somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর বিষধর ১০ প্রাণী

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
এক: বক্স-জেলিফিস (Box Jellyfish):



দুই: শঙ্খচূড় সাপ (King Cobra):



সাপদের মধ্যে সবচে বড়ো হলো অজগর (Python)। কিন্তু বিষাক্ত সাপদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো- শঙ্খচূড়। আমাদের গোখরো সাপের (Cobra) সঙ্গে খানিক সাদৃশ্য আছে এদের। তাই এদের রাজ-গোখরো বা King Kobra বলা হয়।এরা প্রায় ১৮-২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। মাটি থেকে প্রায় ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে ফণা তুলে দাঁড়াতে পারে এরা। এদের বিষ-ধারণ মতাও সবচেয়ে বেশি। যে পরিমাণ বিষ এরা জমা রাখে তাতে মানুষ তো মারা যায়-ই, পূর্ণবয়ষ্ক একটি হাতিও নাকি অক্কা পায় মাত্র ৩ ঘন্টায়। তবে এরা সাধারণত মানুষের কাছাকাছি আসে না। ফণা তুলে শুধু ভয় দেখাতে চায়। ছোট ছোট নির্বিষ সাপই এদের খাদ্য। এদের সাধারণত দণি-পূর্ব এশিয়ার জঙ্গলেই দেখা যায়।

তিন:মার্বেল-কোণ শামুক (Marbled Cone Snails):



কোণ শামুকরা কোণের মতো দেখতে, যেমন কোণ আইসক্রিম, সেরকমই। সব কোণ শামুকই বিষাক্ত, তবে এদের মধ্যেও সেরা হলো মার্বেল-কোণ শামুক। এদের খোলসটা দেখলে মনে হয়, মার্বেল পাথর দিয়ে মোজাইক (Mosaic) করা হয়েছে। তাই এদের এমন নাম। এদের পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণ লবণাক্ত সামুদ্রিক জলরাশিতে। এরা দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর। সুন্দর হলে কি হবে! বিষধর প্রাণীদের তালিকায় যে এদের স্থান ৩ নম্বরে।

চার:নীল চক্রধারী অক্টোপাস (Blue Ringed Octopus):



পাচ:মারণ কাঁকড়া বিছে (Death Stalker Scorpion):



আমাদের দেশে যে ধরনের কাঁকড়া বিছে পাওয়া যায়, ডেথ-স্টকারও দেখতে অনেকটা সেরকমই। তবে বিষধর হিসেব করলে! ওরে বাবা, এরা কিন্তু অনেক এগিয়ে। সাধারণত আমাদের দেশি কাঁকড়া বিছের কামড়ে কারও মৃত্যু হয় না। সামান্য কিছু জ্বালাপোড়া হয় মাত্র। কিন্তু এই মারণ কাঁকড়া বিছের নামেই বুঝতে পারছেন,এদের বিষ কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। এদের বিষে অসহ্য ও তীব্র ব্যথা হয়, জ্বরও হয়। ফলে প্রাণী অচেতন হয়ে শেষে মারা যায়। এদের পাওয়া যায়, উত্তর আফ্রিকা আর মধ্য-প্রাচ্যের মরু এলাকায়।

ছয়:পাথুরে মাছ (Stone fish):



দেখতে মোটামুটি চলনসই হলেও হতো। কিন্তু পাথুরে মাছকে নিয়ে বিশ্ব অসুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা যেতে পারে। সেই প্রতিযোগিতায় নিশ্চিতভাবে পাথুরে মাছই বিজয়ী হবে। তবে বিষের দিক দিয়ে কিন্তু এরা মোটেই ফেলনা নয়। মাছদের মধ্যে এরাই সবচে বিষধর। বিষের আক্রমণে প্রথমেই প্রাণী আকষ্মিক আঘাত পায়, এর পর প্যারালাইসিস (Paralysis) হয়ে প্রাণীদেহের কোষগুলোর মৃত্যু ঘটে। শেষে প্রাণীটি মারা যায়।

সাত:ব্রাজিলের যাযাবর মাকড়সা (The Brazilian wandering spider):



২০০৭ সালে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ এ জায়গা করে নিয়েছিলো এই মাকড়সা। কেন জানেন?এটি হলো পৃথিবীর সবচে বিষধর মাকড়সা। শুধু তাই নয়, মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মাকড়সাদের মধ্যে এরাই সবচে এগিয়ে। তারচেয়েও ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে- এদের যাযাবর স্বভাব। যেকোন জায়গাতেই এরা লুকিয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কোন বাসস্থান তৈরী না করে মানুষের আশেপাশেই ঘুরে বেড়ায়। তাই এদের দিয়ে মানুষ আক্রান্তও হয় বেশি। ভাগ্যিস, এরা বাংলাদেশে নেই।

আট:ইনল্যান্ড তাইপ্যান (Inland Taipan):



পৃথিবীর সবচে বিষধর সাপ হচ্ছে- ইনল্যান্ড তাইপ্যান, পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায়। তাইপ্যানের বিষ সাধারণ গোখরো সাপের চেয়ে ২০০-৪০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। এরা এতটাই বিষধর যে, এক কামড়ে যতোটুকু বিষ বের হয়, তাতে প্রায় ১০০ জন লোকের মৃত্যু হতে পারে। এই সাংঘাতিক বিষ যে কোন প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে। এর ফলে মাত্র ৪৫ মিনিটেই একজন মানুষ মারা যেতে পারে। তবে স্বস্তির ব্যাপার হলো, এরা খুবই লাজুক, মানুষের সামনে আসেই না সাধারণত।

নয়:বিষধর সোনালী ব্যাঙ (Golden poison frog):



যদি কখনও মধ্য বা দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে বেড়াতে যান, অনেক সুন্দর প্রাণীর মাঝে কিছু সুন্দর ব্যাঙও দেখতে পাবেন।দেখতে যতোই সুন্দর হোক না কেনো ওগুলো কিন্তু ভয়ানক বিষধর। সেখানকার জঙ্গলে পাওয়া যায় এমনই কিছু ব্যাঙ। যাদের আবার পয়জন ডার্ট ব্যাঙও (Poison dart frog) বলা হয়।আমেরিকার আদিবাসীরা এদের বিষকে শিকারের কাজে ব্যবহার করতো। গায়ে আগুনের আঁচ দিলেই এরা বিষ নিঃসরণ করে। আর সেই বিষ আদিবাসীরা তীরের ডগায় লাগিয়ে শিকার করতো। এদের গায়ে যথেষ্ট পরিমাণে বিষ থাকে। এতো বেশি পরিমাণ বিষ থাকে যে ২০,০০০ টি ইঁদুরের এর ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে। এদের বিষের মাত্র ২ মাইক্রোগ্রাম (এক গ্রামের ১০,০০,০০০ ভাগের মাত্র ২ ভাগ) একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। দুই মাইক্রোগ্রাম কতটুকু হতে পারে ?একটা আলপিনের মাথার বিন্দুর সমান। ভাবা যায়!

দশ:পটকা মাছ (Puffer Fish):



এরাও কিন্তু বিষাক্ত। এদের বিষক্রিয়ায় প্রায়ই মানুষ আক্রান্ত হয়। এই মাছ খেতে গিয়ে প্রায়ই বিষাক্রান্ত হয় মানুষ। মানুষ এই মাছ বিষাক্ত জেনেও খায়। জাপান এবং কোরিয়ার লোকেরা এদের খুব মজা করে খায়। কিভাবে? এদের সব অঙ্গ কিন্তু বিষাক্ত নয়। মস্তিষ্ক এবং চামড়ায় সবচে বেশি বিষ থাকে। জাপানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাধুঁনিই (Cheff) আছে, যারা জানে এই মাছের কোন কোন অংশ খাওয়া যায়। জাপানি’রা এই মাছ দিয়ে তৈরী স্যুপকে বলে “ফুগু (Fugu)” আর কোরিয়ান’রা বলে “বক-উহ (Bok-Uh)”। ঠিকমতো প্রক্রিয়াজাত করা না হলেই সেগুলো বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এরা ছাড়াও অনেক ধরণের প্রাণী আছে যারা বিষধর। কিন্তু এরা হলো কিছু বিশেষ প্রাণী, যারা তাদের বিষের জন্য পরিচিত ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবেই। তবে পৃথিবীতে যতো বিষাক্ত প্রাণী আছে তাদের সবার বিষের একমাত্র ব্যবহার হলো শত্রুদের হাত থেকে নিজেকে রা করা কিংবা খাদ্য সংগ্রহ করা। অকারণে মানুষকে বা অন্য কোন প্রাণীকে আক্রমণ করতে এরা কেউই চায় না।

সুত্র:ইন্টারনেট:P:P:P
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১
১৩টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×