somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ভাই মরলো কেন? খুনি ইউনূস জবাব দে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার ভাই মরলো কেন?
'ধর্মের কল বাতাসে নড়ে'—এ প্রবাদ যেন হুবহু প্রমাণিত হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটা আদতে একটা স্ক্যাম ছিল।
একে একে বেরিয়ে আসছে সমন্বয়কদের আসল চেহারা। বের হচ্ছে তাদের নিজেদের কৃতকর্মের মাধ্যমে, তাদের পার্টনারদের পেপার ট্রেইল থেকে এবং আন্দোলনের সময় সংগৃহীত নানা রাকম তথ্য-প্রমাণ থেকে।
স্বীকারোক্তি
ডিবিসি টেলিভিশনের ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি টকশোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম স্বীকার করছেন যে, “যদি মেট্রোরেলে আগুন না দেওয়া হতো, যদি পুলিশদের না মারা হতো তাহলে এই বিপ্লবটা এত সহজে অর্জিত হতো না। ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করা যেত না।” [১] এই স্বীকারোক্তি দেশে আইন-শৃঙ্খলার জন্য একটি স্পর্শকাতর ইস্যু এবং ফৌজদারি অপরাধ আইন অনুযায়ী বিচার যোগ্য অপরাধ।
সশস্ত্র সংগ্রামের ভিডিও বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। [২] অর্থ কী দাঁড়ায়? অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত ম্যানপাওয়ার মাঠে ছিল! ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে-টিকটকে দেখা যাচ্ছে, আন্দোলনের সময় কাদের হাতে অস্ত্র ছিল। সন্ত্রাস করতে অর্গানাইড গ্যাং-কিলারদের সহায়তা নেয়া, এরপর শর্ত অনুযায়ী তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেয়াও আমরা দেখলাম। এখন কি সেই সন্ত্রাসীরা আপনার বাসায়- অফিসে-দোকানে হানা দিচ্ছে? হিসাব করে দেখুন তো, নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে, না কমেছে?
নিষিদ্ধ জ’ঙ্গিগোষ্টির সহায়তা নেয়া ছাড়া কোন কৃতজ্ঞতায় তাদের আটক নেতাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে?
মুক্তপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা এখন সংবাদ মাধ্যমকে হুমকি দেয় – আর্মি গিয়ে পাহারা দেয়। [৩]
একটু ভাবুন
একটু পেছনে তাকান, আন্দোলনকালে আবু সাইদের মাথায় আঘাত এবং দীর্ঘ সময় হাসপাতালে না নেয়া, মুগ্ধর মিছিলের মাঝে থেকে মাথায় শুট, আরো অনেক গুলো এরকম ঘটনা চিন্তাশীলদের মাথায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিলো। কিন্তু তখন জনমানস উত্তপ্ত থাকার ওগুলো মনোযোগ পায়নি। কিন্তু আন্দোলনের পরবর্তীতে যেসব তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে জনগন গিয়েছে, তাতে আর সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
এই আন্দোলন নিয়ে মার্কিন নিউজ পোর্টালে দ্যা গ্রেজোন ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই)-এর গোপনীয় দলিল প্রকাশ করেছে। [৫] সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে সরকার হটানোর জন্য এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমেরিকান প্রতিষ্ঠান আইআরআই নানা শ্রেণী-পেশার লোকজনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন সরকারের অর্থপুষ্ট এই সংস্থা তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে জড়িত বলে নথিপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এদেরকেই হাইতি, হন্ডুরাস, কিউবা, ইউক্রেন, ভেনিজুয়েলা, হংকং এবং মধ্যপ্রাচ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং অস্থিতিশীল কারার পেছনে দায়ী করা হয়। [৬]
মেটিকুলাস ষড়যন্ত্রের কথা তারা গর্ব করে আগেই জানিয়েছে। নিউইয়র্কে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম (মাহফুজ আবদুল্লাহ) কে বক্তব্য দেওয়ার শেষ দিকে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ কে ‘মাস্টারমাইন্ড’ এবং আন্দোলন প্ল্যান “ম্যাটিকুলাস ডিজাইন” বলে জানিয়েছেন। [৭]
প্ল্যান ম্যাটিকুলাস ডিজাইন
আজ পরিষ্কার হয়েছে - অন্য জায়গায় কালার রেভুলুশনে থার্ড পার্টি দিয়ে মার্ডার করে লাশের সংখ্যা বাড়িয়ে পাবলিক এজিটেট করার মডেল এখানেও একই ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভেরি আনফরচুনেট, বাট ট্রু।
কলকারখানায় আগুন দেয়া হয়েছে, আমদানি নির্ভরতা আরো বাড়ানোর জন্য। শিল্প ধ্বংস করে শ্রমিকদের পথে বসানো হল। যেখানে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ বিনির্মাণ হচ্ছিল, সেখানে দেশ আবার যাচ্ছে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হতে – গরীব বাড়লেও তো এনজিও ব্যবসা রমরমা হবে - ‘গরীবের মাসিহা’ হলে বিদেশ থেকে ফান্ড মিলবে, মেডেল মিলবে!
শিক্ষার্থীদের অটোপাশের মাধ্যমে তাদের শিক্ষার মান কমানো হয়েছে এবং তাদের অস্থির করে ছোটখাটো কাজে নামানো হচ্ছে। যেখানে তাদের পড়াশোনার করে নিজকে গড়ার সময় - সেখানে তারা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারীর কাজ করছে। আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে সব মিলিয়ে পুলিশের ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড গুলি লুট হয়েছে। [৪] যারা পড়াশোনা না করে ছোটখাটো কাজ করবে তাদের হাতে কী কী অপশন থাকবে? কমনসেন্স খাটিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন?
জনগণ অন্যায় করেনি, প্রতারিত হয়েছে:
আজ আপনারা সাধারণ জনগণ আন্দোলনে সমর্থন দেবার কারণে অনেকেই এই সরকারের কৃতকর্মের বিরোধিতা করতে লজ্জা পাচ্ছেন। কারণ অনেকেই আপনাদের নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করার সুযোগ নিচ্ছে। এই ঠাট্টা মশকরার কাজটা আমরা বিরোধিতা করি। আমরা মনে করি সাধারণ জনগণকে দায়ী করা উচিৎ নয়।
সেই সাথে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে জনমনে ক্ষোভ ছিল। আওয়ামীলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে পুরো আওয়ামীলীগ এর উপরে একটি বড় অংশের সমর্থক বিমুখ হয়েছিল। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের সময় যথাযথ পরিবর্তন ব্যবস্থাপনার উদ্যোগের ব্যর্থতা কটি বড় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তাদের নানা রকম লুটপাট-স্বেচ্ছাচারিতা জনমনে বিক্ষুব্ধ হয়েছিল। এরকম আরও নানা কারণে জনমতের পুঞ্জিভূত ক্ষোভই আপনাদেরকে আন্দোলন সমর্থনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরাও মনে করি এসব ক্ষোভ যৌক্তিক, এগুলোর প্রকাশও যৌক্তিক। এই ক্ষোভের বিপক্ষে আশাজাগানিয়া কোন ডাক আসলে সেই ডাকে সাড়া দেয়াও অপরাধ নয়। তাই আপনারা যা করেছেন, সেটা অন্যায় কিছু না। কিন্তু আপনারা লোক চিনতে ভুল করেছেন, যে জন্য প্রতারিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ হিসেবে আপনারা মজলুম। আপনারা জালিম এর প্রতারণার শিকার।
আমরা এও জানি, আপনারা আন্দোলনে সমর্থন দিলেও এনজিও সরকার ও তাদের সমন্বয়কদের সকল অপকর্মকে শর্তহীন ভাবে সমর্থন দেবার মুচলেকা দেননি।। তাদের কৃতকর্মে বিরক্ত হতে হতে, জবাব এর বদলে নির্যাতিত হতে হতে, আপনারাই খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
আমরা শুধু অনুরোধ করবো, যাদের ডাকে আপনারা সমর্থন দিয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে জবাব গুলো বুঝে নিন। আপনাদের কেন মিথ্যা বলা হল, প্রতারণা করা হলো, তার জবাব নিন।
জবাব নিন
দেশকে যেভাবে উল্টোপথে নিয়ে যাচ্ছে, জাতীকে যেভাবে মিসগাইড করা হচ্ছে। জেগে উঠুন। না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। ফেরানোর পথ থাকবে না।
আমার ভাই মরলো কেনো? এই প্রশ্ন যখন সমন্বয়করা আমাদের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলো। তখন আমাদের জবাব আপনারা শোনেন নি, বিশ্বাস করেন নি, গালি দিয়েছিল।
আজ যখন সব কিছু দিবালোকের মত পরিষ্কার, তখন আমি ওই সব খুনি সমন্বয়কদের প্রশ্ন করতে চাই -
আমার ভাই মরলো কেন?
সমন্বয়ক জবাব দে।
আমার ভাই মরলো কেন?
খুনি ইউনূস জবাব দে।
এই প্রশ্নগুলো আপনারা সমন্বয়কদের করুন, উত্তরটা নিজে বুঝে নিন।
সকল সূত্র মন্তব্যের ঘরে..

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×