ছবি - odhikar.news
" আমাদের সমাজে চলার পথে একেক মানুষের একেক রকম নেশা থাকে । কেউ টাকা ভালবাসে, কেউ ভালবাসে ক্ষমতা, কেউ ভালবাসে আড্ডা আবার কেউ ভালবাসে গান - কেউ ভালবাসে খেলতে আর আমি শৈশব থেকেই ভালবাসি পড়তে । আমি জন্মেছি মোটামুটি অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল-দরিদ্র ও জনবহুল (৫ ভাই ও ১ বোন ) তবে একটি শিক্ষিত পরিবারে। যে পরিবারের প্রধান (বাবা ) প্রাক্তন এম ই এস (আর্মি) সদস্য এবং মা গৃহিনী তবে উভয়েই সেই সময়েও ভাল শিক্ষায় শিক্ষিত । আমার মায়ের বাবা (নানা) শিক্ষক হওয়ার সুবাদে তার সব ছেলে-মেয়ে এবং দাদা-দাদী যদিও খুব বেশী শিক্ষিত নন তথাপি শিক্ষার প্রতি তাদের অনুরাগের কারনে তাদের সব ছেলে-মেয়েও উচচ শিক্ষায় শিক্ষিত। তাছাড়া, আমার দাদুর ৫ ভাই এবং তাদের ছেলে-মেয়েরা (কাকা-ফুফু) প্রত্যেকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত (দুই-একজন বাদে ) এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে (আর্মি অফিসার-ডাক্তার-প্রকৌশলী-শিক্ষক-ব্যবসায়ী) প্রতিষ্ঠিত।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, " বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে,তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়"। আবার , সিডনি স্মিথ বলেছেন, " গৃহের কোনো আসবাবপত্র বইয়ের মতো সুন্দর নয়"।আর এত সব কারনেই হয়ত, জন্মের পর পরই (বুঝ হওয়ার পরে থেকে) দেখেছি আমাদের সবার ঘরে বই-বই আর বই এবং ছোট-বড় সবারই বইয়ের সাথে সম্পর্ক । যদিও আমি পড়াশোনা তত একটা পছন্দ করতাম না এবং পাঠ্য বই আমাকে তত একটা টানত না, যতটা টানত পাঠবর্হিভূত বই তারপরেও জেনেটিকেলি কারনে হয়ত কিভাবে কিভাবে যেন পরীক্ষায় পাস করে যেতাম । আর তাই কিভাবে কিভাবে যেন দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সর্বোচ্চ একটা সার্টিফিকেট বগলদাবা করতে সক্ষম হয়েছি কোন কিছু না জেনেই।
ছবি - tripoto.com
পড়ার নেশা শুরু সেই ছোটবেলা থেকে। যার শুরুটা হয়েছিল দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে। বাবা চাকুরীজীবি হওয়ার সুবাদে সেই শৈশবেই দেখেছি প্রতিদিন ঘরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা। আর দৈনিক ইত্তেফাকের তখন খুব সম্ভবতঃ " টারজান - এডগার রাইস বারোস " প্রতিদিন দেখতাম-পড়তাম এবং কেটে সংগ্রহও করতাম । তার সাথে কচি-কাঁচার আসর ও দাদা ভাইয়ের লেখা (রুকনুজ্জামান খান ওরফে দাদা ভাই) এবং সাহিত্য পাতা টানত চুম্বকের মত ।এভাবে ধীরে ধীরেই পড়ার আগ্রহ তৈরী হতে থাকে।
বই কিনে কেউ কোনোদিন দেউলিয়া হয় না " - সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই বিখ্যাত উক্তির সাথে পরিচিত হবার আগেই বইয়ের সাথে ভালবাসা হয়ে গিয়েছিল শৈশবে। বই পড়ার হাতেখড়ি হয়েছিল ঠাকুরমার ঝুলি এবং চাঁচা চৌধুরী দিয়ে খুব সম্ভবতঃ ক্লাস টু বা থ্রিতে । ক্লাস সিক্সে উঠার পর মুসলমানী করানো হয় (তার মানে আমি বড় হয়ে গিয়েছিলাম)। আর তাই ক্লাস সিক্সে উঠেই প্রথম জানাশোনা হয়েছিল রসময় দাস গুপ্তের বিখ্যাত লেখকের বইয়ের সাথে (পুজা দেখতে বর্ডার ক্রস করে ভারত গিয়ে )। পাঠ্য বইয়ের নীচে রেখে " সেলিনার গোপন কথা " পড়ার সময় হাতে নাতে মায়ের হাতে ধরা পরা ক্লাস সেভেন এ থাকতে ( তখন বেদম পিটুনি মিলেছিল গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল পুরা দিন)। আর স্কুল পাঠাগার থেকে বই নেয়া শুরু এবং মোটামুটি আমাদের স্কুল পাঠাগারের সব বই ই আমি পড়েছিলাম এবং পাঠাগার রক্ষক মহাবিরক্ত ছিল আমার প্রতি বই দিতে দিতে।এসবের সাথে সাথে স্কুলের টিফিনের সময় এবং শুক্রবার বাজারে বিভিন্ন দোকানে আরও বাকী যে দৈনিক সংবাদপত্র রাখত সেগুলিও পড়তাম।
আমাদের এলাকার বড় ভাইদের এবং আত্মীয়দের পাঠ কেন্দ্রিক পজিটিভ মানষিকতার কারনে আমরা যারা ছোট ছিলাম তারাও উৎসাহিত হয়েছি পড়তে । রীতিমত বই পড়ার প্রতিযোগিতা চলতো আমাদের ঘরে এবং ভাই-বোনদের মাঝে।এর সাথে খেলাধুলাও চলতো মনের আনন্দে, চলতো ঈদ আনন্দ আর পূজাপার্বন। সেই শৈশব থেকেই সাধারন জ্ঞানের অংশগ্রহণ ছিল। আর তাই পড়ালেখার সেই চর্চা থেকে আজো আমরা বেরুতে পারিনি। যে কোন বিষয়ে তর্ক করার জন্যও ন্যুনতম জ্ঞান থাকা জরুরী আর সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ার কোন বিকল্প নেই। তখন মাঝে মাঝে টিভি চ্যানেলে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের বিতর্ক দেখলে অবাক হয়ে ভাবতাম , কিভাবে তারা এত জানে ও মনে রাখে , আর এখন তাদের দেখলে নিজের হারিয়ে ফেলা অতীতের সঙ্গে মিলিয়ে আনন্দিত হই সেই সময়ে করা নিজের কাজগুলোর কথা ভেবে।
এদিকে বাবা তখন পড়ত মাসুদ রানা সিরিজ (একটাও বাদ যেতনা , নতুন বই বের হলেই কিনে আনত ) আর তাই তাও পড়া শুরু করি স্কুলে উঠে যদিও প্রথম প্রথম ভাল লাগত না। ক্লাস এইটে উঠে আমরা কয়েকজন মিলে চাঁদা দিয়ে একটা ছোট পাঠাগার বানাই যার শুরু হয় দস্যু বনহুর সিরিজ দিয়ে। আর এভাবেই আমি তৈরী হতে থাকি একজন সর্বভূক খাদক (সর্বভূক পাঠক ) হিসাবে । বই পাঠের ক্ষেত্রে আমাকে সর্বভূক খাদকের মত সর্ববিষয় পঠিত পাঠক বলা যেতে পারে ,যে এবং যেখানে চটি-থেকে চন্ডিপাঠ সবই চলে।
আর একটু বড় হওয়ার পর শুরু ম্যারাথন বই পড়া যেখানে কোন নির্দিষ্ট এলাকা বা বই নেই সব ধরনের বই ই চলে । চলে কিশোর ক্লাসিক, western series,মাসুদ রানা সিরিজ,সাইমুম সিরিজ কিংবা অনুবাদ কিংবা চটি বই।
ছবি - ugantor.com
তাছাড়া সময় পেলেই আরো যাদের বই পড়ি তারা হলেন - হুমায়ুন আহমেদ, ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়,মানিক বান্ধোপাধ্যায়, বিভূতিভূষন বান্ধোপাধ্যায়,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ডঃ লুৎফুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কবি নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল,বুদ্ধদেব গুহ ,বুদ্ধদেব বাসু, সুনীল গাঙ্গোপাধ্যায়,তসলিমা নাসরীন,চিত্তরঞ্জন মৈত্র,হেনরি রেইডার হ্যাগার্ড,কাশেম বিন আবু বকর,কৃষ্ণ চন্দ্র,মীর মোশারফ হোসাইন,নিহার রঞ্জন গুপ্ত,নিমাই ভট্টাচার্য,পৃথিরাজ সেন,সমরেশ বাসু,সমরেশ মজুমদার,সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,সিডনি শেলডন,শীর্ষেন্ধু মুখোপাধ্যায়,সুধাময় কর।
আর তার সাথে সাথে ধর্মীয় বই ,আল কুরআন (প্রতিদিন কিছুটা হলেও পড়ার চেষ্টা করি) ,হাদীস, নবী রাসুলদের জীবনী ( শুধু ইসলাম রিলেটেড এমন নয় ) বাইবেল,গীতা,রামায়ন ইত্যাদিও পড়ি এবং জানতে চেষ্টা করি জীবন ও জগত সম্পর্কে (কেউ আবার অন্যভাবে নিয়েন না - যখনই সময় পাই, আমি আসলে জানার জন্যই পড়ি । আমি যা পাই তাই পড়ি বা পড়তে চেষ্টা করি তার মানে কিন্তু এই না যে আমি অনেক কিছু জানি) ।
বইয়ের বিকল্প প্রযুক্তি নয় আর তাই ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার কখনো পছন্দের নয় , কারণ এখানে-এটাকে আমার বাস্তব থেকে অবাস্তবই বেশী বলে মনে হয় ।আমার ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে, আজকাল শিক্ষার্থীরা যতটুকু সময় মোবাইল তথা ইন্টারনেটে ব্যয় করে, তার তিনভাগের একভাগও বই পড়ার পেছনে ব্যয় করে না। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বই পড়ার অভ্যাস। বইয়ের রূপ, রঙ ও ঘ্রাণও যেন আগের মতো নেই ।
আর এই পড়ার জন্যই সামুতে আসা । সম্প্রতি পড়ার সাথে সাথে সামুতে লেখার সুযোগ পেয়ে কিছুটা লেখালেখি শুরু করে ছিলাম আর যা ভাল লাগে বা ইচ্ছে হয় তাই লিখি। তবে এমন কিছু আমি কখনো লিখিনা যা আমার বিশ্বাসের সাথে মিলেনা এবং যা আমাদের পরিবার-সমাজ-সামাজিকতার সাথে নৈতিকতার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। আমার লিখায় কোন পক্ষ বিপক্ষ থাকেনা-হয়না, লেখায় থাকে আমাদের জীবনের বাস্তবতা। আমার মতে, লেখা কারো মতের পক্ষে যাবে কারো বিপক্ষে যাবে। তাই বলে লেখার মাঝে বিভাজন খোজা বা সুস্থ্য যুক্তিচর্চার মধ্যে বিভাজন (ধর্মীয়-রাজনৈতিক) করা উচিত নয় । যদিও আমাদের লেখায় এবং সমাজে এখন ঢুকে গেছে রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের মত অসুস্থ্যতা। পক্ষে হলে ভাল, নইলে আপনাকে রাজাকার-তালেবান উপাধি দিয়ে ছেড়ে দিবে অল্প জানা ও মানষিক সংকীর্ণতায় ভোগা নব্য বুদ্ধিজীবির দল। এসব স্বল্প জানা বা একপেশে জানা একটা আধুনিক শ্রেনীর ক্যাচালে পরে চলে যাবে যে কারো কিছু লেখার ইচছা। সামাজিক মাধ্যম এমন একটা মাধ্যম, যেখানে সবাই রাজা, সবাই সৎ আবার সবাই অসৎ। আর এর ফলেই এবং এভাবেই এখন কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির উর্বর ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে আমাদের এই সমাজ, এই সামাজিক মাধ্যম এবং পরিবেশ।
জীবনের ব্যস্ততায় ও জটিলতায় লেখালেখি খুব মুশকিল, তবুও হাত নিশপিশ করে মাথা গিজগিজ করে অস্থিরতায় - কিছু লেখার আশায়। তবে চাইলেই যে কিছু সত্য লেখা বা সত্য মন্তব্য করাও খুবই বিপদজনক । শুধু নির্দোষ সাহিত্য চর্চার জন্যও পড়তে হতে পারে বিপদে বা যেতে পারে প্রাণ। আর তাই লেখা ও মন্তব্যের ক্ষেত্রেও থাকতে হয় অনেক সর্তক। আমার জানশোনার পরিধি যদিও সীমিত এবং আমি সীমিত জ্ঞানের একজন মানুষ মাত্র, তারপরেও যতটুকু পারি তথ্যসমৃদ্ধ লেখা লিখতে চেষ্টা করি যাতে তা নূন্যতম কোন না কোন উপকারে লাগতে পারে কারো। আর যাই কিছু লিখি এর সবটাই আমার কথা নয়। হাজার হাজার বছরের জ্ঞানঋদ্ধ আলেম-জ্ঞানীগণের পরম্পরার গল্প,নীতি নৈতিকতার গল্প । একশ্রেনীর পাঠক তাদের সুবিধামত হলে খুব খুশী হয়, না হলে তির্যক মন্তব্য শুরু করে। আমি কম জানি, তাই আমাকে গরু-ছাগল বললে, খামচি দিলেও সমস্যা নাই ,সমস্যা নাই গরুর রচনার লেখক বললেও । তবে আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি শুধু আমি নই অধিক জানা এইসব তথাকথিত একচোখা মুক্তমনা (তথাকথিত আধুনিকতার দাবীদার ) দের উপদ্রব থেকে কেউই রক্ষা পায়না এমনকি অতি-আধুনিকরাও। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজে ধৈর্য্য ও ক্ষমার নীতিতে বিশ্বাসী থাকায় আমার লেখার জন্য তেমন একটা সমস্যায় না পড়লেও অনেককেই দেখি এই লেখার জন্য নানা রকম হিংসা-প্রতিহিংসার শিকার হতে।
তবে আমি বিশ্বাস করি, খোলা মন নিয়ে যদি চঠিপাঠও করা যায় সেখান থেকে কিছুনা কিছু হলেও শিখা যায় । কাজেই জানা-বোঝার জন্য খোলা মন জরুরী। আর চলার পথে সব যে আমার মন মত-আমার মতের ই হবে এমন কোন কথা নেই। মতের-মনের অমিল আছে বিধায়ই পৃথিবী আজও এত সুন্দর। মতের-মনের অমিল এবং সহনশীল আচরণ আধুনিক গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শর্ত । আমরা সবাই নিজেকে আধুনিক দাবী করি অথচ আধুনিকতার অন্যতম প্রধান শর্ত বিরুদ্ধ মতকে সম্মান করা বা অন্যকে মর্যাদা দেয়া অথবা সমালোচনাকে পজেটিভলি দেখা - এসবের কোনটাই আমরা করতে চাইনা । যদিও আমরা সবাই তথাকথিত উচ্চ শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত এবং আধুনিকতার দাবিদার।
ছবি - banglaclassicbooks.blogspot.com
আমার পড়া কিছু প্রিয় বই -
১। বুদ্ধদেব গুহের বই তালিকা - A । বাবলি B । হলুদ বসন্ত C। মাধুকরি D। একটু উষ্ণতার জন্য ।
২। নিমাই ভট্টাচার্য - A । মেম সাহেব B । ব্যাচেলর C। ডিল্পোমেট D। লেটার বক্স E । প্রেয়শি F । প্রেমের গল্প ।
৩। সমরেশ মজুমদার - A। হৃদয়বতি B । জোস্নায় বর্ষার মেঘ C । উত্তরাধিকার D। কালপুরুষ
৪। শীর্ষেন্ধু মুখোপাধ্যায় - A । দূরবীন B । পার্থিব।
৫। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - A । একা এবং কয়েকজন B । অন্য জীবনের সাধ C । পরকীয়া প্রেম D । পূর্ব পশ্চিম ।
৬। তসলিমা নাসরিন - A । আমার মেয়ে বেলা B। বেলা যায় মেলা যায় C । দ্বিখন্ডিত D। যাবোনা কেন যাবো E । লজ্জা।
৬। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় - A । চিতা বহৃিমান B। চরণ দিলাম রাঙিয়ে ।
৭। ডঃ লুৎফুর রহমান - A । উন্নত জীবন B। মানব জীবন C । যুবক জীবন D। মহৎ জীবন E ।ধর্ম জীবন ।
৮। হুমায়ূন আহমেদ - A। দেয়াল B । দিঘির জলে কার ছায়া গো C । শঙ্খনীল কারাগার D। নন্দিত নরকে E । মেঘ বলেছে যাবো যাবো F । এইসব দিনরাত্রি G। দেবী H । মধ্যাহ্ন I । জোছনা ও জননীর গল্প ।
৯। নিহার রঞ্জন গুপ্ত - A । আদিম রিপু B । আলোকে আঁধারে C । অদৃশ্যশত্রু D । কালো পাখি ।
১০। ওয়েস্টার্ন - A । সন্ধান B । শোধ C । আক্রোশ D । অবরোধ E । বেপরোয়া পশ্চিম F । উত্তরসূরি G । ভবঘুরে H । ঘায়েল I। শাস্তি
১১। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড - A । সলোমনের গুপ্তধন B । ক্লিওপেট্রা C । মেরী D । দি লেডি অফ ব্লসম
১২। অনুবাদ - A । ক্যাপ্টেন দুহিতা B । দুই নারী (বড়দের জন্য) ।
১৩। মাসুদ রানা সিরিজ - A । আমিই সোহানা / হ্যালো সোহানা B । অগ্নিপুরুষ C । দুর্গম দূর্গ D ।শ্বাপদসংকুল E । চাই সাম্রাজ্য F । ভারতনাট্যম G ।চারিদিকে শত্রু H। অকস্মাৎ সীমান্ত I । নরপিশাচ J । নীল আতংক K । আবার সেই দুঃস্বপ্ন ।
১৪ । কাশেম বিন আবু বকর - A । ফুটন্ত গোলাপ B । শবনম C । বিদায় বেলায় D । শেষ উপহার E । বিকেলে ভোরের ফুল।
১৫ । মীর মোশারফ হোসেন - A । বিষাদ সিন্ধু
বই পড়া অবিরাম … এখনো চলছে এবং চলবে । আর এই বই পড়া নিয়ে অর্ধাংগিনীর মন্তব্য প্রাণিধানযোগ্য, " তুমি বউ (মেয়ে) বিয়ে না করে বই বিয়ে করলে ভালো হত - তাহলে তুমিও সুখী হতে এবং বইও সুখী হত কারন , যতটা বইকে ভালবাস তার শতভাগের একভাগও বউকে ভালবাসনা " ( আমার প্রতি তাহার অভিযোগ )।
কি আর করা জীবন এমনই - কেউ কাউকে শতভাগ খুশী বা সুখী করতে পারেনা । তারপরেও জীবন যাবে জীবনের নিয়মে আমাদের কাজ শুধু নিজের কাজ করে যাওয়া।
===========================================================
পূর্ববতী পোস্ট -
" হিজি ( বিজি " - ১ Click This Link
- ব্লগে আমার ১০০ (শততম) পোস্ট , ( প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার খেরোখাতা )।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮