গোয়েন্দা গল্প অপুদা এর চাবি রহস্য সমাধান তৃতীয় পর্ব
পরদিন আমরা জাদুঘর ও ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখলাম। জাদুঘর এর মধ্যে দেখি পুরন দিনের হাড়ি কলসি, পাথর,তরবারি, মুদ্রা ইত্যাদি। অপুদা বলল ঐ পাথর দিয়ে নাকি বন্দি সিপাহি দের শাস্তি দেওয়া হত।তারপর দুপুরের খূবার খেয়ে বিকেলবেলা হোটেলে চলে এলাম।তারপর ও বাগেরগাটের বিভিন্ন যায়গা দেখেছিলাম। অপুদা বলে ইতিহাসের উপর তার কোন ইন্টারেস্ট নেই কিন্তু দর্শনীয় স্থান দেখতে ভাল লাগে।আমরা তাই ছুটি পেলেই বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে যাই।
হোটেলে থাকলে মাঝে মাঝে ডি দাস দের হোটেলে বেড়াতে যেতাম বিভিন্ন গল্প হত কিন্তু সব ব্যবসা বিষয়ক। একদিন দুপুরবেলা ডি দাস ফোন করল।অপুদা ফোনটি ধরল এবং বলল
অপুদা:হ্যাল
ডি দাস:হ্যাল আমি পাশের হোটেল থেকে ডি দাস বলছি।
অপুদা: ও, বলুন বলুন।
ডি দাস: আমাদের সাথে ঘন্টা খানেক পর ষাট গম্বুজ এ যেতে পারবে?
অপুদা: কেন।আমরা তো ওদিকটা সেরে এসেছি।
ডি দাস:না মানে ছোট ছেলে আর ছেলেবউ ঐ দিন মিস করেছে,তাই ভাবলাম তোমাদের বলে দেখি যদি যাও।
অপুদা:ওকে তৈরি হয়ে আপনাদের হোটেলে আসছি।
ডি দাস: ওকে।
আমরা রেডি হয়ে ওনাদের হোটেলে গেলাম।সবাই মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ষাট গম্বুজ মসজিদ এ গেলাম।মসজিদ এর ভিতরে ডি দাস এর ছোট ছেলে ওছেলে বউ চারদিক ঘুরে দেখছে।ডি দাস এর বড় ছেলে সিধু দাস ডি দাস এর পাশেই ছিল।আর সিধু দাস এর স্ত্রী পাশের দোকান থেকে কি যেন কিনছেন।
আমরা দিঘির পাড়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ সিধু দাস এর চিৎকার শুনতে পেলাম। শোনা মাত্রই আমি আর অপুদা ছুটে চলে এলাম।গিয়ে দেখি ডি দাস এর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে,তাই তার ছেলেরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পাশে ডি দাস এর মোবাইল আর ঘড়ি পড়ে ছিল। অপুদা সেগুল কুড়িয়ে নিল। তারপর আমরা চললাম বাগেরহাট সদর হাসপাতালে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯