somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট ওগলা ন্যাশনাল পার্কঃ রঙয়ের বিস্ফোরণ

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জায়গাটার নাম উলুরু (uluru) . আপনি যখন গুগলে এই নামে সার্চ দিবেন আর যখন ইমেজে ক্লিক করবেন ২ মিনিটের জন্য আপনাকে থমকে যেতে হবে ! কারন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই একটা বড় পাথরের পাহাড় , যা ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায় । একে আয়ারস রক ও বলা হয়।

আয়ারস রক (Ayers Rock) হলো এমন এক পাহাড় যা মাঝে মাঝেই নিজের রঙ বদলায়। ভৌগলিকভাবে এ আয়ারস রকের অবস্থান অস্ট্রেলিয়ায়। বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকেই একে যাদুর পাহাড়ও বলে থাকেন।



আশ্চর্যজনক এই আয়ারস রক পাহাড়টির স্বাভাবিক রঙ লালচে কমলা, তবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ঘটে অদ্ভুত যত ঘটনা। সকালে সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ পাহাড়ের গায়ে পড়লেই মনে হয় যেন আগুন ধরে গেছে এর গায়ে। বেগুনী ও গাঢ় লাল রঙয়ের শিখা বের হয়ে আসে পাহাড় থেকে। কেবল সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের সমেই নয়, সারাদিনই চলে রঙ বদলের এ খেলা।



পাহাড়টি প্রথমে হলুদ থেকে কমলা, পরে লাল ও মাঝে মাঝে বেগুনী কখনও গুমোট কালো রঙ ধারণ করে। পাহাড় জুড়ে অসম্ভব রহস্যের আনাগোনা। রঙ রহস্যের আয়ারস রকের মাধুর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। অদ্ভুত এ পাহাড়টি সম্পূর্ণই একটি প্রস্তর খণ্ড। এর গঠনটাই অদ্ভুত। সূর্যরশ্মির আপতন কোণের পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে এর রঙ পরিবর্তন হয়।

সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের সময় সূর্য রশ্মিতে লাল ও কমলা রঙের আধিক্য থাকে। ফলে এ সময় পাহাড়টিকে লাল কিংবা কমলা মনে হয়। দুপুরের দিকে সূর্য রশ্মিতে অন্যান্য রঙের প্রাধান্য থাকে তাই ক্ষণে ক্ষণে পাহাড়টিও রঙ বদলায়।



অস্ট্রেলিয়ান সরকার পাহাড়টি পর্যটকদের পরিদর্শনের সুবিধার্থে এর কাছাকাছি ৪৮৭ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে মাউন্ট ওগলা ন্যাশনাল পার্ক গড়ে তুলেছে।

--গুগল মামুর কাছ থেকে পাওয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×