"জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও"। মহানবী (সাঃ) কথাটি বলেছিলেন বিদায় হজ্বের ভাসনে। ইসলামের অন্যান্য সূত্র অনুযায়ী মানব জীবনের উৎকৃষ্টতম অর্জন হলো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া। আবার হাদিস অনুযায়ী জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ। অন্য হাদিসে আছে বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র।
উপরের বক্তব্য যদি বিশ্বাস করা হয় তাহলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে মানব জীবনের উৎকৃষ্টতম অর্জন হলো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া কারণ শহীদেরা পরকালে নিশ্চিত বেহেস্ত বাসী আর এ জন্যই যুগে যুগে হাজারো মানুষ হাঁসি মুখে শহীদ হয়েছেন এবং হচ্ছেন। আল্লাহ সকল শহীদদের বেহেস্ত নসিব করুন এই কামনা করি কিন্তু সত্যিকার শহীদ কে এ বিষয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ আছে। প্রকৃত শহীদ কে তা নির্ধারণে ধোঁয়াসা থাকলেও সত্যিকার জ্ঞান অর্জন বলতে কি বুঝায় তা সুনির্দিষ্ট এবং প্রকৃত শহীদ হওয়ার চেয়ে জ্ঞান অর্জন এর বিষয়টি অনেক বেশি স্পষ্ট, সহজ,নির্দিষ্ট ও উৎকৃষ্টতম।
অনেকেই বলে থাকেন যে চীন দেশের উদাহরণ রুপক অর্থে ব্যবহৃত, সে সময়ে আরব থেকে চীন গমন খুবই দুর্গম ছিল তাই কষ্টকর দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে হলেও জ্ঞান অর্জন করতে চীনের উদাহরণ দেয়া হয়েছে আবার কেউ কেউ বলেন তৎকালীন চীন জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক উন্নত ছিল তাই চীনের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক না কেন একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সে সময় চীনে যত জ্ঞানই থাকুক না কেন কোন ইসলামী জ্ঞান বা হাদিস কোরআন এর জ্ঞান ছিল না। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে প্রায় সকল ইসলামী পন্ডিতগন বিধর্মীদের লেখা যে কোন বই পড়াকেই পাপাচার এবং হারাম মনে করেন কিন্তু তাদের প্রায় সকল আবিষ্কারের পর ইসলামী পন্ডিতগন দাবী করেন এ কথা ইসলামী কিতাবে আগেই বলা হয়েছে এবং বিধর্মীদের প্রায় সকল আবিষ্কারের মূল সূত্র হাদিস ও কোরআন গবেষণা করে প্রাপ্ত।
বিধর্মীরা আবিষ্কারের আগে কেন মুসলমানেরা এটা আবিষ্কার করতে পারল না এমন প্রশ্ন না তুলেও আমার ভোঁতা মাথার সরল প্রশ্ন-
*ইসলামে জ্ঞান অর্জন বলতে কি কেবলমাত্র ইসলামী জ্ঞানকেই বোঝানো হয়েছে নাকি জ্ঞান ধর্ম নিরপেক্ষ!
**বেহেস্ত লাভই যদি জীবনের পরম লক্ষ্য হয় তাহলে শহীদ হওয়ার চেয়ে জ্ঞান অর্জনই কি সহজ ও উৎকৃষ্টতম পথ নয়!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৩