somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য চট্রগ্রাম: ইতিহাস ও সাম্প্রদায়িক টানাপোড়েন,সমাধানের পথ। (পর্ব ০৪)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব ৪>>

মুক্তিযুদ্ধে উপজাতি নেতাদের ভূমিকাঃ

বর্তমান চাকমা রাজার নাম ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। তিনি চাকমাদের মধ্যে প্রথম ‘বার এট ল’ (ব্যারিস্টার) ডিগ্রি অর্জনকারী। এছাড়া তিনি ২০০৭ এর ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। উপজাতি নেতৃত্বের দ্বিতীয় বেদনাদায়ক ‘ভুল’ হচ্ছে ১৯৭১ এ তাঁদের অবস্থান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় (বর্তমান রাজা দেবাশীষ রায়ের পিতা) ও মারমা রাজা অউং শু প্রু মন্ত্রীত্বের লোভে নিজেদের অনুগত প্রজাদের নিয়ে সশস্ত্রভাবে পাকিস্তানের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন। তবে, মোং রাজা মোং প্রু সাইন চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষে। পরবর্তীতে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের লক্ষন দৃশ্যমান হলে, তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তান সরকারের সাথে পূর্বচুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি আজীবন মন্ত্রী পদমর্যাদার প্রটৌকল পেয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত বছর (২০১২) পাকিস্তানেই তার মৃত্যু হয়।


এখানে একটি বিষয় উল্ল্যেখযোগ্য, মুক্তিযুদ্ধে উপজাতি রাজাদের অবস্থান সমর্থন করতে গিয়ে অনেক ‘বিশারদ’ বলেন, নিজ প্রজাদের যাতে পাকিস্তানি বাহিনী কতৃক কোনও ক্ষতি সাধিত না হয়, সে জন্যেই তারা পাকিস্তানের পক্ষে লড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে চাকমা রাজা নিজ জন্মভূমি ও নিজ প্রজাদের ছেড়ে পাকিস্তানের মন্ত্রী হওয়াটাই বেছে নিলেন কেন? কেন তিনি জীবদ্দশায় নিজ প্রজাদের দেখতে একটি বারের জন্যও এই দেশে এলেন না? কেন তিনি আজীবন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির অস্তিস্ব স্বীকার করেননি বরং পাকিস্তানের আনুগত্যশীল ছিলেন? কেন তিনি সদ্য গঠিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে পাকিস্তানের হয়ে গিয়েছিলেন? এসবের কোনও জবাব ‘বিশারদ’ গণ দিতে পারেননি। মূলত, চাকমা রাজাকে রাজাকারের সজ্ঞায় ফেলা যায়। এই সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে পারেন বিশিষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, অমি রহমান পিয়ালের 'রাজা(কার) ত্রিদিব রায় : এ লাশ সইবে না বাংলার মাটি' নামের এই পোস্ট থেকে। শুধু তারাই নন, লারমা ভাইয়েরা (এম এন লারমা ও সন্তু লারমা- শান্তি বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা), যারা নিজেদের মার্ক্সবাদী বলে দাবী করেন, তাঁরাও মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করেছিলেন (হুমায়ুন আজাদ- ১৯৯৭ ;২১/২২)। ফলে, স্বাধীনতার পর তাঁরা জাতিগতভাবে পড়েন মুক্তিবাহিনীর রোষে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে। ‘৭১-এ সন্তু লারমার অবস্থানের কারনে, তাঁর বিচার সে ক্ষেত্রে হওয়া উচিত। রাজাকারদের যে কেবল দাড়ি-টুপি পরিহিত হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।

শান্তি বাহিনী গঠন ও গঠনের আপাত কারনঃ

১৯৭২ সালে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'এর ভিত্তিতে সদ্য স্বাধীন দেশটির সংবিধান রচনা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সংবিধান প্রণেতাদের কাছে পাহাড়িদের বেশ কিছু দাবি ছিল। যেমন, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হবে এবং নিজস্ব আইন পরিষদ থাকবে (বাংলাদেশ একক রাষ্ট্র- এই ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক), ১৯০০ সালের ইংরেজদের করা ‘হিল ম্যানুয়েল অ্যাক্ট’ শাসনতন্ত্রে পুনঃস্থাপন করা (ইংরেজদের করা সেই হিংসার বীজ), রাজাদের দপ্তর সংরক্ষণ করা,পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে শাসনতান্ত্রিক সংশোধন যেন না হয় সেই সংবিধি সংবিধানে যুক্ত করা (এই ধরনের সংবিধি পরবর্তী সংসদের ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করে)। স্বভাবতই, ডঃ কামাল হোসেনের কমিটিই তাদের এই দাবী গ্রহন করেনি। অথচ, সেই তিনি আবার আজকে পাহাড়িদের দাবীর পক্ষে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম ও শেষ রাঙ্গামাটি সফরকালে এক জনসভায় তিনি স্বভাবসুলভ বাৎসল্যের সুরে বলেন, ‘যা বাঙালি হইয়া যা’। স্বাধীনতার স্থপতি হয়তো বুঝেননি, তার সন্তানসম লারমা তারই সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেবে। কিংবা, হয়তো তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, ‘৭১-এ লারমার ভূমিকার কথা।

এছাড়া আরও কিছু ব্যাপার পাহাড়ীদের ক্ষুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরপর পাহাড়ীরা মুক্তিযোদ্ধাদের রোষানলে পড়েন। সরকারের কাছে এসব হামলা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী করা হলেও, সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। শেখ মুজিবর রহমান পাহাড়ীদের দাবী নাকচ করে এমনও বলেছিলেন, ‘যুদ্ধের পর এমন ঘটনা খুবই স্বাভাবিক' (Amena Mohsin 1997:57)। এসব কারনে নিজেদের রক্ষার্থে পাকিস্তানীদের ফেলে দেওয়া অস্ত্র যোগাড় করে শান্তি আনয়নের জন্য ‘শান্তি বাহিনী’ গঠিত হয় বলে অনেকের ধারনা। তবে এর বিকল্প ধারনাটিই বেশি গ্রহণযোগ্য। এরপর তাঁদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে সেনা ও পুলিশ অভিযান চালানো হয় পাহাড়ে (Mey 1984: 114)। তখনকার আইনমন্ত্রী কামাল হোসেন আজ পাহাড়িদের পক্ষে কতই না কথা বলেন। যদিও ওনার বক্তব্য অনুসারে, সেই অভিযান চালানো হয়েছিল মিজো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। যা-ই হোক, এই অভিযান পাহাড়ীদের কাছে একটা ভুল বার্তা পৌঁছায়। কৌশলগত কারনে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার স্বার্থে তখন তিনটি স্থায়ী সেনানিবাস স্থাপন করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরও ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে না যাওয়ায় পাহাড়ীদের মধ্যে একটি ধারনা বদ্ধমূল হয় যে, সরকার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার কারনে তাঁদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। তাঁর উপর সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের পর ঘোষিত সাধারন ক্ষমা সেখানে প্রতিপালিত হচ্ছিল না। বাজেটে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকাও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোর মনে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠার কারন।

সত্যিকার অর্থে, এসব ছিল ভুল বোঝাবুঝি। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমানের ‘যা বাঙালি হইয়া যা’ কথাটিও। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে, সদ্য স্বাধীন দেশটির পরিস্থিতি সামাল দিতে তখনকার সরকারকে এতটাই বেগ পেতে হচ্ছিল যে, পাহাড়ের দিকে নজর দেবার অবস্থা ছিল না। তাই, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে সকলকে এক সুতোয় গাঁথতে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। হারুন-অর-রশিদের মতে, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্ন-সমর্পনের পরও কিছু সংখ্যাক পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা পাহাড়ীদের একটি অংশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্ন-গোপনে থেকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাতে থাকে, যাদেরকে দমন করতে সরকারের ১৯৭২ সাল পর্যন্ত লেগে যায়।

এছাড়া তখন যে তিনটি স্থায়ী সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কৌশলগত ভাবে স্পর্শকাতর পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা বিধান। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এসব কিছুই পাহাড়ী জনগোষ্ঠির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করে।

১৯৭২ সালের ১৬ মে জনসংহতি সমিতি এবং পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারী খাগড়াছড়ির ইটছড়ির জঙ্গলে গঠিত হয় জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা-শান্তি বাহিনী। শান্তি বাহিনীর নামকরনের পেছনে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মত হচ্ছে, এটি এমএন লারমার ভাই শন্তু লারমার নামের রথম অংশ ‘শন্তু’ তথা ‘শান্তি’ থেকে করা হয়েছে (Md. Nurul Amin, হুমায়ুন আজাদ)। আহমদ সফার মতে, শান্তি বাহিনী অনেকটাই তৎকালীন চরমপন্থী বাহিনী, ‘সর্বহারা পার্টি’ প্রভাবিত। তখন চীনাপন্থি বিভিন্ন চরমপন্থী দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে আত্নগোপনে থাকতেন। পার্বত্য জনগোষ্ঠির নেতারা তাঁদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। সর্বহারা পার্টির প্রয়াত নেতা সিরাজ সিকদার পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের গেরিলা সংগ্রামে নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করেছিলেন তাঁর ‘জনযুদ্ধের পটভূমি’ নামক কবিতার বইয়ে। ১৯৭৩ সালের দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা ও চাথোয়াই রোয়াজা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তাঁরা সংসদে নিজেদের দাবী-দাওয়া পেশ করতে থাকেন। ১৯৭৪ সালে ‘বাকশাল’ গঠিত হলে আপাত ‘মুজিব বিরোধী’ বলে পরিচিত লারমা বাকশালে যোগ দেন। হয়তো চেয়েছিলেন, ক্ষমতার বলয়ের মধ্যে থেকে কিছু করতে। কিন্তু, ‘৭৫-এ মুজিব নিহত হবার পর সাংবিধানিক উপায়ের আপাতত অবসান ঘটে। তাই বলে লারমাকে ধোঁয়া তুলসী পাতা ভাবার কোনও কারন নেই। তিনি চেয়েছিলেন, মুজিবের আমলেই সশস্ত্র বিদ্রোহ করতে। এজন্য জনসংহতির সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীও খুলেছিলেন ১৯৭৩ সালেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পার্বত্য অঞ্চলের তিনদিকেই ভারত। তাই সেখানে বিদ্রোহ করতে হলে, ভারতের সাহায্য সহযোগীতা ও আশ্রয় অত্যাবশকীয়। বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে বিদ্রোহীরা যদি ভারতের মদদ না পায়, তাহলে তাঁদের সব চেষ্টা ভন্ডুল হতে বাধ্য। তাই, (শেখ মুজিবের আমলে বিদ্রোহ হয়নি; জিয়ার আমলে ভারতের আশ্রয় ও সমর্থন পাওয়ায় বিদ্রোহীরা বিপুল বিক্রমে উপস্থিত ছিল। ১৯৭৪ সালে মুজিবের আমলে শান্তি বাহিনী ভারতের কাছে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করে। মুজিবের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক থাকায়, ভারত তো সাহায্য করেইনি বরং সে তথ্য জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকারকে।- (হুমায়ুন আজাদ ১৯৯৭: ২৩)। তবে একথা অস্বিকার করার জো নেই, বিভিন্ন কারনে ক্ষুদ্ধ সাধারন পাহাড়িরা অকুন্ঠ চিত্তে শান্তি বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিল।

♦♦ চলবে>>
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×