নদী গঙ্গা, হিন্দুর বলে তাদের দেবী। আসলে দেবী কিনা জানি না কিন্তু হিন্দুরা সব পূজায় এই জল পবিত্র হওয়ার জন্য ব্যবহার করে।অন্য কোন ধর্মে কোন কাজে গঙ্গাজল ব্যবহার করে কিনা জানি না।
কলকাতা,পুরন দিনে গঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা বাজার কিন্তু বর্তমান দিনে ভারতের চারটি প্রধান শহর এর মধ্যে একটি।ইতিহাস বই এ কবে যেন পড়েছিলাম মানুষ প্রথম জলপথে চলাচল শেখে। তারপর আস্তে আস্তে চাকা আবিস্কার করে তারপর জানবাহন আবিষ্কার করে।তাই এখনকার সব বড় বড় শহর নদীর কূলে অবস্থিত। শুধু কলকাতা নয় পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় সকল বড় বড় শহর রয়েছে নদী বা সমুদ্রের পাশে।কলকাতা যে গঙ্গা নদীর পাশে অবস্থিত তাকে আবার ভূগোল এর পাতায় নাম দিয়েছে ভাগীরথী। কলকাতা যে কিনা ভারতবর্ষের এক সময়কালের রাজধানী ছিল কিন্তু এই শহর টা যে কত পুরন তা ঠিক বলতে পারব না।কিন্তু রামায়ণ মহাভারত, কোরান, বাইবেল এসব মহান গ্রন্থে এই কলকাতার নামটি কোথাও শোনা যায় নি।গঙ্গার পাশে শুধু কলকাতা ই নয় রয়েছে একটি উল্লেখযোগ্য মন্দির ও।নাম দক্ষিনেশ্বর।মন্দিরটা নাকি খুব পুরন প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থী আসে।শুনেছি মন্দিরের পাশের গঙ্গা নদীতে স্নান/গোসল করে মন্দিরে পূজা দিলে সকল পাপ কেটে যায়।পাপ কাটি কিনা জানি না কিন্তু এই ধর্মস্থানে আসে একেক জন একেক উদ্দেশ্যে।কেউ আসে অন্ধ বিশ্বাস কে মাথায় করে সকল পাপ গঙ্গা জলে ধুয়ে দিতে।তাদের পাপ ধোয় কিনা জানি না কিন্তু দাদু দিদার মুখে শুনেছি"কিছু করিলে কিছু হয়" আমিও পাপ ধোয়ার ব্যাপারে সেই বিশ্বাসে আছি, কিছু করিলে কিছু হয়।কেউ কেউ আসে পূর্ণ যুবতির স্নান করা সিক্ত অর্ধনগ্ন শরীর দেখতে।কিন্তু এখানে ঠিক ঐ তত্ত্ব টা মানতে পারি না।কিছু করিলে কিছু হয়,কিন্তু মেয়েদের সিক্ত অর্ধনগ্ন শরীর দেখিলে যে কি হয় তা আমি এখন ও আবিস্কার করতে পারি নাই।কারোকাছে জিজ্ঞেস করার সাহস হয়ে ওঠে নি।মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম কিছুই নেই।তারাও সুযোগ পেলে দেখে নেয় পূর্ণ যৌবন ভর্তি যুবকদের।পুন্নি লাভের আসায় অনেক ভক্তরা গঙ্গায় খুচরা পয়সা দান করে আসে।প্রায় সব ধর্মে দেখেছি স্রিষ্টিকর্তার আর্শীবাদ,দোয়া ইত্যাদি পাওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে।কিন্তু সেই অর্থ কোথায় যায়,আদৌ স্রিষ্টিকর্তার কাছি পৌছয় কিনা তা জানি না জানার আগ্রহও নেই। এই কাজটি হল সরকার কে কর দেওয়ার মত,কর দিচ্ছি প্রতি বছর কিন্তু তাতে জনগনের কাজ হচ্ছে কিনা তা কেউ জানে না, জানার সময় নেই, সরকারি লোকের কাজ তারা করবে, আমাদের জেনে কি হবে ইত্যাদি।কিন্তু ঐ অর্থ যা গঙ্গাজলে দান করা হয় তা কারো কাজে না কারো কাজে তো আসতেই হয়,তাই দেখলাম স্থানীয় কিছু যুবক ছেলে দড়িতে চুম্বক বেধে মন্দিরের পাশে গঙ্গানদীতে ছুড়ে মারে আবার টেনে তোলে।এতে দেখলাম মাঝে মাঝে দুএকবার দুএকটি করে পয়সা উঠছে তাতেই তারা খুব খুশি হয়। এই চুম্বক দিয়ে পয়সা তোলাটা অনেক দিন ধরে চলছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারি নাই এই চুম্বক দিয়ে পয়সা তোলাটা কি তাদের বংশগত পেশা মাকি বেকারত্বের প্রমান।যাই হোক কলকাতার গঙ্গায় এখন আর বেশি গভীরতা নেই।নদীতে কিছু জেলে থাকে বেশি মাছ পায় না কিন্তু তারা তাতেই খুশ নদীটি এত বিশ্বাসের, কিন্তু আমার মনে হয় অন্যান্য নদীর তুলনায় এই নদীর একটু বেশি ময়লা আবর্জনা পরিবহন করতে হয়।লোক পূজা দিয়ে ফুল বেলপাতা ই শুধু নয় পুরো কলকাতার সকল ড্রেনের জল ময়লা সব গিয়ে পড়ে ঐ গঙ্গায়।কিন্তু আশ্চর্যকথা এই যে এই গঙ্গার নোংরা জল খেয়েও কেউ কোনদিন অসুস্থ হয়েছে এমন কথা শোনা যায় নি।
আগে একটি অ্যাকাউন্ট ছিল কিন্তু জিমেইল ঠিক ছিল না তাই নতুন অ্যাকাউন্ট খুললাম ও পুরন অ্যাকাউন্ট থেকে কপি করে প্রকাশ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬