এক অন্ধকে দেখলাম হাতে ছড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। গলায় প্লে কার্ড ঝোলানো লেখা
“ফাসি চাই”
আমি ভাবি এই মানুষটা কতটুকু ভাগ্যবান দেশের এহেন বিচার ব্যবস্থা তাকে দেখতে হয়নি। যে মানুষটা বাচ্চু রাজাকারকে টিভিতে বা সংবাদপত্রে না দেখেও এতটুকু ঘৃণা করতে পারে। রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থাকে।
মোবাইলটা বের করে ছবি তুলতে চেষ্টা করলাম। ঠিক এমন সময় কথা নাই বার্তা নাই মাথার উপর অন্ধকার হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম জাতীয় পতাকার নিচে দাড়িয়ে আছি। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত এগোচ্ছিলাম। বিশাল একটা জাতীয় পতাকা। অনেক বড় একটা লাল বৃত্ত।
ছাত্র ছাত্রী! যারা একেবারেই রাজনীতি বোঝেনা। যারা সারাটাক্ষণ মাথা নিচু করে পড়ে। আজ দেখলাম তারা তাদের চশমার ফাক দিয়ে একের পর এক প্ল্যাকার্ড লিখে যাচ্ছে। সেই শিক্ষক যিনি সারাজীবন মার্কার দিয়ে সাদা বোর্ডে লিখে গেছেন, আজ তাঁর মার্কার একের পর এক আঁচড় কাটছে সাদা কাগজ গুলোতে। সেই মেয়েটা যে কিনা সকালে সেজেগুজে বের হয়েছিল, গরমে বেচারির মেকাপ গলে গেছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই। জিন্স প্যান্ট পড়ে বাইক নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটাও কিভাবে কিভাবে মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে ফেলেছে। অফিসের ফাকে টাই এর নবটা ঠিক করতে করতে দেখে যাচ্ছেন অফিসাররা। খাবারের সময়টুকু থেকে যা দেয়া যায়। দুইজন মহিলাকে দেখলাম যে দিকে জনতা তার বিপরীত দিকে হাত তুলে বলে চলেছেন। তাড়াহুড়াই চশমা আনতে ভুলে গেছেন।
সবাই একসাথে, এক কাতারে, একি জায়গায়। আমরা আছি, আমরাই ছিলাম, আমরাই থাকব।