০১.
খরগোশের গোশত আমি খাই না। জবেহ দেওয়া ছাগলের শরীর থেকে চামড়া ছিলে নিতে নিতে এইসব ভাবি, ভাবি নির্লোভ আদর, শুভ্র শরীরের মতো কেমন অবয়ব পেয়ে হয়ে উঠে তুলতুলে খরগোশ। খরগোশ পালিত, বন্যজন্তুর ভীতিসহ প্রতিটি সন্ধ্যায় পালিত কুকুরের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে বোঝাই—গোশতবিহীন খরগোশ আসলেই লোভনীয়।
০২.
মানুষের গোশত কামড়ে ধরার পর, জানা হলো, পৃথিবীর সকল খরগোশ কেন উল্লাসিত হয়, আর ফিরে এসে নিজের গুহায় কেন সেই আদিম-মানব নিভু নিভু আলোয় পাঠ করে গোশত-বিজ্ঞান।
০৩.
কাঁচা-গোশত, তবু আঁশটে গন্ধহীন। এ কোন আতর দিয়ে ঢেকে রাখি শব, কোন ফেরেশতা এসে আমাকে চিনিয়ে দেয় পথ। যতবার বলি শয়তানকে আমি ভয় পাই, ততবার-ই একদল খরগোশ এসে বলে যায়, ভুনা-গোশত যদি খেতে চাও, তবে ফেরেশতাদের দেশে গিয়ে তুমি আগুন জ্বালাও।
০৪.
আমি নিশ্চিত স্বর্গে যাব, যাবে কি সেই খরগোশও? গোশতের দোকান থেকে ভেসে আসে এই প্রশ্ন, ভেসে আসে অদ্ভুত আতরের ঘ্রাণ। বোকার হদ্দ তুমি—এমন অপবাদ দিয়ে, নরকের আগুনে বসে মিথ্যাবাদী খরগোশ এক পোড়াতে থাকে খরগোশের প্রাণ।
০৫.
এমন সুগন্ধ তুমি কোথায় পাও—যার একপ্রান্তে জেগে থাকে বিবেকবান শয়তান আর অপরপ্রান্তে ঘুমিয়ে পড়ে হৃদয়হীন ফেরেশতার দল।
০৬.
পশুদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, পশুদের জ্ঞান, অথচ মূর্খ-শেয়াল হাসতে হাসতে জানালো, তুমি তো মিথ্যাবাদী খরগোশ, চলে যাও মানুষের আবাদে, দেখতে পাবে, কীভাবে তারা আজীবন চাষ করে গোশতহীন গোতশের বাগান।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


