somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বটতলার উকিল কামরুলকে সর্দার বানিয়ে BAL এর দেশের BALএর বিচারকদের ঢাকা শহরের সুইপার হিসেবে নিয়োগ করা হউক

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

BAL আদালত বিধিবদ্ধ সতর্কীকরন: ইহা শুধুই BAL এর আদালত এবং BALপন্থী বিচারকদের জন্য।

সেদিন আদালতে কি ঘটেছিল?

সংবিধান ডাষ্টবিনে ছুড়েঁ ফেলার অভিযোগে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে মামলার শুনানির সময় BAL এর বিচারকরা খালেদাকে জড়িয়েও বিচারক মন্তব্য করেন।এই নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা আপত্তি তোলে।একপর্যায়ে আদালত সাময়িক বিরতীতে যায়।বিরতীতে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবি বিচারকের কক্ষে বিচারকদের পরামর্শ দেয় বিরতীর পর খালেদাকে নিয়ে কোন মন্তব্য না করতে।কিন্তু আদালত আবার বিরতীর পর এসে খালেদাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়।ফলাফল আওয়ামীপন্থী এবং বিএনপিপন্থীদের হাতাহাতি।এক পর্যায়ে প্লাষ্টিকের পাত ছুড়েঁ মারে বিচারকের উদ্দ্যেশে হট্রগোলের ভেতর থেকে।

কি বলেছিলেন বিচারকদের আওয়ামীলীগের সিনিয়র একজন আইনজীবি?
বিচারক যখন খালেদাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয় তখন ব্যারিস্টার আমীর বলেন, ওটা আলাদা বক্তব্য। এমন কোন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে এটা আইনি বিষয় থেকে রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হয়।

সেদিন আদালতে হাতহাতির ঘটনার জন্য দায়ীকে?মামলা হলো কাদের বিরুদ্ধে

সন্দেহতীত ভাবে সেদিন যে দুই বিচারক ছিলেন তারাই দায়ী।কারণ,খোদ আওয়ামীপন্থী সিনিয়র আইনজীবিও বিচারককে এমন বক্তব্য না দেওয়ার অনুরুধ করেছে।কিন্তু মামলা হলে বিএনপিপন্থী আইনজীবিদের বিরুদ্ধে ।অথচ আদালতে সেদিন দুই পক্ষই হাতাহাতি করেছে।

আদালতের হাতাহাতির ঘটনায় কি মামলা হয়েছিল এবং কি বলেছিল এই নিয়ে মামলার ঘটনায় আদালত?


আদালতে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতেই বিএনপিপন্থি ১৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৪, ধারা ১৪৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৫০৬ ও ৩৪। মামলার বাদী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসএম সোলায়মান। এতে সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মির্জা আল মাহমুদ, শহিদুজ্জামান, শরিফ উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

১৩ জন হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আনোয়ার-উল হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ সময় পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার বা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু পরবর্তী শুনানীতে একজন বিচারক এই নিয়ে বিব্রত বোধ করেন।বিচারক যেহেতু বিব্রত বোধ করেছেন সেহেতু নতুন দিন ধার্য করে আগের আদেশ এ সময় পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার বা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়। বহাল থাকবে এটাই স্বাভাবিক।অতীতেও দেখা গেছে কোন মামলায় যদি বিচারক বিব্রত বোধ করেন তাহলে আগের আদালত যে আদেশ দিয়েছে সে আদেশ বিব্রত পরবর্তী আদালত পর্যন্ত বহাল থাকে।কিন্তু আইনজীবিদের গ্রেফতার করা হয়েছে ।এবং ১০দিনের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

কেন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন?

হাইকোর্টে ওই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে এবং কারা উস্কানি দিয়েছে- তা জানার জন্য আসামি আসিফা আশরাফী পাপিয়া, গাজী তৌহিদুল ইসলাম ও আবু বকর সিদ্দিক রাজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

সেদিন আদালতের ঘটনার নেপথ্যের নায়ক কি আদালতের বিচারক না?কারণ ,সেদিন এমন ঘটনার জন্য দুই বিচারকই দায়ী।

সেদিনের ঘটনায় বটতলার উকিল কামরুল আজ বলেছেনে এজলাসের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এ সকল আইনজীবীর আইন ব্যবসার সনদ বাতিল করা উচিত,

অথচ এই কামরুলরাই যারা বিচারকের সামনের এজলাস ভাঙচুর করেছে তাদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।স্পষ্টই এই দেশের আদালত এখন BAL এর আদালত।আজাইরা সময় নষ্ট।বিএনপিপন্থীদের দমনের জন্য পুলিশ আর কুত্তালীগই যথেষ্ট।কি দরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে আদালত চালিয়ে বিএনপিপন্থীদের দমনের?এর চাইতে BAL এর আদালেতর বিচারকদের ঢাকা শহরের সুইপার নিয়োগ করা হউক।এতে ঢাকা শহর কিছুটা হলেও আবর্জনামুক্ত হবে।
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×