শিক্ষকতাকে বলা হয় মহান পেশা। শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক বাবা-মায়ের সন্তান হিসাবে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নটাই লালন করেছি সেই ছোট্টবেলা থেকে। বাবা ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মা পেশায় শিক্ষক ছিলেন না বটে, কিন্তু আমার প্রথম শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, প্রিয় শিক্ষক। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনে হত, স্কুলের পড়া শেষ করে, ২ বছর উচ্চমাধ্যমিক আর ২ বছর ডিগ্রী, তারপর বাবার মত স্কুলে শিক্ষকতা করব।
স্কুল পাস করেছি আজ ১৬-১৭ বছর, আজো পড়া শেষ হ্য়নি। দয়া করে কেউ আমাকে আদু ভাই মনে করবেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালিন ৩ বছর সেষনজট ছারা বাকি এক একটা বছর মানে এক একটা একাডেমিক বছর। এখন আমি পি এইচ ডি করছি, ২০১৩-২০১৪ সালে শেষ হবে আশা করি।
সে যাই হোক, বলতেছিলাম শিক্ষকতা নিয়ে। ২০০৭ সাল, এম এস প্রায় শেষের দিকে, বন্ধুরা সব বি ছি এস প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাস্ত, কেউবা ব্যংকে জব শুরু করে দিয়েছে, বাকি কয়েক জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চেষ্টা করছেন। আমিও তাদের সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য চেষ্টা করা শুরু করলাম। ৩টাতে ইন্টারভিও দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল, কিন্তু হয়নি। (ইংরাজী ভিষন দূর্বল! পড়াব ফিজিক্স, তাতে ইংরাজী এক আধটু দূর্বল কি আসে যায়।)
তার পর কেটে যায় আরো ২ টি বছর। শিক্ষকতা করার প্রথম সুযোগ হয় ২০০৯ সালে, আমেরিকার সিরাকিউস বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে (আমেরিকাতে সামার কোর্সগুলোতে সাধারনত পি এইচ ডি ছাত্রদের সুযোগ দেয়া হয় শিক্ষকতা করার জন্য)। যদিও ৬ সপ্তাহের কোর্স, তবুও অনেক মজা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটিবারের জন্যও মনে হ্য়নি, আমি ইংরাজীতে দূর্বল। এর পর আরো একটা সেমিষ্টার পড়িয়েছি শিক্ষকের সহকারী (টি এ) হিসাবে। তারপর রিসার্চ এসিস্টেটসীপ পেয়ে যাই, এখনো তাই আছি।
ভবিষ্যতে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চাই, যেই শিক্ষক হবে না কোনো রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষক, যেই শিক্ষকের মাঝে থাকবে না সাম্প্রদায়িকতার ছোয়া - ছেলে-মেয়ে, হিন্দু-মুসলিম বলে যে শিক্ষকের মাঝে থাকবে না কোনো বিভাজন।