কুরবানী ঈদে যখন ছাগল কেনা হতো সেগুলোকে সাধারণত সামনের বারান্দায় রাতে রাখা হতো। শীতকাল হলে অবশ্য একটা গোডাউন মতো ঘরে রাখা হতো। যেখানেই রাখা হোক না কেন, শীত কিংবা গরম, এলাকার মশারা ছাগলের সাথে দেখা করতে আসতো। কয়েল দিয়েও তাদেরকে নিবারন করা যেতোনা।
একঘর বা দুইঘর দূর থেকেও একটা শব্দ আমরা শুনতে পেতাম। সেটা হলো মশা তাড়ানোর জন্য ছাগল কিছুক্ষণ পর পর খুর দিয়ে সিমেন্টের মেঝেতে ঠক ঠক আওয়াজ করতো। যখন আওয়াজ বন্ধ হয়ে যেতো আমরা বুঝতাম তারা বসে ঝিমুচ্ছে। কারন বসা অবস্হায় ওরা গায়ের চামড়া আর লেজ নাড়িয়ে মশা তাড়ানোর কাজটা করে।
গতকাল ঈদ শেষ হয়ে গেছে। আজ পুরোদমে সকাল থেকে ল্যাবে। কিন্তু আমার পিছনে ছাগলের খুরের শব্দ হচ্ছে কেনো? আবার কান পাতলাম। নাহ ঠিকই তো, একদম সেই শব্দ। ব্যাপারটা কি? মন দিয়ে একটা ফিচার পড়ছিলাম, পিছনে কখন ছাগল ঢুকলো ল্যাবে? কিভাবে ঢুকলো?
মাথা ঘুরিয়ে তাকালাম। লাল জামা পরা কোরিয়ান এক রমনী বসে আছে আরেকটা পিসির সামনে। সফটওয়ার ইন্জিনিয়ার। কখন ঢুকেছে খেয়াল করিনি। মাঝে মাঝেই আসে সফটওয়ার বিষয়ক সমাধান দিতে। দুইটা পাশাপাশি মনিটরে কাজ করছে সে। কাজ করার সময় দিক পরিবর্তন করার ফাঁকে তারই হাইহিল থেকে উৎপন্ন হচ্ছে এই চিরচেনা শব্দ। মারহাবা কোরিয়ান হাইহিল, মারহাবা চিরচেনা শব্দ ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৭