আগামীকাল আপনি মারা গেলে আপনাকে কতজন মনে রাখবে? কতজন আপনার কথা চিন্তা করে চোখের পানি ফেলাবে? বছর বছর আপনার কবরে কতজন ফুল দিতে করতে আসবে? চিন্তা করেছেন কখনো?
কেউই মনে রাখবে না, আপনি হারিয়ে যাবেন। বিশ্বাস না হলে আপনার দাদার দাদার নামটা মনে করতে পারেন কিনা দেখুন?
আসলে আপনি এমন কিছুই করেন নি যে আপনাকে মানুষ মনে রাখবে। ছোট বেলা থেকে বাপের হোটেলে বড় হয়েছেন, খেয়েছেন ঘুমিয়েছেন আর প্রকৃতিকে জৈব সার দান করেছেন। যৌবনে ১ হালি বা তার চেয়ে অর্ধেক বাচ্ছা পয়দা করবেন, তারপর আপনার বাবা মা যা করেছিলে সেটাই করবেন । ছা পোষা জীবন। বাচ্ছা পয়দা করেবন , মানুষ করবেন আর মরার জন্য অপেক্ষা করেবন ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তাড়াহুড়া করে চাকুরীর নামে গোলামী করতে যাওয়া, কিংবা নিজের ব্যবসা। ৯ টা পাচটা অফিস শেষে টিভির রিমোট হাতে নিয়ে দুই চার দশ পনের মিনিট, তারপর সকালের চিন্তায় ঘুম। আবার শুরু।
বৃত্তের ভিতরেই আপনার জীবন। বাচ্ছারা বড় হয়েছে। আপনি কবরে ১ পা নামিয়ে পৃথিবীর যাত্রা সাংগ করার উদ্দেশ্যে দিন গুনছেন। একদিন অপেক্ষা শেষ হল।
৪ দিন শোকের মাতম। ৪০ দিনে ক্ষীন প্রায়। ছেলে মেয়েরা প্রথম ২/১ বছর আপনার কথা চিন্তা করে ২ মিনিট চোখে পানি আনত। এখন তারা ব্যাস্ত। সময় নেই।
আপনার দাদা, বাবারা হারিয়ে গেছে। সেই পথে আপনিও। আপনাকে মনে রাখবে না। আপনি যা করেছেন তাতে এমন কিছু কি ছিল যা আপনাকে মনে রাখার জন্য যথেষ্ট।
আলেকজেন্ডার, নেপোলিয়ন, সম্রাট আকবর, হিটলার, এরিষ্টটল, প্লেটো, সক্রেটিস, মার্ক্স, লেলিন, চে, গৌতম বুদ্ধ, বড়ু চন্ডীদাস, আমাদের সালাম, বরকত থেকে নজরুল, সবাই কিছু না কিছু করেছে বৃত্তের বাইরে গিয়ে। আপনি কি করেছেন মনে রাখার মত?
বৃত্তের বাইরে আসুন। জগতকে নতুন চোখে দেখুন। পৃথিবী আপনাকে মনে রাখার মত উপহার দিন।
স্বামী বিবেকানন্দ এর মত করে ভাবতে শিখুন,
পৃথিবীতে এসেছিস যখন দেয়ালে আচঁড় কেটে যা