংরেজি শিখার বা জানার দরকার আছে।
তাই বলে সেই কিঞ্চিৎ প্রয়োজন আমাদের
সংস্কৃতিতে আঘাত হানবে তা তো মেনে নিব না।
.
আমরা বিশেষ করে যারা প্রবাসী,
আমরা প্রতিনিয়ত সহকর্মীদের সাথে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলি।
বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিতে আমাদের পরিচয়।
তাই বলে নিজেরটা ভুলে যাব?
না, তা কখনো হয়না।.
.
না আমাদের দেশের সোনার ছেলেরাও ভুলেনি।
তারাও কিন্তু বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে।
হয়ত কখনো কখনো নারীদের শ্লীলতাহানি করে।
সেটা ব্যাপার নাহ, কি আর এমন খারাপ কাজ এটা।
প্রতিনিয়ত করছে, বাংলা ইংরেজি নববর্ষে কিছুটা করলে ক্ষতি কি?
.
আমার কথা হল: নববর্ষ উদযাপন কর।
অনুষ্ঠান কর,
অসুবিধে নেই।
কিন্তু এইসবের কোন মানে হয়না।
পার্টী, নাচগান, মদ বীয়ারের আড্ডা এসবের মানে কি নববর্ষ?
আর হাজার হাজার নারীদের শ্লীলতাহানি।
.
আমরা বিভিন্ন দেশের নববর্ষতে দাওয়াত পাই।
যারা প্রবাসে আছেন অনেকেই পেয়ে থাকেন।
অনেকেই যান, কিন্তু সবাই নোংরামি করেন না।
কয়দিন আগে আরব আমিরাতে স্বাধীনতা দিবস ছিল।
কিন্ত এখানে অনেকেই বাংলাদেশকে অনেক বড় করে তুলে ধরেছেন সেদিন।
এর প্রমাণ পেয়েছেন আপনারা।
.
এবং এখানকার যে হিজরী নতুন বছর উদযাপিত হয়।
কয়টা নারীর শ্লীলতাহানি হয়েছে?
শুধুমাত্র বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষে একমাত্র বাংলাদেশেই এসব সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫