somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কান্ডারি অথর্ব
আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

মিশরীয় পুরানের আদি গ্রন্থ সমূহ

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বুক অফ দ্য ডেড


মৃতের বই নামটি প্রাচীন মিশরীয়দের দেওয়া নাম। মিশরীয় এই বইটিতে জাদু, সম্মোহন এবং প্রচলিত বিধিবদ্ধ উপাসনার নির্দেশাবলী সংগৃহিত করা হয়েছে, যা মৃত ব্যক্তির মৃত্যর পরবর্তী জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন হবে। এইটি সাধারণভাবে সূর্য এবং সূর্য দেবতার রাতে যাত্রা গল্পতে মনোনয়ন দেয় এর বিভিন্ন আবির্ভাবে এবং খারাপ শক্তিসমূহের সঙ্গে সাপ আপোফিস সহ তার লড়াই, যারা তাকে রাত্রিতে থামতে চেষ্টা করে, যাতে প্রভাতে উদয় করতে না পারে। মৃতের বই সাধারনত একটি প্যাপিরাস (মিশর দেশীয় নলখাগড়া দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি গোটানো কাগজ) এ লেখা হত এবং মৃত ব্যক্তির কফিনে অথবা কবরে লাশের কাধে রাখা হত। এটি মধ্যরাজ্যের কফিনে লেখার মধ্য দিয়ে প্রাচীন রাজ্যের পিরামিডে লেখার সঙ্গে বিবর্তন আরম্ভ করার একটি দীর্ঘ পদ্ধতির সৃষ্টি করে ছিল। বইয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিচ্ছেদ কফিনে লেখার আগে থেকে এর উৎপত্তি হয়।



বিশেষভাবে, বইটি প্রয়োজন হবে তার জীবযাপনের নৈতিক আচরণের সাহ্মী প্রস্তুত করতে, যা মৃত ব্যক্তি বিচারক ওসিরিস এর সামনে পেশ করবে। পরে পাপাইরেস কাগজটি মৃত ব্যক্তির কফিনে অথবা কবরের কহ্মে রাখা হত তার ধন-সম্পদের সাথে এবং সাজসজ্জা প্রয়োজনীয় গণ্য করা হতো আত্মা ভ্রমণের জন্য।



প্রাথমিকভাবে লেখাগুলো কবর কক্ষের দেয়ালে আঁকা হয়েছিল। মধ্য রাজ্যেতে ব্যবহার করা হয়েছিল সারকোফাগুসের উপরে হাইআরাগ্লিফ রং করার জন্য এবং অষ্টদশ রাজবংশ থেকে কেবল পাপাইরেসে লিখা শুরু হয়। এই ভাবে, মিশরীয় প্রত্নতত্ত্বরা অনেক সাহ্মী পেয়েছে মমি করণের এবং অনেক রাজবংশের সাধারণ মৃত্যর।



বুক অফ গেটস

বুক অফ গেটস বা দরজারগুলোর বই হল নতুন রাজ্যের সময়কালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মিশরীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে সাধারণভাবে, একটি সম্প্রতিক মৃত আত্মার পরবর্তী জীবনের যাত্রার কথা, কিছু নিয়ম, রাত্রিতে সূর্য দেবতার পাতাল অতিক্রম এবং সেখানে খারাপ শক্তিসমূহ তার মধ্যে রয়েছে আপোপিস সাপ তাকে সকালে উঠে বাধা দেয়, এর বিরুদ্ধে তার লড়াইের কথা বর্ণনা করে।



মৃত আত্মাকে যাত্রাপথে অনেকগুলো দরজা অতিক্রম করতে হয়। প্রত্যেক দরজা একটি ভিন্ন দেবীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়, এবং মৃত আত্মাকে সেই বিশেষ চরিত্রের দেবীকে চিনতে হবে। গ্রন্থে ইঙ্গিত করে যে, কিছু লোকেরা এই যাত্রায় সহ্মম হয়, কিন্তু যারা সহ্মম না হয় তাদেরকে একটি অগ্নির হ্রদে ফালানো হয়, যেখানে তারা দৈহিক তীব্র যন্ত্রণায় ভুগবে।



আজ "বুক অফ গেটসের" সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত প্রসঙ্গটি হচ্ছে মিশরীয়দের মনুষ্যত্বের জাতি ভেদ করণ, তারা রীতিসম্মত চারটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে "মিশরীয়", "এশিয়াটিক", "লিবিয়ান" এবং "নুবিয়ান"। এ গুলো ফুটিয়ে তুলে ধরে পরবর্তী জীবনে ঢুকতে।



নতুন রাজ্যের অনেক কবরসহ, হোরেমহেব থেকে রামসেস ফেরাউনদের কবর গুলোতেও গ্রন্থটি এবং চিত্রটি দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো সেননেডজেম এর কবরেও দেখতে পাওয়া যায়। সে ছিল দেইর এল-মেদিনা গ্রামের একজন শ্রমিক, চিত্রশিল্পি এবং কারিগর, যে নতুন রাজ্যের ফেরাউনদের কবর গুলো তৈরি করেছে।



বুক অফ দ্য আর্থ


বুক অফ দ্য আর্থ হল নতুন রাজ্য এবং পরের রাজবংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মিশরীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার গ্রন্থ।এই অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া গ্রন্থটির নাম রাখে ছিল প্রাচীন মিশরীয় লোকেরা। বিভিন্ন গবেষকের মাধ্যমে এটি অনেক নামে পরিচিত হয়েছে। হার্টওয়েক আল্টেনম্যালার একে "বুক ডেজ আকার", পিয়নকাফ একে সূর্য গোলকের সৃষ্টি, এরিক হোরনিং একে পৃথিবীর বই বলে পরিচয় দিয়েছেন।



বুক অফ ব্রেথিং

বুক অফ ব্রেথিং বা শ্বাসপ্রশ্বাসের বই পরবর্তী যুগ এবং রোমান যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মিশরীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার গ্রন্থ। প্রত্নতত্ত্ববিদরা দুটি বই সনাক্ত করেছে: একটি "বুক অফ রেসপরেইশনস", এটি ইসিস তার ভাই ওসিরিস এর জন্য সম্পাদনা করে এবং এর আরও বেশি আধুনিক সংস্করণ "বুক অফ ব্রেথস" এটি থোথ সম্পাদনা করে। এই বইগুলো পাপিরিতে হায়রাটিক লিপি এবং ডেমোটিক লিপিতে লিখা হয়েছে কিন্তু এটি ওসত্রাকেনেও লিখা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।



শ্বাসপ্রশ্বাসের বই বলা হয় কারণ বইটি শুরু হয় এই ভাবেঃ
"শ্বাস‌প্রশ্বাসের বইয়ের শুরুতেই ইসিস তার ভাই ওসিরিসকে পুনোর জীবিত করার চেষ্ঠা করে, আপনার দেহ জ্যোতিময় করা জন্য, পুনরায় আপনার সারবত্তা পুনর্যৌবনতে ..."
এবং আরোঃ
"আপনার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্থায়ী, আপনার দেহ দীর্ঘস্থায়ী, আপনার মমি উন্মেষিত ... "
একে "শ্বাস‌প্রশ্বাসের অনুমতি" ও বলা হয়ে থাকে। জোসেফ স্মিথ পাপিরি তে, এটি করেছে আম্মোনের যাজক, হোর।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২৭
৪০টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×