somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার চোখে দিনাজপুর এর কান্তজির মন্দির,রামসাগর আর স্বপ্নপুরি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





আমার জেঠা বিবাহসুত্রে দিনাজপুর এর বাসিন্দা হলেও আমার কখনো যাওয়া হয় নাই।পঞ্চগড় ভ্রমণ শেষে আমি আর আমার দুই বিয়াই রওনা হলাম উত্তরবঙ্গ আরেক জিলা দিনাজপুর ভ্রমণএ। প্রথমে গেলাম কান্তজির মন্দির ভ্রমণ করতে। অনেক নাম শুনেছি এই মন্দির এর,ভিতরে গিয়ে দেখি যা শুনেছি তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি সুন্দর। ছোট্ট একটা জায়গাতে মন্দির টির অবস্তান। মন্দিরের প্রতিটা ইট এ এত সুক্ষ কারুকাজ যে কারো নজর কারবে।পুরোহিত এর সাথে কথা বলে মন্দির এর ইতিহাস জানলাম,সম্রাট আকবর এর আমলে কেও একজন আকবরকে এসে বলে যে সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে এই বঙ্গে একটা মন্দির করতে হবে।রাজা মুসলিম হওয়া সত্তেও মন্দির নির্মাণের খরচ দিয়ে এই বঙ্গে পাঠিয়ে দেয়।প্রায় বিশ বছর ১১১ জন কর্মির কঠোর পরিশ্রমের ফল এই মন্দির। মন্দির এর চার দেওয়ালে লিখা আছে চার যুগের ইতিহাস। সব শেষ যুগ হল কলিযুগ। ভারতবর্ষের হাতি,ঘোড়া, বিবাহ,পালকি ইত্যাদি খুদাই করা আছে প্রতিটা ইট-এ।উইনেস্কো এটিকে বিশ্ব সুন্দর্যের তালিকায় রেখেছে।প্রতিদিন অনেক বিদেশী আসে এটিকে দেখার জন্য।প্রতিবছর মাঘ মাসে মন্দির চত্তরে বিশাল মেলা হয়।এর পর গেলাম রামসাগর দেখতে।এটা এত বড় দিঘি যে ঘুরে দেখতে ভ্যান ভাড়া করা লাগল,৫০ টাকা ভ্যান ভাড়া করে দিঘিটা একটা চক্কর দিলাম।বড় টাইলস করা একটা ঘাট আছে, দিঘির ভিতরে ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা আছে।দিঘিটা নিয়ে অনেক পৌড়ানিক কথা কথিত আছে।যেমন কোন এক রাজা নাকি স্বপ্নে দেখেছেন যে দিঘিতে পানি ইঠবে তখনই যখন রাজার স্ত্রী দিঘিতে নামবে।রাজা শিকল পরিয়ে তার স্ত্রী কে দিঘিতে নামায় আর সাথে সাথে বিশাল দিঘি টা পানিতে পূর্ন হয়ে যায়।শিকল টান দেয়ার পর দেখা গেল রাজার স্ত্রী আসেনি আসল শুধু শিকল। কথিত আছে দিঘির পানি নাকি কখনো শুকায় না। মনটা ভরে যায় এত বড় দিঘি দেখে। তবে নিরাপত্তা তেমন না থাকায় অবাদে চলছে ছেলেমেয়ে দের রঙ্গলিলা।যাইহোক রামসাগর দেখে রওনা হলাম দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া কয়লাখনি দেখতে।তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকার কারনে ভিতরে যাওয়া হল না তবে চেস্টার কোন ত্রুটি ছিল না ঢোকার জন্য। বাইরে থেকে দেখলাম কয়লার স্তুুপ। গেট এর বাইরে থেকে দেখলাম দুইজন বাংলাদেশি বের হলে চারজন চাইনিজ বের হয়,খবর নিয়া দেখলাম ভিতরের ৬০ ভাগ ই চাইনিজ। চাইনিজ দের শক্তি বেশি হওয়ায় মুলত কামলা হিসাবে ওদেরকে নিয়া আসা হয়।একরাত হোটেল এ কাটানোর পর পরদিন রওনা হলাম দিনাজপুর এর বিখ্যাত স্বপ্নপুরি পার্ক দেখতে। স্বপ্নপুরি পার্ক এর মালিক স্থানীয় এক রাজনৈতিক ব্যাক্তি।অনেক বছর যাবৎ শুরু হলেও এখনো এর কাজ চলছে।দিন দিন এর সুন্দর্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ঢোকার সময় দুইটা পরি,ভিতরে চিড়িয়াখানা, মাছের একুরিয়াম, গুহা,আদিম জীবন,প্রাকিতিক পরিবেশ সব মিলিয়ে এক অদ্ভুদ সুন্দর।মালিক এর ছেলে বিয়ে করেছে ক্লোজআপ তারকা সালমা কে।সালমার ঘড়ও আছে পার্ক এর ভিতর।তবলা,বেহালা,হারমনিয়াম এর প্রতিকৃতিও আছে।বোঝা যায় মালিক অনেক সংগীত প্রিয় মানুষ। দিনাজপুর মূল শহর থেকে পার্ক এরর দুরত্ত ১০০ টাকা ছি এন জি তে।এর পর অনেক স্মৃতি নিয়ে রওনা হলাম বগুড়ার উদ্দেশ্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×