শাহবাগের আন্দোলনের সময় একটা গ্রুপ অপপ্রচার চালিয়েছিল যে সেখানে যারা যাচ্ছে সবাই হয় গাঁজাখোর, বেশ্যা, নাস্তিক; তখন আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। অবশ্য আমার প্রতিবাদে কিছু যায় আসে না, কারণ মিডিয়াই এই অপপ্রচারগুলো রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা পালন করেছিল।
আচ্ছা ধরেন ওইসময় মিডিয়াও শাহবাগ আন্দোলনের বিপক্ষে চলে গেলো, এবং খুঁজে খুঁজে কেবল শাহবাগের কোন চিপায় কে গাঁজা সেবন করছে, কে কোন অশ্লীল কাজ করছে সেগুলোর ফুটেজ প্রচার করত, তাহলে ব্যাপারটা কেমন বাজে দেখাত ?
তাবলীগ জামাআতের আমীর মাওলানা শফী সাহেবের আহবানে আজকে বাদ জুমুআ সারা দেশের চার লক্ষ মাসজিদে থেকে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পুলিশের অতর্কিত হামলায় ছত্রভংগ হয়ে পড়ে সবগুলো মিছিলই। এর মধ্যে আবার হাজির হয় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা তাদের চিরাচরিত(!) স্টাইলে ... পুলিশ vs শিবির ... ফলাফল তো সহজেই অনুমেয়!!!
মিডিয়া কেবল শিবিরদের ধ্বংসযজ্ঞকেই ফোকাস করে দেখাবে এটা স্বাভাবিক, তবে এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে চার লক্ষ মাসজিদ থেকে যে মিছিলগুলো শুরু হয়েছিল এগুলো কিন্তু জামাত-শিবিরের মদদে নয়। ধর্মপ্রাণ, নির্দলীয় সাধারণ মুসলিমরাই ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল। জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবার দাবির প্রতিবাদে এইসব আলেম-ওলামারা বা সাধারণ মুসল্লীরা আন্দোলন করে নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে আন্দোলনে পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আন্দোলনকে শিবিরদের কন্ট্রোলে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভবপর হয় নি। পুলিশের তাড়া খেয়ে মিছিল ছত্রভংগ হয়ে যায়, সাধারণ মুসলিমরা যে যেদিন পারে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। তবে এটাও স্বাভাবিক যে, মিডিয়া কখনো আন্দোলনরত সাধারণ মুসল্লীদের দুর্ভোগের কথা বলবে না, কেবল শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞকেই প্রাধান্য দিয়ে দেখাবে।
যে বা যারা সত্যিকারভাবে ইসলামের পথে আছে তারা জয়ী হোক; আর যারা ইসলামকে ব্যবহার করছে নিজেদের দলীয় স্বার্থে, নিজেদের গায়ে ইসলামী দলের ট্যাগ বা ইসলামবিদ্বেষের ট্যাগ লাগিয়ে, তাদের প্রচেষ্টা মহানুভব আল্লাহ ব্যর্থ করে দিক।