somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভৃগু মুনির সাতকাহন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!
আমি চির-বিদ্রোহী বীর -
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
(সংক্ষেপিত)

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিদ্রোহী কবিতায় এই একটা লাইন নিয়ে আলাপ উঠেছিল শ্রদ্ধেয় একজন নজরুল গবেষকের সামনে। অত:পর এই এক লাইন বুঝতেই পাঠ করতে হয়েছিল –ভৃগুর সাতকাহন।

কে এই ভৃগু? কেন তিনি ভগবানের বুকে পদচিহ্ণ রেখেছিলেন। প্রশ্ন থেকেই শুরু অন্বেষার। প্রথমেই খুঁজে পাই
ভৃগুর শাব্দিক অর্থ :ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {ঋষি | হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}

ভৃগু নিয়ে ধর্ম শাস্ত্র যা বলেছে তার শুরুতেই পাই ভৃগু কর্ত্তৃক মনু-সংহিতা কথনারম্ভ-

“ততস্তথা স তেনোক্তো মহর্ষিমনুনা ভৃগুঃ ।
তানব্রবীদ্ ঋষীন্ সর্বান্ প্রীতাত্মা শ্রূযতামিতি ।।৬০”

অর্থ: অনন্তর মহর্ষি ভৃগু ভগবান মনু কর্ত্তৃক এই প্রকার অভিহিত হইয়া ‘শ্রবণ করুন’ বলিয়া তাঁহাদিগকে বলিতে লাগিলেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে– প্রজাপতি, ঋষি এবং ভার্গব বংশের প্রতিষ্ঠাতা। ভৃগুকে ধনুর্বেদ বিদ্যার জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।



একবার ব্রহ্মা বরুণের একটি যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করলে, ভৃগু উক্ত যজ্ঞ থেকে জন্মগ্রহণ করেন। এঁর স্ত্রীর নাম ছিল পুলোমা। উল্লেখ্য, ভৃগুর স্ত্রী হওয়ার পূর্বে পুলোমা নামক এক রাক্ষস এঁকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু পুলোমা'র পিতা রাক্ষস-পুলোমার হাতে কন্যাকে সমর্পণ না করে ভৃগুর সাথে বিবাহ দেন। ফলে রাক্ষস ভৃগুপত্নীকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একবার গর্ভবতী পুলোমাকে ঘরে রেখে ভৃগু স্নানে যান। ভৃগু যাবার সময় ঘরের অধিষ্ঠিত অগ্নির উপর স্ত্রীর রক্ষাভার দিয়ে যান। এই সুযোগে রাক্ষস পুলোমা ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করতে আসেন। তিনি অগ্নির কাছে প্রশ্ন করেন যে, পূর্বে আমি এই কন্যাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য মনে মনে বরণ করেছিলাম। এরপর ভৃগু একে স্ত্রী হিসাবে লাভ করেন। আইনত পুলোমা (ভৃগুপত্নী) তাঁরই স্ত্রী হওয়া উচিৎ। উত্তরে অগ্নি বলেন যে,– যেহেতু মন্ত্রপাঠ করে তুমি তাঁকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর নি তাই সে তোমার স্ত্রী নয়। এরপর রাক্ষস বরাহরূপ ধারণ করে, ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে ভৃগুপত্নী'র গর্ভস্থ সন্তান চ্যাবন ভূমিষ্ট হয় এবং চ্যাবনেরর তেজে এই রাক্ষস ভস্মীভূত হয়। ভৃগু গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর, কেন অগ্নি তাঁর স্ত্রী পুলোমাকে রক্ষা করেন নাই, এই কারণে অগ্নিকে 'সর্বভুক্ হও' অভিশাপ দেন। এরপর অগ্নি নিজেকে অগ্নিহোত্র যজ্ঞ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। ফলে দেবতারা হব্য থেকে বঞ্চিত হতে থাকলে- ব্রহ্মা অগ্নিকে বলেন যে, কেবলমাত্র গুহ্যদেশের শিখা ও ক্রব্যাদ (মাংসভক্ষক) শরীর সর্বভুক হবে এবং মুখে যে আহুতি দেওয়া হবে, তাই দেবগণের ভাগরূপে গৃহীত হবে।
[মহাভারত, আদিপর্ব, পঞ্চম-সপ্তম অধ্যায়। ] ১

বিষ্ণুপুরাণের মতে– ইনি ব্রহ্মার মানস পুত্র। মনু সংহিতার মতে ইনি দশজন প্রজাপতির অন্যতম। ইনি কর্দমের কন্যা খ্যাতিকে বিবাহ করেছিলেন। খ্যাতির গর্ভে তাঁর দুটি পুত্র এবং একটি কন্যা জন্মে। দুই পুত্রের নাম ছিল– ধাতা ও বিধাতা এবং কন্যার নাম ছিল লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর সাথে বিষ্ণুর বিবাহ হয়।
[বিষ্ণুপুরাণ। দশম অধ্যায়। ভৃগু আদি বংশ পর্যায়]

কবার বীতহব্য নামক এক রাজা প্রতর্দন নাম এক রাজপুত্রের কাছে পরাজিত হয়ে ভৃগুর শরণাপন্ন হন। প্রতর্দন পরাজিত শত্রুকে খুঁজতে খূঁজতে ভৃগুর আশ্রমে এলে– ইনি বীতহব্যকে রক্ষার করার জন্য বলেন, তাঁর আশ্রমে ব্রাহ্মণ ভিন্ন কোন ক্ষত্রিয় নাই। ভৃগুর এই বাক্যের প্রভাবে বীতহব্য ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেন। একবার দেবতারা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মধ্যেকে শ্রেষ্ঠ কে, তা জানার জন্য ভৃগুর শরণাপন্ন হন। ভৃগু এই তিন দেবতাদের পরীক্ষার জন্য প্রথমে ব্রহ্মার কাছে যান। ইনি ইচ্ছা পূর্বক ব্রহ্মার প্রতি সম্মান না দেখালে, ব্রহ্মা তাঁর প্রতি তীব্র ক্রোধ প্রকাশ করেন। পরে স্তব দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে মহাদেবেরর কাছে যান। মহাদেবকে সম্মান না দেখানোর কারণে, মহাদেব তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হন। এবারও ভৃগু স্তব করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন। এরপর ইনি বিষ্ণুকে পরীক্ষা করার বিষ্ণুর আবাসস্থল গোলকধামে যান। সেখানে বিষ্ণুকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখে ইনি বিষ্ণুর বক্ষে পদাঘাত করেন।


বিষ্ণু ঘুম থেকে জেগে উঠে ভৃগুর পায়ে আঘাত লেগেছে মনে করে তাঁর পদসেবা করতে থাকেন। এরপর ভৃগু বিষ্ণুকেই শ্রেষ্ঠ দেবতা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। উল্লেখ্য এরপর থেকে বিষ্ণুর বুকে ভৃগুর পদচিহ্ন আঁকা রয়েছে।


ভগবান শ্রী বিষ্ণু বা গোপালের বিগ্রহ তৈরি করা হয় তখনি ভগবানের ডান বক্ষের দিকে ভৃগু মুনির চরন অংকন করা হয়। ভৃগু মুনির চরন ছাড়া গোপাল ঠাকুরের বিগ্রহ হয় না।


হিন্দু পুরাণে বিখ্যাত বা কুখ্যাত অভিশাপগুলোর কাহিনীতেও ভৃগু, তাঁর পত্নী, সন্তানদের প্রসংগ এসেছে বহুভাবে।

একবার দেবতা ও দৈত্যদের দুর্দান্ত যুদ্ধ চলছিল | দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে সুরকুল বীরবিক্রমে এগিয়ে চলেছে | ক্রমশ পশ্চাদপটে চলে যাচ্ছে দৈত্য বংশ | তাঁদের গুরু শুক্রাচার্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন মহাদেবের নিকট | তাঁর কৃপা প্রার্থনা করলেন | যাতে যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনা যায় মৃত সঞ্জীবনী সিদ্ধি |
শুক্রাচার্য চলে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ল অসুরদের আবাস স্থল | এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন দেবতারা | দিকভ্রান্ত হয়ে দৈত্যরা গেলেন ভৃগুপত্নীর কাছে | পুরাণে কোথাও তিনি কাব্য | কোথাও দিব্য | তিনি আচার্য শুক্রের মাতা | তাঁর কাছে বরাভয় ও আশ্রয় প্রর্থনা করলেন দৈত্যকুল |
ভৃগুপত্নী আশ্বস্ত করলেন দৈত্যদের | ঐশী ক্ষমতায় দেবতাদের তিনি স্থবির করে দিলেন | চলৎশক্তিহীন হয়ে স্থানুবৎ রইলেন দেবতারা | সেই সুযোগে পাল্টা আঘাত হানলেন দৈত্যরা | লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল স্বর্গলোক |
চলন শক্তিহীন দেবতারা মনে মনে প্রার্থনা করলেন ভগবান বিষ্ণু সমীপে | ভগবান বুঝলেন তাঁকে খুব সাবধানে অগ্রসর হতে হবে | কারণ ভৃগুপত্নী একজন নারী | বিষ্ণু দেবতা হয়ে একজন নারীকে আঘাত করতে পারেন না | এদিকে ভৃগুপত্নীর মৃত্যু না হলে দেবতারা চলনক্ষম হবেন না |
শ্রী বিষ্ণু এরপর ভয়ঙ্কর পশুর রূপে আক্রমণ করলেন ভৃগুপত্নীকে | আচার্যানী বুঝলেন তাঁর সামনে অবতাররূপী স্বয়ং বিষ্ণু | কিন্তু তিনি অভিশাপ দেওয়ার আগেই বিষ্ণু তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন সুদর্শন চক্রে |
নিহত স্ত্রীর নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন আচার্য ভৃগু | কমণ্ডলু থেকে মন্ত্রপুত জলের স্পর্শে |
ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রী বিষ্ণুকে অভিশাপ দেন | তিনি যে অবতার রূপে বধ করেছেন এক নারীকে‚ সেই অবতারেই তাঁকে আবির্ভূত হতে হবে | একবার নয় | বারবার অবতীর্ণ হতে হবে ধরাধামে | তার মধ্যে থাকবে মনুষ্য জন্মও | তাঁকেও ভোগ করতে হবে জীবনের দুঃখ কষ্ট |
ভৃগুর অভিশাপেই বিষ্ণুর দশাবতার | তবে সেখানেও তিনি নারী হন্তারক | রামচন্দ্র অবতারে বধ করেছেন তারকা রাক্ষসীকে | শ্রীকৃষ্ণ অবতারে হত্যা করেছেন পুতনাকে | অর্থাৎ অধর্মকে পরাস্ত করে ধর্ম সংস্থাপনার্থায় নারীও অবধ্য নয় |
চিরাচরিত ভাবে দেবতাদের আচার্য হয়ে থাকেন বৃহস্পতি | দৈত্যদের গুরু শুক্র | দুই পক্ষের বিরোধ পুরাণের ছত্রে ছত্রে |
মহর্ষি ভৃগু ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র | ঋক বৈদিক যুগে তিনি মনুর সমসাময়িক | মনুর সন্তান হল মানব | ভৃগুর সন্তানদের বলা হয় ভার্গব |

বৈদিক জনপদ ব্রহ্মবর্তে দোশি পর্বতে বধূসার নদীর পাশে ছিল তাঁর আশ্রম | এখন এই অঞ্চল পরে রাজস্থান হরিয়ানা সীমান্তে | স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী‚ ভৃগু পরে চলে যান ভৃগুকচ্ছে ( আজকের গুজরাতে‚ নর্মদা নদীর পাশে )‚ জায়গাটির নাম কালক্রমে হয়ে দাঁড়ায় ভারুচ |
ভৃগুর এক পত্নী হলেন দক্ষকন্যা খ্যাতি | তাঁদের দুই পুত্র হলেন ধাতা ও বিধাতা | কন্যার নাম ভার্গবী | যিনি আবার বিষ্ণুপত্নী | আর এক পত্নী কাব্যমাতার পুত্র হলেন শুক্র | যিনি আবার শুক্রাচার্য রূপে অসুরদের গুরু হন | ভৃগুর পত্নী পুলোমা জন্ম দেন ঋষি চ্যবনের | আবার ভৃগুর এক পুত্র হলেন জমদগ্নি | যিনি আবার পরশুরামের পিতা |
প্রসঙ্গত বিষ্ণু ব্যতীত ত্রিদেবের ব্রহ্মা ও মহেশ্বরকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন ভৃগু | সে বিষয়ে পূর্বে উল্লেখ করেছি | আর একটি কথা জানিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় | এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি সূত্র থেকে সূত্রান্তরে পরিবর্তিত হয় | পাঠকের যদি মনে হয় দেবতার বিপরীতে মনুষ্য-ঔদ্ধত্যের এই আখ্যান ভিত্তিহীন‚ তবে বলে রাখি এর উৎস মৎস্যপুরাণ | ২


ছোটকাল থেকে আমরা যে সপ্তর্ষীমন্ডলের কথা শুনে এসেছি, বা দেখেছি আগ্রহ ভরে আকাশের দিকে চেয়ে- সেই সপ্ত ঋষির একজন ছিলেন ভৃগু। হিন্দু পুরাণের নানা উৎসে সাত ঋষির নাম পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে | সাত ঋষি হলেন ভৃগু‚ অত্রি‚ অঙ্গীরা‚ বশিষ্ঠ‚ পুলস্থ্য‚ পুলহ ও ক্রতু |

পৃথিবীতে যতপ্রকার কঠিন ও দুর্বোধ্য শাস্ত্র রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র তার মধ্যে অন্যতম একটি শাস্ত্র । সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের জন্য যত প্রকার শাস্ত্র পৃথিবীতে আছে তার মধ্যে জ্যোতিষ শাস্ত্র অন্যতম। অতীব আকর্ষনীয় ও বিষ্ময়কর শাস্ত্র। দর্শন কলা , বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার গবেষণায় মহামিলন ঘটেছে এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে। বাস্তুশাস্ত্র এটিও জ্যোতিষ শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত । জ্যোতি এর সাথে ঈশ ধাতু যুক্ত হয়ে জ্যোতিষ হয়েছে। জ্যোতি মানে আলো তাহলে জ্যোতিষ মানে হয় জ্ঞানের আলো। যে প্রদীপের আলোক শিখা যত বেশি প্রসারিত থাকে সেই প্রদীপ তাতো দূর আলোকিত করতে পারে অর্থাৎ যত জ্ঞান ততই দূরদর্শিতা। তাই জ্যোতিষ কে বেদ এর চক্ষু ও বলা হয়েছে।
মনু স্মৃতি মতে,মহর্ষি ভৃগুই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। এবং তাঁর সেই জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘ভৃগু সংহিতা’য়। প্রথমে তিনি ৫ লাখেরও বেশি ভবিষ্যতবাণী লিপিবদ্ধ করেন বলে জানা যায়। এটা স্মর্তব্য যে মহর্ষি ভৃগু রচনা করেছেন জ্যোতিষ-সহ অন্যান্য শাস্ত্রের প্রামাণ্য আকর গ্রন্থ ভৃগুসংহিতা |
কয়েক জনমেও জ্যোতিষ শাস্ত্রের সব জ্ঞান জানা সম্ভবপর নহে । জন্ম জন্মান্তরের বিষয় এটি । চর্চাই জ্ঞানের ধারক ও বাহক । সংযম ও মহাসাধনা ছাড়া এক জনমে এই শাস্ত্র আয়ত্ব করা সম্ভব নয়।


নটে গাছটি মুড়ালো
ভৃগু মুনির সাতকাহন ফুরালো :)

এই বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও আছে ইউটিউবে। জানতে চাইলে দেখতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=L_xbg98LTbg

কৃতজ্ঞতা:
http://onushilon.org/myth/hindu/vrigu.htm
Click This Link

সকল তথ্য অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
সকল ছবি সূত্র: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×