ফেইসবুকে কিছু ছেলে মেয়েদের মাঝে মাঝে অদ্ভুত আচরণ করতে দেখা যায়।
যেমন সকালে স্ট্যাটাস দেয় নিজেকে নিয়েই ভালো আছি,সিঙেলই ভাল।
আবার রাত দুপুরে স্ট্যাটাস দেয় বিষণ কষ্টে আছি, আমার জন্য মরে যাওয়াই উত্তম।
নিজের কাছে মরে যাওয়াই এখন সহজ।
সে নিজে নিজেই ভাল মন্ধের ফয়সালা করে ফেলেছে তার ভাবটা এমন।
আবার সেই কিছুক্ষন পর আইডি ডিয়েক্টিভ দিবে।
এটাই হয়ত ফেসবুকে আমার শেষ পোষ্ট। জানিনা আর ফিরব কিনা।
এসব বলে পোস্টও করবে।
.
আচরনটা খেয়াল করলে মনের ভিতর কি রকম ভাবনার উদয় হয় তখন?
সকালে সে প্রচন্ড সুখী মনোভাব প্রকাশ করল,
তীব্র জেদে রাতে গিয়ে সেই মরে যাওয়ার কথা বলল,
আবার একটু পর ফেসবুক ছেড়ে চলে যাচ্ছি ঘোষণা দিল, ফেসবুক ছেড়ে চলে যাওয়াটার কথা এমন ভাবে বলল যেন তীব্র অভিমানে সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
এমন ছেলে মেয়েরা প্রায়ই হতাশায় ভুগে।
.
ফেইসবুকে এমন দৃশ্য কমবেশি সবার নজরেই পড়েছে।
আপনার সাথে মিলে গেছে কিংবা পরিচিত কারো সাথে।
এমন দৃশ্য ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ঘটছে প্রতিনিয়ত।।
আচ্ছা আপনার কি কোন কারণ ছাড়াই জীবনকে তিতা তিতা লাগে?
তীব্র অভিমান কাজ করে সারা পৃথিবীর উপর?
আবার একটু পরেই প্রবল জেদ আসে হা আমি একাই থাকব।
না হয়ত না, কিন্তু এরা সবসময় হতাশার ডিপ্রেশন ফিল করার কারণে এদের অবস্থাটা এমন।
.
হয়ত কোন কিছু না পাওয়ার বেদনায় মর্মাহত।
আবার কেউ একাকিত্ব অনুভব করেন, চারপাশে
কতশত মানুষ তবুও নিজেকে একা লাগে।
আবার কেউ নিজের ব্যার্থতাকে হতাশায় রুপ দিচ্ছেন।
আমি এই কাজটা কেন পারলাম না, আমি এটা কেন পারলাম না।
এসব বলে নিজেকে দোষারোপ করছেন।
আত্মহত্যার মত ভয়াবহ সিদ্ধান্তে পৌছতেও
সময় লাগেনা বেশী এসব মানুষের।
.
→ডিপ্রেশন বা হতাশায় করনীয় :-
আপনার যখনি এমন কোন লক্ষণ দেখা দিবে
তখন সে বিষয়টি আপনার প্রিয়জন, বন্ধু/বান্ধব,
বা ক্লোজ কারো সাথে সে বিষয়ে আলাপ করবেন।
কখনো একা থাকার চেষ্টা করবেন না।
যতটুকু সম্ভব হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করবেন।
আর যতটুকু সম্ভব নিজের যা কিছু আছে তাতেই
সন্তোষ্ট থাকার চেষ্টা করবেন।
সোশাল কম্পারিজন/ সামাজিক তুলনা থেকে বিরত থাকবেন।
.
লিখা:- Al-Amin Ahmed
(কাজী নজরুলের ছাত্র)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯