এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি নিজে অথবা তাঁর আত্মীয়-বন্ধুদের কেউ তরমুজ খেয়ে বিষক্রিয়ার শিকার হননি। গত কয়েক বছর ধরেই অন্যান্য সব ধরনের ফল ও খাদ্যদ্রব্যের মত তরমুজেও বিষাক্ত রঙ মেশানো হছে। বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে তরমুজ পছন্দ করে আসছে। তরমুজের ভেতরে লাল রঙের ঘনত্ব এর গুনগতের মানের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু আমাদের অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজের লাল রঙ নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম রঙ ঢুকিয়ে তরমুজ লাল করে থাকে। তরমুজের রং লাল করার জন্য ও তরমুজ মিষ্টি করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও স্যাকারিন এবং তা ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হয়। তরমুজের রং লাল করার জন্য দেয়া হয় কৃত্রিম রং বাইক্সিন বা রেড ডাই এবং মিস্টি করার জন্য দেয়া হয় সোডিয়াম সাইক্লোমেট ও স্যাকারিন । যা সাধারণ চিনির চাইতে ৩০-৫০ গুন বেশি মিস্টি আর শুধু স্যাকারিনের ক্ষেত্রে যা ৫০০-৭০০ গুন । আজকাল বেশির ভাগ ভোগ্য পন্যেও দেয়া হচ্ছে এ কেমিক্যাল যা এক দীর্ঘ মেয়াদী বিষ বা স্লো পয়জন ।
জেনেশুনে ব্যবসায়ী নামের দুস্কৃতিকারীরা কেন তরমুজে বা অন্যান্য ফলে এসব বিষ মেশাচ্ছে কেন? কারণ তারা জানে এসনের কোন শাস্তি হবে না। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি তা হল তাদের এই বিষ মেশানো সব ফল বিক্রয় হবে।
তাহলে তাদের এ বিষাক্ত ফল বিক্রি বন্ধের উপায় কি? উপায় হল এইসব ফল না কেনা। আমরা যদি বিষাক্ত তরমুজ বন্ধ করে দিই তাহলে তারা বিক্রি করবে কিভাবে? অরূন্ধতী রায় বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ হবে যদি যোদ্ধারা যুদ্ধ করতে অস্বীকার করে। সেরকম বিষাক্ত ফল বিক্রি বন্ধ হবে যদি, আমরা বিষাক্ত ফল না কিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭