১. পহেলা বৈশাখ এলেই ক্ষুদ্র একটা জনগোষ্ঠী নড়ে চড়ে বসে। তথাকথিত প্রগতিশীল, মুক্তমনা, ধর্ম নিরপেক্ষরা দাবী করে পহেলা বৈশাখ হল একমাত্র অসাম্প্রদায়িক উৎসব। ভাল কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান কখনোই বলেনি যে, পহেলা বৈশাখ ধর্মীয় কোন উৎসব। বরং ঐ সব তথাকথিত ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বছরের পর বছর কিছু বিশেষ উপাদান যোগ করে জোর করে ঐতিহ্য, চেতনা ইত্যাদি নাম দিয়ে সাধারণ জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
২. আমার প্রশ্ন হল, বাকী ৩৬৫ দিন আমরা জাতি হিসেবে কী এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ করি যে, এই দিনকে এতটা হাইলাইট করতে হবে? আমরা কি –
• অমুসলিমদের ধর্ম চর্চায় বাধা দিচ্ছি?
• আমাদের দেশে কি শরীয়াহ আইন চালু হয়েছে?
• আমাদের দেশে কি অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের উৎসবে ছুটি পায় না?
• আমাদের দেশে কি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন বৈষম্য করা হয় নন-মুসলিমদের সাথে?
৩. পহেলা বৈশাখে উৎসব হবে না কেন? এটা তো আবহমান কাল ধরে উৎসবই! মেলা, হালখাতা, খেলাধূলা, নৌকা বাইচ ইত্যাদি তো এমনিতেই ছিল। কিন্তু এটাকে নতুন করে, নতুন নামে, নতুন উপাদান দেয়া হচ্ছে কেন? ঐসব উপাদান না হলে চেতনা বিরোধী, ঐতিহ্য বিরোধী ট্যাগ দেয়া হবে কেন? ঐসব উপাদানের বিরোধীতা করলেই সাম্প্রদায়িক বলা হবে কেন?
৪. বরং, যেসব গোষ্ঠী ঐসব নতুন উপাদান ছাড়া, ঐসব স্থান ছাড়া, ঐসব খাবার ছাড়া পহেলা বৈশাখ পালন করতে নারাজ তারাই এক ধরনের মৌলবাদী, এক ধরনের সাম্প্রদায়িক। একটা বিজ্ঞানমনস্ক লোককে দেখলাম না এই দিনকে নিয়ে তৈরি করা অবৈজ্ঞানিক ব্যপারগুলো নিয়ে মতামত দিতে। একটা চ্যানেল মালিককে দেখলাম না উদ্ভট, বিকৃত মুখোশগুলো এড়িয়ে খবর প্রচার করতে। কেউই ট্যাগ খেতে চাইছে না। আমিও ছদ্মনামে লিখে পার পেয়ে যাচ্ছি…
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৫