somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩ এপ্রিল, ২০১৫ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে- বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। আর বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সন। তাহলে কি করে তার প্রবর্তিত ফসলী সন- বাংলা সন ও বাঙালিদের সন হতে পারে? ফসলী সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। তাহলে তা কি করে হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? উল্লেখ্য, মূর্খতা ও অজ্ঞতার একটা স্তর থাকা উচিত। এই শ্রেণীর মূর্খ ও অজ্ঞ সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক দাবিদার লোকদের দ্বারা ইতিহাসকে বিকৃত করা ও বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করা ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। আর বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সন। তাহলে কি করে তার প্রবর্তিত ফসলী সনটি বাংলা সন ও বাঙালিদের সন হতে পারে? ফসলী সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। তাহলে তা কি করে হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? উল্লেখ্য, মূর্খতা ও অজ্ঞতার একটা স্তর থাকা উচিত। এই শ্রেণীর মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের দ্বারা গুমরাহী ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মোগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ হতে ১৬০৫ ঈসায়ী সন) ইসলামবিদ্বেষী হওয়ার কারণে পবিত্র ইসলামী সন অর্থাৎ পবিত্র হিজরী সন থেকে মুসলমানগণ উনাদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দিল্লির সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরীর ২রা রবীউছ ছানী, রোজ জুমুয়াবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ সন থেকে পহেলা বৈশাখ গণনা শুরু করে। ওই দিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তার সাম্রাজ্যে সর্বত্রই পবিত্র হিজরী সনের পরিবর্তে সৌর বৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিভাবে দিনটির ক্ষণ শুভ হবে তা গণনার জন্য রাজসভার অন্যতম নবরতœ সদস্য ও রাজ জ্যোতিষী আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর উপর দায়িত্ব পড়ে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ আকবর চেয়েছিলো ‘মৌসুমী ফসলের খাজনা আদায়ে সুবিধা হবে’- একথা বলে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনকে ‘ফসলী সন’ হিসেবে চালু করা। যাতে মুসলমানগণ পর্যায়ক্রমে হিজরী সন ভুলে এই ফসলী সনের দিকে রুজু হয়। নাউযুবিল্লাহ! পরবর্তীতে কিছু অজ্ঞ ও মূর্খ লোক সে ফসলী সনকে বাংলা সন হিসেবে প্রচার ও প্রচলন করে। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মুতাবিক ১০ মার্চ ১৫৮৫ ঈসায়ী সনে এবং তা কার্যকর করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ ঈসায়ী মুতাবিক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে- বাদশাহ আকবর এদেশীয় বাঙালি ছিলো না বা বাংলাভাষীও ছিলো না; এমনকি বাংলাদেশীও ছিলো না। সে ছিলো মোগল বংশোদ্ভূত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পরবর্তীতে হিন্দুরা তাদের মনগড়া হিন্দুধর্মের ধর্মীয় ভাবধারার সাথে পহেলা বৈশাখকে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত করে নেয়। অর্থাৎ হিন্দুরা ফসলী সনকে হিন্দুয়ানী সন হিসেবে গ্রহণ করে তাদের পূজাগুলিকে ফসলী সনের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। যে কারণে তারা পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্রসংক্রান্তি পালন করে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এরপর এর সাথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত হয়ে পড়ে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একজন মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু পহেলা বৈশাখ কেন কোনো নববর্ষই পালন করতে পারে না। কারণ মুসলমানগণ উনাদের জন্য কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, ইহুদী ও নাছারাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা কাট্টা হারাম ও শক্ত কুফরী। তাই মুসলমানরা নববর্ষ হিসেবে পহেলা মুহররম শরীফও পালন করে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানগণ উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- পহেলা বৈশাখের নামে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার অনুষ্ঠান ও তার মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার পাপাচার থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি মুসলমানগণকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে সন্ত্রাসবাদ, বোমা হামলাসহ সব ধরনের নাশকতা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শক্ত ও কঠিন হারাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব বা মুহব্বত রাখবে, তাদের তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে। নাউযুবিল্লাহ!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×