somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সংসার সুখের হয় রমণী (নর+নারী) এর গুনে (বিশ্বাসে)............

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বি:দ্র: লিখাটা পক্ষপাত দুষ্টে দুষ্ট ;)

সিজনাল ফ্লু ম্লু নিয়ে কিছুটা মাইনকার চিপায় থাকাতে ফেসবুকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলাম ক'দিন এবং বহুবিধ রোমাঞ্চকর বহুবিধ ঘটনা মিস্ করেছি। যেমন সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের ডিভোর্স, পরিমনির ফেসবুক স্ট্যাটাস বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়ে, শাকিব খানের নতুন থ্রেট.......। এখন কেউ যদি বলে আমি শুধু শোবিজ নিয়া রাতদিন পইরা আছি তাহলে উত্তর হলো স্বভাব। কারন আমরা অন্যের সংসারে নাক ঢুকাতে খুব পছন্দ করি। এই যেমন, ননদ তার নিজের সংসার জীবনে ছ্যাড়াব্যাড়া, স্বামী তাকে বাঁশের ডগায় রাখে কিন্তু ভাইয়ের সংসারে বাজার থেকে কেরোসিন কিনে এনে আগুন ধরায়। আর ফেসবুকের কল্যাণে এখনতো সবার সংসারের খবর এখন ঘরে ঘরে। তাইতো সংসারের সকল অশান্তির সমাধান বলতে গেলে এখন ফেসবুক কেন্দ্রিক। এই যেমন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া তারপর বিশাল স্ট্যাটাস ফেসবুকে.........। ব্যাস নেটবাসী ঝাঁপায়ে পরে তারপর তাদের ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা।

পরিমনিকে অভিনেত্রী হিসেবে নয় একজন নারী হিসেবে আমি পছন্দ করি। কারন, প্রথার বিরুদ্ধে, অসম শক্তির বিরুদ্ধে, পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে একজন নারীর লড়াইকে আমি বরাবরেই স্যালুট জানাই। ব্যাক্তি জীবনে মেয়েটি কি কেন তার হিসাব নিকাশ ভিন্ন কারন তার দিকে আঙ্গুল তোলার আগে পুরুষদের নিজেদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিত। একটি মেয়েকে এ পর্যায়ে কে বা কারা বা কেন এনেছে তার হিসাব নিকাশ ও নেয়া উচিত।

যাহোক যা বলছিলাম, "সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে" এ কথাটা শুনেন নাই এমন নারীকূল কমই আছে। আগের দিনে বড়লোকের উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে মানেই যেতো বাইজিখানায়। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, মুসলিম/হিন্দু আইনের মারপ্যাচে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত মেয়েদের বাবা-মার সংসারে তেমন কোন ঠাই ছিল না। তাই স্বামীর সংসারেই ছিল জীবন মরন। তাই স্ত্রীকে জীবিত রাখতে কিংবা অর্ধমৃত রাখতে অথবা তাহাদের কুকীর্তির পরও বশে আনতে বিভিন্ন ডায়ালগ তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হতো যাহাতে তাহারা কোনভাবেই স্বামীর বিরুদ্ধাচরন না করতে পারে। যাহোক, দিন এখন পাল্টেছে। আগের দিনের সে সস্তা ডায়ালগ বা সেন্টিমেন্ট দিয়ে এখন আর মেয়েদের বশে আনা যায় না। কারন মেয়েরা এখন শিক্ষিত, স্বাবলম্বী, নিজের অধিকার নিয়ে যথেস্ট সচেতন। আর স্বামী প্রবরের হালের বাইজীখানা মানে ফেসবুক মার্কেট প্লেসের খবর কমবেশী স্ত্রীদের কানে সহজেই পৈাছে যায়।

এই যেমন গায়িকা শাকিরার মতো এমন সুন্দরীর বর পিকের খবর কিংবা শোয়েব মালিকের সাথে আয়েশা ওমরের সম্পর্কের খবর সানিয়া মির্জার কানে অথবা পরিমনির কানে মিমের কথা পৈাছাতে তেমন সময় নেয়নি কারন তারা সেলিব্রেটি। যদিও আপনার স্বামী সেলিব্রেটি নন তারপরও তার কথা নিশ্চয় পৈাছাবে আপনার কানে কোন না কোন ভাবে। এখন কথা হলো আপনিও তো আর সেলিব্রেটি নন যে এক কান্নার ভিডিও পোস্ট করবেন তারপর আপনার জন্য নেটবাসী ঝাঁপিয়ে পড়বে!! তাহলে আপনার করণীয়??

"বিশ্বাস".......... সিম্পল "বিশ্বাস"। যে সংসারে বিশ্বাস নেই সে সংসারে রমণীর শত গুনও কোন কাজে দেয় না। আপনার স্বামী আপনার বিশ্বাসের ডুগডুগি বাজাবেন আর আপনি পতি পরম গুরু বলে প্রনাম করবেন......... সেটা কি একটু বেশীই হয়ে যাচ্ছে না! কোথায় যেন লিখা পড়েছিলাম যে নিয়মকরে স্বামী/স্ত্রীর ম্যাসেজ চেক করা উচিত। আমি বলেছিলাম সে লিখায়, না, কখনই নয়। যে সম্পর্কে বিশ্বাস থাকে না সে সম্পর্কে নিয়মকরে ম্যাসেজ চেক করে সম্পর্ক দৃঢ় করা যায় না। ম্যাসেজ তখনই চেক করা উচিত যখন ভাববেন এ সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত নেই, এ সম্পর্কে কোন বিশ্বাস নেই অথবা নিজের সন্দেহ থেকে বের হবার জন্য।

জ্ঞানদান শেষ তবে জানিয়ে রাখি লিখাটা আমি লিখেছি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক ও ব্লগার শেরজা তপন ভাই এর "পুরুষ হবার যন্ত্রনা" লিখাগুলো পড়ে। এবং এর সাথে জানিয়ে রাখি আমি নারী হিসেবে তার সাথে আমিও ব্যাথিত।


ইয়ে মানে ছবি দিলাম ভিউ বাড়ানোর জন্য থুক্কু নয় B-))
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×