চেনা চীন অচেনা চীন: কুত্তা পর্ব
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমার আরেক বান্ধবী ডোরিস। ওয়াং চিয়া নিং আর ডোরিস প্রায় সময় চিড়িয়াখানায় পার্টটাইম জব করে। আমি চিন্তা করে পাই না এত সুন্দরী মেয়েগুলো কেন কুত্তা-বিলাই আর বান্দরের প্রতি আতো আগ্রহী!! ওয়াং চিয়া নিং দেখতে ডোরিসের চেয়েও মিষ্টি
ওয়াং শিয়াও হো, ওয়াং শিয়াও ফি, ওয়াং শিয়াও থোং...
তিনটা নাম, একটা আমার বান্ধবী। দুইটা মেয়ে, একটা ছেলে। একটা মানুষ, দুইটা কুত্তা।
কুত্তা দুইটার একটা মেয়ের সাথে ঘুমায়, একটা মায়ের সাথে।
বিদেশি মেমদের কুত্তার প্রতি ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। কুত্তার সাথে নাকি তারা সে**ও করে!!
ফরেন্ট স্টুডেন্টস এপার্টমেন্ট
আমার বান্ধবী প্রায় সময় তার হোমটাউনের কুত্তার গল্প করে। আজকে আবার। জিজ্ঞেস করলাম, কুত্তা তো নোংরা প্রাণী, কেমনে তুমি তার সাথে ঘুমাও?
উত্তর দিল, তার মা সবসময় কুত্তাকে গোসল করায়। পরিবারের সবাই (মা-বাবা আর সে) যা খায় কুত্তাও তা ই খায়। তাই নোংরা বলতে কিছু নেই!
ফরেন স্টুডেন্টস এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে টিচিং বিল্ডিংয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা আছে। কৌতুহল বশত: প্রায় সময় আমি ৩এ আর ২বি স্টুডেন্টস ডরমিটরির মাঝখান দিয়ে যাই দুইটাই গার্লস ডরম কি না!!
বাসার পাশের রেস্টুরেন্ট। ক্যাম্পাসে এরকম রেস্টুরেন্ট আছে ৫ টা, ছোটও আছে!
রাস্তার পাশে প্রায়সময় একটা কুত্তা দেখতাম। আর সবসময় কোন না কোন মেয়ে কুত্তাটাকে আদর করত, তার সাথে ছবি তুলত। কুত্তার ভিডিও করত।
এরপর দেখি কে যেন একটা বক্স পেতে দিয়েছে রাস্তার পাশে, বক্সটাকে মুড়ে দিয়েছে মোটা কাপড় দিয়ে, ভেতরে তোষক ......... বক্সের মুখে পর্দা...... আসলে কুত্তাটা ছিল গর্ভবতী।
কুত্তার বাসার সামনে ডাম্পলিং, ব্রেড, নুডল..... নানা বাহারি খাবার। কুত্তা খেতে পারে কি পারে না তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। পোলাপান দিয়ে যায়। অবশেষে সাদা-বাদামি রংয়ের কুত্তাটা একটা সুন্দর কালো বাচ্চা দিল। কুত্তার বাসার পাশে গাছের ডালে কেউ একটা নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে 'কেউ কুত্তার বাচ্চাটা চুরি করবেন না'।
এরপর একদিন দেখি পুতুলের মতো একটা মেয়ে কুত্তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হাটছে। কাপড় দিয়ে জড়ানো, ঠিক যেমন মেয়েরা তাদের শিশু সন্তানকে কোলে আগলে রাখে!!
পরের দিন কুত্তার বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার বন্ধবী বলতেছে, কি ব্যাপার! কুত্তার বাচ্চা কই?
আমি বললাম, কাল দেখেছি এক মেয়ে ওটাকে আদর করতে নিয়ে গেছে.....। ও'র তো খুব মন খারাপ!!
এর পর কয়েকদিন কুত্তাটা সেখানে ছিল না......। পরিচ্ছন্নকর্মীরা বক্সটাও সরিয়ে নিয়েছিল।
আজকে আবার বান্ধবীসহ যাচ্ছি ওই পথে! রাস্তার একটু দূরে মাঠের ভিতরে আবার কুত্তার বাসা। ফিরে এসেছে.....।
আমার রুম নাম্বার!
চীনের প্রায় সব স্টুডেন্ট ডর্মে প্রাণী লালন-পালন নিষেধ। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় অনুমতি আছে। আর আমার বান্ধবী এখন রিসার্চ করছে, স্টুডেন্ট ডর্মে প্রাণী(কুত্তা) রাখার সুবিধা-অসুবিধা কি কি? এটাকে তার গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে!!
চায়না ইউনিকমের ১৬মেগাবাইট পার সেকেন্ড স্পিডের ইন্টারনেট ব্যবহার করছি
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন